বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*28 o ASA SSASAMM AAAASASASSAAAAAAS AA SAASAASAAAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS চক্ষুর গোচরীভূত হয় নাই। এক্ষণে শু্যামল-বৃক্ষরাজিপরিশোভিত দ্বীপ দর্শনে হৃদয়ে অননুভূত আনন্দের উদয় হ ওয়া কিছু বিচিত্র নহে। সিঙাপুর ছাড়িয়া অনেক উড্ডীয়মান মৎস্ত দেখা গেল। মৎস্যগুলি কিঞ্চিদূন অৰ্দ্ধচস্ত পরিমিত । দেখিতে অনেকটা পঙ্গপালের ন্যায়, রৌদ্র কিরণে ঝিকমিক্‌ করে । জাহাজের শব্দ পাইয়া সমুদ্র হইতে উঠিয় এক কি দেড় হস্ত উপর দিয়া উক্ত মৎস্তের বাক উড়িয়া পনর বিশ হাত তফাতে গিয়া পুনরায় সাগরগর্ভে লীন হয় । দেখিতে বেশ আনন্দ প্রদ। সমুদ্র হইতে স্বর্য্যের উদয়াস্তদৃশু অতীব নয়নানন্দদায়ক। দিগন্তপ্রসারিত অম্বুনিধি এবং উত্তঙ্গ শৈলশ্রেণী দর্শন না করিলে হৃদয়ের প্রশস্ততা বদ্ধিত হয় না এবং অসীম ক্ষমতাশীল ভগবানের অনন্ত শক্তির ও আভাস পাওয়া যায় না । এই সকল দৃশু দর্শনে মনে স্বতই ভগবৎপ্রেম উদ্রিক্ত হয় । বঙ্গোপসাগর, ভারত মহাসাগর, শু্যাম উপসাগর এবং চীন সাগর পার চষ্টয় চৌদ্দ দিনে হংকং নগরে পৌছিলাম। এই স্থান ইংরাজাধিকৃত উপনিবেশ । সমুদ্রতীরে পর্বতসামুদেশে হংকং নগরী স্থাপিত। দৃশু অতি মনোহর—অর্ণবপোত ASAeSAS SSASAS SSAS SSAS কষ্টতে একখানি ছবির মত দেখায় । হংকংয়ের সৰ্ব্বোচ্চ পাহাড় প্রায় ২ ০০০ ফুট উচ্চ । এই স্থান লেঃ ২২-১৭' উত্তর এবং লং ১১৪৭-১২' পূৰ্ব্ব ; উপসাগরের মুখে অবস্থিত । দ্বীপটি আট মাষ্টল লম্ব এবং পরিসর যেখানে খুব বেশি আড়াই মাইল হইবে। সকল সময়েই এখানে স্বাঞ্চ পানীয়জল পাওয়া যায়। ইহার দৃশু অতি সুন্দর । এক দিকে অত্যুচ্চ পাহাড়, অন্ত দিকে উপসাগর। পাহাড়ের নিম্নস্তান কতকাংশ বন্ধুর এবং কতকাংশ সমতল, এই স্থানে হংকং সহর । নঙ্গর করিলে প্রাতরাশ সমাপন করিয়া সৈন্তাধ্যক্ষের অতুমতি লষ্টয়া সহর দেখিতে কূলে অবতরণ করিলাম। জাহাজ তীরে না লাগায় শাম্পান-যোগে তীরে যাক্টতে হষ্টয়াছিল। শাম্পান ক্ষুদ্র নৌকা, চীন স্ত্রীলোকদ্বারা বাহিত। কচি ছেলেগুলিকে পৃষ্ঠে ঝুলাইয়া ঐ সকল স্ত্রীলোক আশ্চর্য্যরূপে নেীক পরিচালনা করিয়া থাকে। কুলে পৌঁছিতে প্রত্যেককে বিশ সেণ্ট করিয়া ভাড়া দিতে এক সেন্ট কিঞ্চিদূন এক পয়সা । হংকংয়ের