পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংথ্য } 4×o কমল তাইN মাথায় হাত রাখিয় জিজ্ঞ ভোল আছিস্ ত ?” রম বলিল, “হা, কিন্তু তুমি বিস্ত্র রোগ। আর টেঙা इंrप्र গেছ বড়-দা ! আপিসের খাটুনি খুব বেশী বুঝি ?” কমল হাসিয়া বলিল, “হঁ্য । আয় মার কাছে গিয়ে বসে বসে গল্প করিগে---চলু।” সি করিল, § বধার প্রারম্ভ। ম্যালেরিয়ায় গেলিয়াছে। প্রতিবারই অল্পবিস্তর লোক ম্যালেরিয়ায় ট্রাক্রান্ত হয়। লেপ-কাথা চাপা দিয়া কয়েক ঘণ্টা প্রবল জরের পীড়ন সহ করে ; জর ছাড়িলে নাওয়iன করিয়া প্রতিবেশীর বাড়ী গল্পগাছা করিতে যায় । ੋਣ। সহচরের মত বলিয়! জরকে ততটা ভীষণ বোধ སྦི་སྐ க[] | এবার ম্যালেরিয়া সারা পল্লী ব্যাপিয় প্রবল প্লাবনের মত আসিয়াছিল। কে কাহার মুখে জল দেয়, কে #াঙ্গর তত্ব লয় ? বাটি বাট শিউলি পাতার রস, ফাইলষ্টা কুইনিন উপহার দিয়াও জরকে দেশত্যাগ করা গৈল না। সে ধেন চায় আরও কিছু বেশী, কিছু তাজা re ចំថ្ងៃ ៩ মেনকা ছাড়া এ বাড়ীতে কেহই ম্যালেরিয়ার কৃপ nাভে বঞ্চিত হয় নাই। সকলেই উঠিতেছে, পড়িতেছে বং উঠা-পড়ার ফাকে মিত; নৈমিণ্ডিক কাজকৰ্ম্মও রিতেছে । সকলেই জানে, যেজন্ত মশার অত্যাচার hহিতে হয়, দারিত্র্যের দুঃখ বহিতে হয়, মৃত্যুর আতঙ্কে শহরিতে হয়, ইহাও সেই অদেখ অদৃষ্টের এক নিষ্ঠুর খল মাত্র । ইহা নিয়তির একটা রূপ। জন্মের iঙ্গে মানুষের ভাগ্যগ্রহে আশ্রয়লাভ করিয়া প্রতি মুহুর্তে অন্ধ নির্দেশে তাহাকে অনিদিষ্ট মহাপথের মভিমুখে পরিচালিত করিতেছে । এ পথের যাত্র ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় মানুষ প্রতিরোধ করিতে পারে না ; রাগ আলস্ত দৌৰ্ব্বল্য কিছুরই দোহাই মানে না, অর্থসম্পদেও ইহার স্রোত ফিরান যায় না। ইহা নয়তি । রাজমাত সারা পল্লী ছাইয় t

ছোট খুকী উমা বার-বার রোগের আক্রমণ সুষ্ঠা করিতে পারিল না । ক্ষুদ্র প্রাণে আর কতই বা সহ হয় ! একদিন প্রভাতে প্রবল জরে র্কাথা মুড়ি দিয়া শয্যাশ্রয় করিল । মধ্যাহ অপরাহ্ল ও সারারান্ত্রি চলিয়া গিয়। আবার প্রভাত ফিরিয়া আসিল, প্রবল জরের এতটুকু হ্রাস হুইল না । 卷 মেনক ভীত হইয়া মাতাকে বলিল, “এ ত ম্যালেরিয়া নয় মা। চব্বিশ ঘণ্ট জরে বেহুশ হয়ে পড়ে আছে, ভূল বক্ছে । একজন ডাক্তার ডাকি না হয় ।” মারও তখন সবেমাত্র শীত শীত করিয়া জর আসিতেছে। একখান কাথা টানিয়া লইয়া খুকীর পাশে শুইয়া পড়িয়া ক্লিষ্টস্বরে বলিলেন, “ডাক্তার ডাকবার পয়সা কোথায় পাবি, মিনি ? পারিস ত ডাক, আমার বাছার মুখে এক ফোট। ওষুধ দে। দেথিস্ যেন দুঃখিনী মার কাছে এসেছিল ব’লে মা আমার অভিমান ক’রে চলে না যায় । উমা, উমা, মা আমার---” বলিয়া তিনি অচৈতন্য কন্যাকে বুকে চাপিয়া ধরিয় ভূ-ভু কুরিস্থ। ক্টাদিতে লাগিলেন । মেনকা চক্ষু মুছিয়া অরুণকে বলিল, “ঈশানকে ডেকে নিয়ে আয়, অরু ।” ডাক্তার অসিলেন । বাহুমুল ফুড়িয়া ঔষধ দিলেন, বুকে মালিশ করিবার মলম দিলেন এবং ভয়-অভয় দুটি জিনিষেরই অস্তিত্ব জানাইয় আসন্ন বিপদকে ঘনীভূত করিয়া বিদায় লইলেন । নিয়তি । গোধূলির পবিত্রলয়ে অশ্মট শুভ্ৰ যুই ফুলটি ফুটিবার পূৰ্ব্বেই বৃন্তচু্যত হইয়া ঝরিয়া পড়িল । এখানকার খেলাঘরের সাজান সংসার রাখিয়া ছোট খুকী চিরদিনের জন্যই চলিয়া গেল । মা চীৎকার করিয়া কঁাদিলেন না, আছাড়ি-পিছাড়িওঁ করিলেন না, শুধু দুটি রোগতপ্ত বাহু দিয়া শিশুর শীর্ণশিথিল হিম দেহখানি আঁকড়াইয়া ধরিয়া ভগ্নস্বরে কহিলেন, “ওরে না, না, আমার উমাকে আমি ছেড়ে দেব না, দেব না রে ।” মেনকা কাদিতে কঁাদিতে বলিল, “একটু চুপ কর