পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র গ্রামের জমিদার এবং সেখানকার তাদেরই পূৰ্ব্বপুরুষের প্রতিষ্ঠিত এক মঠের বর্ধমান মালিক—এদের মঠের অধীনে একটা ধৰ্ম্মসম্প্রদায় গড়ে উঠেছে গত ষাট-সত্তর বছরে এবং এরাই সেই সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু। বৰ্দ্ধমনি, বাঁকুড়া, বীরভূম এই তিন জেলাতে এই সম্প্রদায়ের লোক মৃত বেশী, অন্ত জেলাতে তত নয় । ওঁদের কাগজপত্র ও দেশের লীয়েবের সঙ্গে ওঁদের যে চিঠিপত্র লেখালেখি হয়েচে–তা থেকেই আমি এসব সংবাদ জানতে পারলাম অল্পদিনের মধ্যেই। এদের প্রধান আয় বৈশাখ মাসে মঠবাড়ির মহোৎসল থেকে—নালা অঞ্চল থেকে শিযাসেবকের দল চড় হয়ে সেই সময় বার্ষিক প্রণামী, পূজা, মানত শোধ দেয়— তা ছাড়া বিবাহ ও অন্নপ্রাশনের সময়ও মঠের গদিতে প্রত্যেক শিয্যের কিছু প্ৰণামী পাঠিয়ে দেওরা নিয়ম। নীলাঙ্গর বাবুর তিন ছেলেই ধোর সৌধীন ও উগ্র ধরণের শহুরে বাবু। বড়ছেলে অজয়বাবু এঞ্জিনিয়ারীং পড়েছিলেন কিন্তু পাস করেন নি—মেজছেলে নবীনবাবু এমূ. এ. পাস, ছোটছেলে তমরনাথ এখনও ছাত্রপ্রেসিডেন্সি কলেজে পার্ড-ইয়ারে পড়ে। অজয়বাবুর বয়স পঞ্চাশের কম নয়, কিন্তু পোষাক-পরিচ্ছদে কুড়ি বছরের ছোকরাও হার মানে তার বোধীনতার কাছে—মীনবাবুর বয়স চল্লিশ-বিরল্লিশ, লম্বা, ফসর্ণ, কুপুরুষ—পেছনের বাড় একদম ক্ষুর দিয়ে সাদী-বার-করা, চোথে চশম-প্রায়ই পরণে সাহেলী পোযাক থাকে । বাঙালী পোষাক পরলে পরেন হাত চিলে-করণ মিহি আদ্ধির পঞ্জী ও কেঁচীনে কঁচি ধুতি, পারে কালো এ্যালুবার্ট জুতে। কৰ্ত্ত লীলাম্বর রায়কে আমি বেশী দেখিনি । তিনি উরি তাকিয়া বালিস, গড়গড়, পিকদানী নিরে দোতলাতে থাকেন। কালেভদ্রে তার কাছে আমীর যাওয়ার দরকার হয়। বড়ছেলে অজয়বাবুই কাজকৰ্ম্ম দেখাশুনা করেন— উীর সঙ্গেই আমার পরিচয় বেশী। অজয়বাৰু লোক মন্দ না—কিন্তু নীলবাৰু ৪ অমরনাথের মুণে আমি প্রথম দিনেই একটা উগ্র দাস্তিকতার ছাপ লক্ষ্য করলুম। আমি এ-দরণের লোকের সংস্পর্শে জীবনে এ-পর্য্যস্ত আসি নি-কি জানি আমার কোন ব্যবহারে এরা কি দোম ধরে ফেলে—সেই চিন্তা আমস্থ সৰ্ব্বদা সন্ত্রস্ত ক'র তুললে । b^。ー。 দৃষ্টি-প্রদীপ శ్రీ&S ওদের বাড়ি হরি ঘোষের ষ্ট্রীটে ; বাড়িটার পুব দিকে একটা ছোট গলি—কিন্তু সেই দিকেই বাড়ির সদর । হরি BBD DuD DDBS SBBBBBB BB BBBS বারাণায় উঠবার সিড়ি নেই সেদিকে। রাস্তার ওপরের ছোট থরটাতেই আমার থাকবার জায়গা নিৰ্দ্দিষ্ট হ’ল। এই বরে আমি যে একলা থাকি তা নয়, পাশাপাশি নীচু চার-পাঁচটা তক্তপোষের ওপর ঢালা ফরাস পাতা, তার ওপর রাত্রে ষে কত লোক শোয়, ভার হিসেব রাধা শক্ত । এদের দেশের কাছারীর নায়েব কুঞ্জ বস্ত্র প্রায়ই আসে কলকাতা, সে আমার পাশেই বিছানা পাতে, ভার সঙ্গে এক জন মুহুরি আসে, সে লায়েষের পাশে শোর। বাড়ির দু-জন চাকর শোয় ওদিকটাতে । ওস্তাদজী ব’লে এক জন গানের মাষ্টার বাড়ির ছেলেমেয়েদের গান ও হরমোনিয়ম বাজাতে শেখtয়— সে আর তার এক জন ভাইপো শোর চাকরদের ও আমাদের মধ্যে । এতগুলো অপরিচিত লোকের সঙ্গে একসঙ্গে শোলা কখনো অভোস নেই—প্রথন দিনেই এদের গল্পগুজব, হাসিকাশি, তামাকের ধোঁয়া আমাকে অতিষ্ট করে তুললে । সীতার মুখ মনে ক’রে সব অহবিধাকে সহ করবায় জন্তে প্রেস্তুত হই । - একদিন আমি সেরেস্তা-ঘরে বনে কাজ করচি-হঠাৎ দেখি থেঞ্জবাবু ঘরে ঢুকেচেন । আমি মেজবাবুকে দেখে ভাড়াতাড়ি উঠে দাড়ালাম । মেজবাবু চারিদিকের দেওয়ালের দিকে চোখ তুলে চেয়ে চেয়ে বললেন—এ ঘরের এই ছবিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্চে, তুমি নজর রাখে না ? মেজবাবুর সামূনাসামূনি হওয়া এই আমার প্রথম। আমাকে ‘তুমি' বলে সম্বোধন করতে আমি মনে আঘাত পেলাম এবং আমার ভযুও হ’ল । তা ছাড়া ছবি নষ্ট হওয়ার কৈফিয়ৎ আমি কি য়েবো বুঝতে পা পেরে চুপ ক’রে অffছ, এমন সময় মেজবাবু ধাজধাই আওয়৷জে ডাকৃলেন—দৈতারি— দৈতাfর সেরেস্তার কালির বোতল গুণে গুণে আলমারীতে ভুলছিল পাশের ঘরে, সে ঘরের বাইরে বারানায় এসে দাঁড়িয়ে বলুলে—হুজুর— —এই উল্লুক, তুমি দেথতে পাও লা ঘরের ছবিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্চে। -