জাহাজ হইল । প্রবাসী—পৌষ ১৩১৭ { ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড ASAAAAS SASAAAAASA SSASAS SSAS SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS রাস্তাঘাট উচুনীচু কিন্তু বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এস্থানের গবর্ণমেণ্ট বোটানিক্যাল উষ্ঠান দর্শনযোগ্য । আম কাঠালের গাছ পৰ্য্যস্ত দেখিলাম, ফল হয় কি না কেহ বলিতে পারিল না । এই স্থান কলিকাতার সমস্থত্রপাতে অবস্থিত, কিন্তু সমুদ্রতীরবর্তী বলিয়া গ্রীষ্মাধিক্য অত উৎকট নয়। পাজারে শাক সৰ্বজী, ফলমূল, তরিতরকারি অপৰ্য্যাপ্ত দেখিলাম, দাম খুব বেশি বলিয়া বোধ হইল না। ভারতের মুদ্র এখানে চলে না, ডলার মুদ্রার প্রচলন (এক ডলার প্রায় ১০ টাকা) । কতকগুলি ভারতীয় মুদ্রা বাটা দিয়া তংকং ব্যাঙ্ক হক্টতে আমাদিগকে ডলার ভাঙ্গাইতে হঠল । এখানে বেতের এবং বাশের আসবাব পত্র অতি পরিপাটী এবং যথেষ্ট বিক্রয়ার্থ প্রস্তুত আছে। যানের মধ্যে "রিক্সা” বা টান গাড়ীর প্রচলন খুবই বেশি। বড়লোকেরা পেতের ‘সিডান-চেয়ার” ব্যবহার করে । এই যান আমাদের দেশের পান্ধির মত আরামের, প্রভেদ এই, না শুষ্টয়া ইঙ্গতে শুধু উপবিষ্ট চষ্টয়া যাইতে হয়। রিক্স একজন লোক টানিয়া লইয়া যায় । আমাদের দেশে যুড়িগাড়ী থাকা ( আজকাল মটর গাড়ী ) যেমন বড়মানুষীর চিকু, চীনদেশে ২১ খানি ষ্টিমার থাকা তদ্রুপ । আমাদের দেশের অধিকাংশ বড়লোক যেমন ভুড়ি-সার, কুড়ের বাদুসা, ব্যবসায়বুদ্ধিহীন, তোষামোদপ্রিয় এবং স্থূলবুদ্ধি, চীনের বড়মানুষগুলি ঠিক ইহার বিপরীত। তাহার পরিশ্রমী, ব্যবসায়রুদ্ধিসম্পন্ন এবং বুদ্ধিমান । এখানে পৰ্ব্বতশিখরে আরোহণ অন্ত “পিক টাম” আছে । তাহাতে অধরোহণ এবং অবতরণ বেশ আনন্দপ্রদ। পাহাড়ের উপরে কলঘর। মোট তার টামের নীচে সংলগ্ন। পাশাপাশি রেলপথ। একখানি টুমি যেমন উপরে উঠিতে থাকে অপরখানি নামিয় আসে । জাহাজ হইতে দেখিয়া বোধ হয় যেন দুইটী বহু মহিষ পাঙ্গড়ের গা দিয়া উঠিতেছে এবং নামিতেছে। মাঝে ষ্টেশন আছে, ষ্টেসন নিকটবৰ্ত্তী হইলে টামের এবং কলঘরের ঘণ্টা একই সময়ে বাজিয় উঠে, তদনুসারে থামান হয়। এই টাম প্রায় ১৫০• শত ফুট উচ্চে উঠিয়াছে। শিখর দেশে একটা হোটেল, গবর্ণরের বাংলা এবং ‘মানমন্দির’ আছে । অনেক বড়লোক পাহাড়ের উপর বাংলা তৈয়ারী