বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q ৫ম সংখ্য। ] SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS AMASAS A SAS SSAS প্রকারাস্তরে অপমান করিয়াছেন। কিন্তু আইনে ইহার কোন সাজা নাই। এরূপ করিবার কারণ নানাবিধ হইতে পারে। আপীল নিম্পত্তি হইতে হয়ত বিলম্ব হইত ; বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশন ও তাহাতে মন্ত্রীদের বেতনের বরাদ উপস্থাপন তত দিন স্থগিত রাখা হয়ত সুবিধাজনক মনে হয় নাই । মন্ত্রীদের বেতনট মঞ্জুর করান চাই-ই ; অথচ আপীলে জজদের রায় কি হইবে, তাহার স্থিরতা নাই ; এইজন্য একটা উপায় শীঘ্র অবলম্বন আবশ্যক বোধ হইয়া থাকিবে । তৃতীয়তঃ, আপীলে যদি জজেরা এই রায় দিতেন, যে, একবার যাহা ব্যবস্থাপক সভায় নামঞ্জুর হইয়াছে, তাহা আবার সেই ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থিত করা আইন-বিরুদ্ধ, তাহা হইলে সেই রায় নাকচ করিয়া নিয়ম জারী করিলে হাইকোর্টের অধিকতর অপমান হইত ; এবং তাহা বড়লাট করিতে পারিতেন কি না, অস্তত: সদ্য সদা করিতে পারিতেন কি না, সন্দেহ । এখন আবার মান্দ্রাজের কোন কোন ভারতীয় আইনজ্ঞ বলিতেছেন, যে, বড়লাটের এরূপ নিয়ম করিবার অধিকার নাই। শেষ পর্য্যন্ত কোথাকার জল কোথায় দাড়ায়, দেখা যাক। ব্যারিষ্টারের অপমান হাইকোর্টের জজ পেজ ব্যারিষ্টার শরচ্চন্দ্র বস্তুকে তাহার আদালত হইতে বাহির হইয়। যাইতে হুকুম করেন । এরূপ অপমান করিবার কোন কারণ ছিল না, এবং জুজের তাহা করিবার অধিকার ও ছিল না । এই অপমানের কথা অবগত হইয়া ব্যারিষ্টারদের নেতা এডভোকেটু জেনেরাল শ্ৰীযুক্ত সতীশরঞ্জন দাস মহাশয় बद्धं পেজের আদালতে গিয়া দৃঢ় ও ভদ্র ভাষায় তাহার আচরণের প্রতিবাদ করেন। জঙ্গ তাহাতে অমৃতপ্ত হওয়া দূরে থাক, অধিকন্তুদাস মহাশয়র্কেও দু-কথা শুনাইবার চেষ্টা করেন, এবং বলেন, যে, ব্যারিষ্টার বন্ধকে তিনি গুরুতর শাস্তি দিতে পারিতেন কিন্তু লঘু ব্যবস্থাই করিয়াছেন ; এবং যদি মিঃ বন্ধ ক্ষমা চান, তাহা হইলে তাহা বিবিধ প্রসঙ্গ—ব্যারিষ্টারের অপমান Reve বিবেচিত হইবে । বাংলা গ্রাম্য প্রবাদে প্রথিতকীৰ্ত্তি যে-সকল লোক পথ অপরিস্কার করে এবং চোথও রাঙায়, এই জজ টি সেই শ্রেণীর লোক । এডভোকেটু জেনার্যাল দাস মহাশয় জজ পেজের আদালতে বিফলপ্রযত্ব হইয়া চীফ, জষ্টিসের নিকট যান। তিনি বলেন, যে, এই ব্যাপারের শুনানি প্রকাশু আদালতে হইতে পারে না ; এইজন্য মিঃ দাস প্রচলিত রীতি অবলম্বন করিতে উপদিষ্ট হন। আহসারে চীফজটিসের নিকট এক আবেদন পেশ করা হইয়াছে। তাহার কম। অবগত নহি । প্রকাশ্য আদালতে একজন মাস্থ্য অকারণে আরএকজন মানুষের অপমান করিলে প্রকাশ্য আদালতে কেন তাহার আলোচনা পৰ্য্যস্ত হইতে পারে না, তাহা বুঝি না। খুব চটপট কলিকাতার টাউন-হলে জজ পেজের আচরণের প্রতিবাদ করিবার নিমিত্ত এক गड ३श्न । তাহাতে উকীল ব্যারিষ্টাররা যোগ দেন নাই বলিলেও চলে ; কেন, তাহা জানি না। হইতে পারে, যে, তাহার চীফ জষ্টিসের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করিতেছিলেন , কিম্বা হয় ত কোন দলাদলিঘটিত কারণ ছিল ; ভয়ও থাকিতে পারে। যাহা হউক সভাটি যেমন হওয়া উচিত ছিল, তেমন হয় নাই। একটি বক্তৃত কপোত বা বুলবুলের মত গৰ্জ্জনকারী তত্ত্ববায় বটমূকে স্মরণ করাইয়া দিয়াছিল। এলাহাবাদের “পণ্ডিত” শু্যামলাল নেহরু এলাহাবাদের উকীল ব্যারিষ্টারদের বীরত্বের সহিত তুলনা করিয়া কলিকাতার সেই সেই শ্রেণীর লোকদিগকে লজ্জা দিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন । যাহার এলাহাবাদের রাখেন, তাহাদের পক্ষে এই অভিনয় উপভোগ্য । যাহা হউক, টাউন-হুলে কলিকাতার সর্বসাধারণের সভা করিতে হইলে সকল শ্রেণীর যথেষ্টসংখ্যক, লোকের সমাগম ঘাহাতে হয়, তাহার চেষ্টা না করিয়া সভা করা উচিত নয়। চেষ্টা করিতে হইলে কিছু সময়েরও দরকার হয় ; বেশী তাড়াতাড়ি ভাল নয় । শুনিয়াছি, হাইকেটের উকীল-ব্যারিষ্টারদের একজোট হইয়া কোন জজের আদালত বর্জন করা হাইকোটের খবর