বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૨ o _. Svరి83 。 3.4 নিয়ে আসে তখন তাকে আমারই সমপৰ্য্যায়ে ফেলি, আনন্দিত হই । একটা কথা স্পষ্ট করা দরকার । আমার ধোবী আমার কাছে নিশ্চিত সত্য সন্দেহ নেই এবং তার অনুবর্তী ধে বাহন ’ে ও । ধোবা ব’লেই প্রয়োজনের যোগে সে আমার খুব কাছে, কিন্তু আমার ব্যক্তিপুরুষের সমাকৃ অমৃভূতির বাইরে । পূৰ্ব্বে অন্যত্র এক জায়গায় বলেছি যে, যে-কোনো পদার্থের সঙ্গে আমাদের ব্যবহারের সম্বন্ধই প্রধান, সে-পদার্থ সাধারণ শ্রেণীভুক্ত হয়ে যায়, তার বিশিষ্টতা আমাদের কাছে অগোচর হয়ে পড়ে । কবিতায় প্রবেশ করতে সজনে ফুলের বিলম্ব হয়েছে এই কারণেই, তাকে জানি ভোজ্য বলে একটা সাধারণ ভাবে ; চালত ফুল এখনও কাব্যের পৌছয় নি । জামরুলের ফুল শিরীষ ফুলের চেয়ে অধোগ্য নয় ; কিন্তু তার দিকে যখন দুষ্টিপাত করি তখন সে আপন চরমরূপে প্রকাশ পায় না, তার পরপর্য্যায়ের খাদ্য ফলেরই পূৰ্ব্বপরিচয় রূপে তাকে দেথি । তার নিজেরক্ট বিশিষ্টতার ঘোষণা যদি তার মধ্যে মুখ্য হ’ত তা হ’লে সে এতদিনে কাব্যে আদর পেত। মুরগী পার্থীর সৌন্দৰ্য্য বঙ্গসাহিত্যে কেন যে অস্বীকৃত সে কথা একটু চিস্তা করলেই বোঝা যাবে। আমাদের চিত্ত এদেরকে নিজেরই স্বরূপে দেখে না, অন্য কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে তার দ্বারা আবৃত করে দেখে । যারা আমার কবিতা পড়েছেন তাদের কাছে পুনরুক্তি হ’লেও একটা খবর এখানে বলা চলে । ছিলেম মফস্বলে, সেখানে আমার এক চাকর ছিল তার বুদ্ধি বা চেহারা লক্ষ্য করবার যোগ্য ছিল না। রাত্রে বাড়ী চলে যায়, সকালে এসে ঝাড়ন কাধে কাজকৰ্ম্ম করে । তার প্রধান গুণ, সে কথা বেশী বলে না। সে যে আছে সে তথ্যটা অনুভব করলুম যেদিন সে হ'লে অনুপস্থিত । সকালে দেখি মানের জল তোলা হয়নি, ঝাড়পোছ বন্ধ । এল বেলা দশটার কাছাকাছি । বেশ একটু রূঢ়স্বরে জিজ্ঞাসা করলুম, কোথায় ছিলি ! সে বললে, আমার মেয়েটি মারা গেছে কাল রাতে। ব'লেই ঝাড়ন নিয়ে নিঃশব্দে কাজে লেগে গেল । বুকটা ধকৃ করে উঠল। ভূত্যরূপে যে ছিল প্রয়োজনীয়তার আবরণে ঢাকা, স্বারের কাছেও এসে তার আবরণ উঠে গেল ; মেয়ের বাপ বলে তাকে দেখলুম, আমার সঙ্গে তার স্বরূপের মিল হ’য়ে গেল, সে হলো প্রত্যক্ষ, সে হ’লে৷ বিশেষ । সুন্দরের হাতে বিধাতার পাসপোর্ট আছে, সৰ্ব্বত্রই তার প্রবেশ সহজে । কিন্তু এই মোমিন মিঞা, একে কী বলব ? সুন্দর বলা তো চলে না । মেয়ের বাপও তো সংসারে অসংখ্য, সেই সাধারণ তথাট। স্বন্দর ৪ ন৷ অসুন্দরও না। কিন্তু সেদিন করুণরসের ইঙ্গিতে গ্রাম্য মাতুষটা আমার মনের মানুষের সঙ্গে মিল্ল, প্রয়োজনের বেড়া অতিক্রম করে কল্পনার ভূমিকায় মোমিন মিঞা আমার কাছে হ’লে বাস্তব । লক্ষপতির ঘরে মেজো মেয়ের বিবাহ । এমন ধুম পাড়ার অতিবৃদ্ধেরাও বলে অভূতপূৰ্ব্ব । তার ঘোষণার তরঙ্গ খবরের কাগজের সংবাদ-বীথিকায় উদ্বেল হয়ে উঠেছে । জনশ্রুতির কোলাহলে ঘটনাট যতই গুরুতর প্রতিভাত হোক, তৰু এই বহুবায়সাধ্য বিপুল সমারোহেও ব্যাপারটাপে মেস্কের বিয়ে নামক সংবাদের নিতান্ত সাধারণত থেকে উপরে তুলতে পারে না। সাময়িক উন্মুখরতার জোরে এ স্মরণীয় হয়ে ওঠে না। কিন্তু কন্যার বিবাহ নামক অস্ত্যষ্ঠ সাধারণ ঘটনাকে তার সাময়িক ও স্থানিক আত্মপ্রচারের আশুমানতা থেকে যদি কোনো কবি তার ভাষায় ছনে দীপ্তিমান সাহিত্যের সামগ্রী করে তোলেন তা হ’লে প্রতিদিনের হাজার লক্ষ মেয়ের বিবাহের কুহেলিকা ভেদ করে এ দেখা দেবে একটি অদ্বিতীয় মেয়ের বিবাহরূপে, যেমন বিবাহ কুমার সম্ভবের উমার, যেমন বিবাহ রঘুবংশের ইন্দুমতীর। সাঙ্কোপাঞ্জা ডনকুইকসোটের ভূত্যমাত্র, সংসারের প্রবহমান তথ্যপুঞ্জের মধ্যে তাকে তর্জমা করে দিলে সে চোখেই পড়বে ন—তখন হাজার লক্ষ চাকরের সাধারণশ্রেণীর মাঝখানে তাকে সনাক্ত করবে কে ? ডনকুইকসোটের চাকর আজ । চিরকালের মানুষের কাছে চিরকালের চেনা হ’য়ে আছে, সবাঙ্গকে দিচ্ছে তার একান্ত প্রত্যক্ষতার আনন্দ ; এ পয্য? ভারতের যতগুলি বড়লাট হয়েছে তাদের সকলের জীবনবৃত্তান্ত মেলালেও এই চাকরটির পাশে তারা নিম্প্রভ । বড় বড় বুদ্ধিমান রাজনীতিকের দল মিলে অস্ত্রলাঘব ব্যাপার নিয়ে যে বাদবিতণ্ড তুলেছেন তথ্যহিসাবে সে একটা মস্ত তথh কিন্তু যুদ্ধে পঙ্গু একটি মাত্র সৈনিকের জীবন থে-বেদনায় জড়িত