পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা | —“ন না, সপত্নীর প্রবেশ নাই । রঙ্গমঞ্চে স্বয়ংচারিণীর ( automobile—মোটর-গাড়ী ) অবতারণ করাটা তেমন সুবিধাজনক বলে মনে হয় না ! “দেখুন মহাশয়, আমার মোটর-গাড়ীখানিই আমার স্ত্রীর সপত্নী । মোটর গাড়ীকে আমাদের ভাষায় স্বয়ংচারিণী বলে— এটি স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ-আপনাদের ভাষায় পুংলিঙ্গ না স্ত্রীলিঙ্গ ? আমার নিকট ওটি স্ত্রীরই সামিল !” তিনি না-হাসিয়া এই কথাগুলি বলিলেন। আমি বলিলাম ঃ—“আপনি পরিহাস করচেন”. তিনি গম্ভীরভাবে আমাকে বুঝাইয়া বলিলেন – —“নাটকে এরূপ সপত্নীর অবতারণা একটা ঠাট্ট তামাসা মাত্র ; রঙ্গমঞ্চে এরূপ অদ্ভুত ধরণের সপত্নী প্রবেশ করলে, দর্শকদের খুব তাস্তোদ্রেক হয় সন্দেহ নাই ; কিন্তু বাস্তবপক্ষে, এটা একটা হাসির কথা নয় ।” —“সত্যি ?” —“সত্যি। আমার স্ত্রীকে আমি খুবই ভালবাসি। কিন্তু তার নীচেই আমি আমার স্বয়ংচারিণীকে ভালবাসি। আমি জানি, এতে আমার স্ত্রীর প্রতি একটু অন্তায় করা হচ্চে ; কেন না, স্বয়ংচারিণীর সহবাসে আমি যে সময়ট কাটাই, ততটা সময় আমার স্ত্রী, আমার সহবাস কতে বঞ্চিত হন । এইরূপে আমার দাম্পত্য কর্তব্যের অবশু কতকটা ক্রটি হয়। কিন্তু আমি সাফ কবুল কচ্চি, স্বয়ংচারিণীকে ছেড়ে আমি একদওও থাকৃতে পারব না। আমি সেই সব লোকের মত, যাদের পত্নী ও পেতনী দুই চাই । ধৰ্ম্মপত্নী সতীসাধ্বী ত হবেই—দ্বিতীয়টি হতেও পারে, ন হতেও পারে। আপনি ত জানেন, ঐ সব লোক, ধৰ্ম্মপত্নীকে যতই ভাল বামুক, দ্বিতীয়টিকেও ছাড়তে পারে না। আমারও সেই দশা হয়েছে। আমার স্ত্রীর জন্ত যত টাকা খরচ করা উচিত, আমি সেই টাকা আমার মোটর-গাড়ীর জন্য খরচ করে থাকি । আমার যে একটা মোটর-গাড়ী আছে—সে কথাটা আমার স্ত্রীর কাছ থেকে গোপন করে রেখেছি । আমার স্বয়ংচারিণীর সহবাস সম্ভোগ করবার জন্ত, নানা ছুতা করে আমি বাড়ী হতে বাহির হয়ে যাই । আর আমি আপনাকে নিশ্চয় করে বলচি, এতে আমার এত মুখ, এত আনন্দ, এত মত্ততা সপত্নী AASAASAASAASAASAASAASAASAASA SAASAASSAAAAeAMSAeASMAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA ASAAAAS AAASASAAAAAS AAASASASS &సి) হয় যে আমি আর সব ভুলে যাই । আমি ভুলে ৰাষ্ট— আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি ; আমি ভুলে যাই—একজন সতীসাধবী সুন্দরী রমণী—বাড়ীতে আমার জন্ত প্রতীক্ষা করে আছেন ; আমি ভুলে যাই, --তড়িৎ-বেগে ধাবমান এই মোটর-গাড়ীতে যদি কোন দুর্ঘটনা হয়ে আমার মৃত্যু হয়, তাহলে বেচারী একেবারে উন্মাদ হয়ে পড়বে। তবু, এ কথাটা আমার গোপন না করলেই নয় । এ বিষয়ে আমার স্ত্রীর রুচি, আমার রুচির সম্পূর্ণ বিপরীত। সতী স্ত্রীরা যেমন অসতী রমণীদের দু-চক্ষে দেখতে পারে না, আমার স্ত্রী সেইরূপ এই স্বয়ংচারিণী গাড়ীগুলাকে দু-চক্ষে দেখতে পারেন না । আমার একটা স্বয়ংচারিণী আছে বলে’ তার যদি একটু সন্দেহও হয়, তাহলেষ্ট তিনি একেবারে ভয়েই মারা যাবেন । তা চেয়ে আমি যদি একজন চক্রগন জীবন্ত স্বৈরিণীতে আসক্ত কষ্ট, বরং তাও তার সহ হবে। বলা বাহুল্য-—মোটর-গাড়ীট। আমি যতট সম্ভোগ করচি, ততক্ট গোপন করবার ইচ্ছাটা আমার আরও প্রবল হয়ে উঠছে। এই প্রকাও গাড়ীটার মধ্যে একাকী আমি যখন উপবেশন করি, তথন মনে হয়, জগতে আমার মত কেক সুখী নয় । আর যখন এষ্ট প্রকাও যন্ত্রটাকে সম্পূর্ণ আমার আয়ত্তের মধ্যে এনে, আমার খেয়াল-অগুসারে যেখানে সেখানে চালিয়ে নিয়ে বেড়াই, তখন আমার মনে হয় যেন বজ্ৰধর ইন্দ্রের মত আমি একটা বজ্রকে আকাশ-পথে চুটাছুটি করাচ্চি ; আমি দেখি—আমার পাশ দিয়ে,—মাহুষ, পশু পক্ষী, ঘর বাড়ী, গাছপালা, সেতু, নদী গিরি—সব পলায়ন করচে--তামি যেন বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের অধিপতি : দৈত্য দানবের মত শক্তিমান—এমন কি, স্বয়ং ঈশ্বরেরষ্ট মত মহান ।” এইরূপ বলিতে বলিতে, হৃদয়ের আবেগভরে তাহার কণ্ঠস্বর কঁাপিতে লাগিল । তার মুখ পাণ্ডুবর্ণ ও কুঞ্চিত হইয়া গেল, এবং তাহার চোখ দিয়া যেন বিদ্যুৎ ছুটিতে লাগিল। আমি ভয়ে ভয়ে একটু আপত্তি জানাইয়। বলিলাম ঃ g —“আপনি এইরূপ আবেগের উচ্ছ,াস কি একটু সংযম করিতে পারেন না ? এত আবেগে প্রাণের উপর জখম BHHD BBBS BB BBBB BB HHHBB BBB HHHHHB S