বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Q 。 SAeeAMASAeSMMMM AeeAeeAeMSAAAAASA SSASAS SSAS র্থ এবং দৈন্ত এবং জড়তাকে দলিত করে—তোমার বিশ্বলোকে অনাহত তুরীতে জয়বাদ্য বাজ তে থাকৃবে, চারিদিক থেকে আহবান আসতে থাকৃবে, এস, এস, এস,—আমাদেব দৃষ্টির সম্মুখে খুলে যাবে চিরজীবনের সিংহদ্বার—কল্যাণ, কল্যাণ, কল্যাণ--অন্তরে বাহিরে কল্যাণ,—আনন্দং আনন্দং, পরিপূর্ণমানন্দং ! ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সুখ ও দুঃখ মুখ বলে “দুঃখ তুই:কেন দিলি দেখা, সবে সুখী হ’ত যদি থাকিতাম এক।” :থ বলে "মুখ তুষ্ট বড় অহঙ্কারী— আমি আছি তাই তোরে চিনে নরনারী ।” শ্ৰীঅন্নদাপ্রসাদ ঘোষ । আমার চীন-প্রবাস ( পূৰ্ব্বানুবৃত্তি ) হংকং হইতে উই-হাই-উষ্ট পাচ দিনে পৌছিলাম । পীত সাগর তখন বড়ই অশান্ত। দ্বিতল ত্রিতল সমান উচু ঢেউগুলি আসিয়া প্রতিপদে জাহাজকে বাধা দিতেছিল । ‘টেরিবল” নামক মানওয়ারী জাহাজ তখন উই-হাই-উই বনার পাহার দিতেছিল । আমাদের জাহাজ উক্ত রণতরীর নিকটে নঙ্গর করিল, কিন্তু আমাদের আগমন যে বড় কেউ আশা করিতেছিল এমন বলিয়া বোধ হইল না । এই স্থান ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দের ২৪শে মে তারিখে ইংরাজ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই স্থান শালটু প্রদেশের নিকটবৰ্ত্তা, এবং দক্ষিণ দিকের সমুদ্রপথ রক্ষা করিতেছে। এই পথ দিয়া টিনসিন এবং পিকিন যাইতে হয়। আমরা ছয় ঘণ্টা তথায় অবস্থান করিলে আরও অগ্রসর হইবার হুকুম আসিল । তথা হইতে এইবার জাহাজ টাকু অভিমুখে যাত্রা করিল। তিন দিনে টাকু বার পৌছিলাম। জাহাজ যতই টাকুর নিকটবর্তী হইতে লাগিল চতুর্দিকে পৃথিবীন্থ জাঙিনিৰহের প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ । >०म छाश, २ग्न थं७ AAAAAA AAAASAAAAeASAMAeMAAASAASAASAASAAeSMAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAMMAeS রণতরী সমুদ্রবক্ষ ছাইয়া রহিয়াছে দেখা গেল, সে দৃপ্ত মনোহর, কিন্তু ভীতিপ্রদ , সকল জাহাজগুলিই শ্বেত বর্ণে রঞ্জিত। জাহাজের চতুর্দিক ছিদ্রযুক্ত, ছিদ্রমুখে কামানের মুখগুলি দেখা যাষ্টতেছে, বোধ হয় আগন্তুককে ইঙ্গিতে ললিতেছে ‘সাবধান, আর বেশি অগ্রসর হইও না, ভস্মসাৎ হষ্টবে, যেখানে আছ সেখানেই স্থির হইয়া থাক” । আমরা পৌঁছিবামাত্র চতুর্দিকস্থ জাহাজ হইতে ঘন ঘন তোপধ্বনি হইতে লাগিল । সে আওয়াজ যে কি ভয়ানক, পাঠকের তাঙ্গ অনুমান করা অসম্ভব । কলিকাতা-কেল্লায় একটা মাত্র তোপের আওয়াজ শুনিয়াছেন, কিন্তু এ শব্দ এক সঙ্গে অনেকগুলির । ঐ শব্দ আবার সমুদ্রবক্ষে প্রতিধ্বনিত হইয়া আরও ভয়ানক হয় । রাত্রিকালে বৈদ্যুতিক আলোকমালায় ঐ সকল অর্ণবপোত এক অভিনব সুন্দর ঐ ধারণ করে । ক্ষণে ক্ষণে আবার ঐ সকল যুদ্ধজাহাজ হইতে সুদূর দর্শনোপযোগী আলোক (Search light) ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হয়। টাকু হইতে ছোট বাস্পতরীযোগে সিনহে যাইতে হয়। জাহাজ তীরে লাগে না, কারণ ইহার তীরবর্তী সমুদ্রের সকল স্থানই নাতিগভীর। সমুদ্র আজ দুষ্ট দিন তাণ্ডবনৃত্যে মাতিয়াছে, স্বতরাং জাহাজ হইতে নামিবার স্বযোগ হয় নাই । একজন সার্জেণ্ট এবং আমি কতকগুলি অনুচর লইয়া প্রথমেই তীরে যাইতে আদিষ্ট হইলাম। সপ্তবিংশতি দিবসে ষ্টিম লঞ্চ যোগে পিহে নদী দিয়া আমরা সিনৃহে রওনা হইলাম। পিছে নদীর মুখে দুই দিকে দুষ্টট অতি সুকৌশলে নিৰ্ম্মিত কেল্লা ছিল, তাকাতে দুইটী কামান পাতা, বিলক্ষণ বিপদসস্কুল ছিল। জাপানীদিগের বুদ্ধিচাতুরীতে ঐ ছুইটী কেল্লা পূৰ্ব্বেষ্ট অধিকৃত হইয়াছিল, মুতরাং নদী দিয়া গমনাগমনে আর কোন আশঙ্কার কারণ ছিল না। নদীর উভয় পাশ্বে শস্তণ্ডামল ক্ষেত্র সকল নয়নপথে পতিত হইয়া এক অভূতপূৰ্ব্ব আনন্দ প্রদান করিতে লাগিল । স্থানে স্থানে কতিপয় চীনেদের বাড়ী এবং শস্তক্ষেত্র । এইরূপ প্রায় সমস্ত পথ দেখিলাম । কোন কোন স্থানে চীনেদের বাম্পতরী অৰ্দ্ধনিমজ্জিত । এক স্থানে একখানি টরপেডো বোট জলমগ্ন, কতক অংশ বাহির হইয়া যেন জানাইয়া দিতেছে আমি এখনও এখানে আছি। এই সকল চিহ্ন