পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭હૈં সংখ্যা । বায়ুমণ্ডলে হিলিয়াম ও তাহার ব্যবহার bూoసి করিয়া হিলিয়াম ও রেডিয়াম-জাতীয় আর একটি পদার্থে (Radium A ) পরিণত হয় । এসমস্তই অস্তনিহিত শক্তিরই লীলা । তিনি হিসাব করিয়া দেখাইলেন যে, এক ঘন-সেন্টিমিটার স্থানে আবদ্ধ নাইটন বিশ্লিষ্ট হইয়া হিলিয়াম ও রেডিয়াম-এতে পরিণত হইলে সেই আয়তনের চল্লিশ লক্ষ গুণ হাইড্রোজেনকে পোড়াইলে যে তাপ উৎপন্ন হয়, সেইপ্রকার তাপ আপনা হইতে জন্মে। এই বিপুল শক্তিরাশি খুব নিবিড়ভাবেই রেডিয়ামে লুকায়িত থাকে এবং রেড়িয়াম নিজেকে ক্ষয় করিয়া যখন লঘুতর পদার্থে পরিণত হয় তখন ঐ শক্তিই তাপরুপে আত্ম প্রকাশ করে । রাদারফোর্ড, ভাবিলেন যে, রেডিয়ামের ন্যায় গুরু ধাতু যখন তাহার অন্তর্নিহিত শক্তির আধিক্যের জন্য নাইটন ও হিলিয়াম প্রভৃতি লঘুতর পদার্থে পরিণত হয়, তখন নাইট্রোজেন, অক্সিজেন প্রভৃতি সাধারণ মূল পদার্থে, অধিক পরিমাণ শক্তি প্রয়োগ করিলে তাহারাও লঘুতর পদার্থে পরিণত হইতে পারে। তিনি নাইট্রোজেনের মধ্যে আলফা-রশ্মি বৈদ্যুতিক *fē (Alpha-rays) 2TRİSİ করিয়া দেখাইলেন যে, নাইট্রোজন-পরমাণু তিনটি হিলিয়াম ও দুইটি হাইড্রোজেনে পরমাণুর সমষ্টি । আমেরিকার কতিপয় বৈজ্ঞানিক কিন্তু কেবলমাত্র তাপ প্রয়োগ করিয়া পরমাণুকে বিচ্ছিন্ন করিবার চেষ্টা করিতে, লাগিলেন। অবশু বৈদ্যুতিক छूलीग्ख' नांन। পদার্থকে এখন সেন্টিগ্রেডের ৪০০০ ডিগ্ৰী পৰ্য্যস্ত উষ্ণ করা যাইতেছে কিন্তু এই উত্তাপে পরমাণুর কোন পরিবর্তন হয় না, এইসকল বৈজ্ঞানিকেরা দেখাইলেন যে, যেসকল নক্ষত্রের উত্তাপ খুব বেশী—প্রায় ১৫,• • • হইতে ২০,••• ডিগ্ৰী—সেইসমূন্ত নক্ষত্রের মধ্যে প্রচুর-পরিমাণে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম প্রভৃতি লঘু পদার্থ বিদ্যমান ; অধিকতর শীতল নক্ষত্রে গুরু মূল পদার্থের সংখ্যাই বেশী ; তাহারা বলিতে লাগিলেন যে, অধিক উত্তাপের জন্য পূৰ্ব্বোক্ত নক্ষত্রসমূহে গুরু অণুসকল লঘুতর অণুতে পরিণত হইতেছে এবং এই পৃথিবীতুেই কৃত্রিম উপায়ে তাপের মাত্রা বৃদ্ধি করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন । সম্প্রতি শিকাগে-নগরীতে উইলসন বিজ্ঞানাগারে S०२-७२ ১•,০০• হইতে ৩•,••• ডিগ্রী উত্তাপ প্রয়োগ করিবার এক অভিনব পস্থা আবিষ্কৃত হইয়াছে। অত্যধিক বৈদ্যুতিক চাপে (Voltage) অধিক-পরিমাণ বৈদ্যুতিক প্রবাহ অতি ক্ষুদ্র ও স্বল্প একটি ধাতব তারের মধ্যে চালনা করিয়া এই অভূত তাপের স্বষ্টি করা হইয়াছে। বিদ্যুৎপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণও এত ভীষণ নিনাদ হয় যে, তত্রস্থ সকল লোকেরই কর্ণ বিশেষভাবে আবৃত রাখিতে হইয়াছিল, অষ্ঠথায় সকলেরই কর্ণপটহ বিদীর্ণ হুইয়া যাইত। প্রথম সেকেণ্ডের প্রথম ৩,••,• • • অংশে যে আলোক উদ্ভূত হইয়াছিল, তাহা স্বৰ্য্যালোক অপেক্ষা দুই শত গুণ প্রখর । এই তাপ প্রয়োগ করিয়া হোণ্ট ও ইরিডন নামক দুই বৈজ্ঞানিক টাংষ্টেন নামক গুরু ধাতু হইতে হিলিয়াম প্রাপ্ত হইয়াছেন বলিয়া প্রকাশ। তবে অধিকাংশ বৈজ্ঞানিকই এই আবিষ্কারের সত্যতা-সম্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করিয়া থাকেন । বৈজ্ঞানিকের নিকট হিলিয়ামের আদর থাকিলেও সাধারণের নিকট ইহার বিশেষ আদর ছিল না। কিন্তু বিগত মহাযুদ্ধের পর হইতে ইহার চাহিদা অত্যন্ত বুদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছে। ১৯১৮ খৃষ্টাব্দের পূর্বে ইহা অতিশয় দুষ্প্রাপ্য ছিল । সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে ਾਂ * ঘন বর্গফুট বিশুদ্ধ হিলিয়াম ছিল এবং একঘন বর্গফুটের মূল্য ছিল প্রায় পাচহাজার টাকা। ১৯১৪ খৃষ্টাব্দের শেষভাগে নৌ-যুদ্ধের সময় বিমান-বিভাগ বেশ বুঝিতে পারিলেন যে, যদি হাইড্রোজেনের পরিবর্তে বিশুদ্ধ হিলিয়াম বা হিলিয়াম-মিশ্রিত হাইড্রোজেন ব্যবহার করা যায়, তবে অনেক দুর্ঘটনা হইতে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় এবং বিমানবিভাগ অধিকতর কার্ধ্যোপযোগী হয়। এপর্য্যন্ত সৰ্ব্বাপেক্ষা লঘু গ্যাস বলিয়া হাইড্রোজেন বিমান-সমূহে ব্যবহৃত হইত, কিন্তু পেট্রোল-চালিত ইঞ্জিনের তাপের জন্য অনেক সময় হাইড্রোজেন বায়ুস্থ অক্সিজেনের সঙ্গে মিলিত হইয়া জল উৎপাদন করিত ও সঙ্গে-সঙ্গে ভীষণ বিস্ফোরণ হইত । o হিলিয়াম হাইড্রোজেন ব্যতীত ਬੁਝ সমস্ত গ্যাস অপেক্ষা লঘু ও আসনের ন্যায় জড়, স্বতরাং বিশুদ্ধ