বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] চাপ দিলে ও ধীরে ধীরে পেট টিপাইলে কোষ্টবদ্ধতা দুর হয় । আর এক কথা মলত্যাগের বেগ আস্থক আর নাই আক্ষক প্রত্যহ নিয়মিত সময়ে মলত্যাগের চেষ্টা করা কৰ্ত্তব্য । এষ্টরূপ করিতে করিতে মলত্যাগের অভ্যাস জন্মায় *ি Nervous system osts of; মণ্ডলীর সুস্থ অবস্থার উপরও দীর্ঘজীবন কম নির্ভর করে না । স্নায়ুমণ্ডলীর মধ্যে যে সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধমনী আছে তাঙ্গদের মধ্য দিয়া রক্ত গিয়া স্নায়ুমণ্ডলীর পরিপোষণ হয়। সুতরাং এই সকল ধমনীগুলি যদি ভাল না থাকে তাহ চইলে স্নায়ুমণ্ডলীও ভাল থাকিতে পারে না । মস্তিষ্কের মধ্যস্থিত ধমনীর একপ্রকার অবনতি বশতঃ উহা ফাটিয়া মস্তিষ্কের মধ্যে রক্তস্রাব চষ্টয়া কত ব্যক্তির জীবননাশ হয় তাহার ঠিকানা নাই । আঙ্গর বিচার বিষয়ে উচ্ছৃঙ্খলতা বশতঃ মস্তিষ্কের ধমনীর এইরূপ অবনতি হইয়া থাকে । ইহার নিবারণের একমাত্র উপায়—মিতাচার, নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম এবং কোন প্রকার মাদক দ্রব্য সেবন না করা । সাধারণ ভাবে অঙ্গচালনা অথবা ব্যায়াম দ্বারা শরীরের অন্যান্ত অংশের স্তায় মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড ও স্বায়ুসমূহেরও উন্নতি সাধিত হয়। মাংসপেশীগুলিকে দৃঢ় ও সুস্থ রাখিতে হইলে যেমন উহাদিগকে খাটান অবিশুক মস্তিষ্ককে ভাল ও সুস্থ রাখিতে হইলে ইহারও খাটুনির আবশুক । মানসিক শ্রমকালে মস্তিষ্কের মধ্যে অধিকতর বিশুদ্ধ রক্ত গমম করে তাহাতে উহার পরিপোষণ ভাল হয় । মানসিক শ্রমে জীবন দীর্ঘ ও মুখকর হয়। যেসকল ব্যক্তি নিয়মমত মানসিক শ্রম করিয়া থাকেন তঁহাদিগের মস্তিষ্কের কার্য্যকারিণী শক্তি বহুদিন ধরিয়া অটুট্‌ অবস্থায় থাকিতে দেখা যায়। কেহ কেহ বলেন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক শ্রমের মাত্র হ্রাস করা কৰ্ত্তব্য । একথা সব সময় সত্য নহে ৷ গুরুতর মানসিক শ্রম যুবা বৃন্ধ সকলেরই পক্ষে অহিতকর সন্দেহ নাই ; কিন্তু সম্ভবমত মানসিক শ্রম সকলেরই করা উচিত । ৫৫৬০ বৎসর বয়সে কাৰ্য্য হইতে বিশ্রাম লওয়ার রীতি সৰ্ব্বদেশেই প্রচলিত থাকিতে দেখা যায় । কিন্তু এক কাৰ্য্য হইতে অবসর গ্রহণ করিয়া অন্ত কোনরূপ কাৰ্য্যে মনকে নিযুক্ত না 8 অকালবাৰ্দ্ধক্য নিবারণ ও দীর্ঘ জীবনলাভের উপায় ... ـه**هم. عد** هي هيءه • Jరిల AASAASAASAASAASAASAA করিয়া রাখিলে এরূপ অবসরের ভাবী ফল প্রায় সৰ্ব্বত্রই মন্দ হইতে দেখা যায়। বড় বড় লোকের জীবনী পাঠে দেখা যায় যে ইহঁরা খুব প্রাচীন বয়স পৰ্য্যন্ত মানসিক শক্তি অক্ষুণ্ণ রাথিয়া জগতের এবং নিজেদের হিতকর বহুবিধ কার্য্য করিয়া গিয়াছেন। (Cicero) সিসিরে যথার্থই বলিয়াছেন যে জ্ঞান চর্চা ও পাঠাভ্যাস বন্ধ না করিলে মানসিক শক্তি খুব প্রাচীন বয়স পৰ্য্যন্ত অক্ষুঃ ও অটুট থাকে। বাৰ্দ্ধক্য জীবনটা কোন মতেই অলসভাবে ঝিমাইতে ঝিমাইতে অতিবাহিত করিতে নাই । যাহাদের কোনরূপ নির্দিষ্ট কাজ কৰ্ম্ম নাই তাহাদের কাৰ্য্য স্থষ্টি করিয়া তাহাতেই ব্যাপৃত থাকা উচিত । লোকছিতকর, দেশহিতকর কিম্বা সমাজহিতকর বহুতর কার্য্য আছে, ইচ্ছা করিলেই ইহাতে জীবন উৎসর্গ করা যাইতে পারে । বুদ্ধ বয়সে সকলেরই একটা না একটা সথ থাকা উচিত। এই সখকে ইংরাজীতে hobby বলে। মৎস্ত ধরা, দেশ পর্য্যটন,তীর্থ ভ্রমণ, পুস্তক পাঠ, বৃক্ষ রোপণ, গান বাজন, ছবি অঁাকা এইরূপ নানাবিধ সখের কাজ আছে । প্রত্যেকের এইরূপ একটা না একটা সখের কাজ শিক্ষা করা উচিত । ইহাতে পরমায়ু বৃদ্ধি হয় এবং স্বাস্থ্য ভাল থাকে। যে সকল ব্যক্তির পিতৃপিতামহগণ শিরোরোগে অকালেৎকালগ্রাসে পতিত হইয়াছে তাহীদের নিয়মমত শারীরিক ও মানসিক শ্রম কর। কর্তব্য এবং আহার বিহারাদি সম্বন্ধে বিশেষরূপে মিতাচার অবলম্বন করা উচিত—এমন করিলে তলেই ইহার দীর্ঘকাল নীরোগ শরীরে বঁাচিয়া থাকিতে সমর্থ হইবে, নচেৎ নহে । স্বাস্থ্য ও জীবনীশক্তি অনেকটা মনের গঠনের উপর নির্ভর করে । শরীরের উপর মনের শক্তি বড় অল্প নহে । মানুষ যে অবস্থাতেই পতিত হউক না কেন তাহাতেই যদি মুখ ও সন্তোষকুভব করিতে পারে, স্বচ্ছন্দচিত্তে স্ব স্ব কার্য্যে তৃপ্তিলাভ করিতে পারে, আশার মোহন মন্ত্রে চিত্তকে সৰ্ব্বক্ষণ সজীব রাখিতে পারে, তবেই তাহার জীবন দীর্ঘ হয় ও শরীর নীরোগ হয় । তাহা ন করিয়া আমরা যদি হৃদয়ে .অসন্তোষ, হিংসা দ্বেষ বিরক্তি ও ঃখ পোষণ করি তাহ হইলে শরীর ও মন উভয়ই পীড়িত হইয়া জীবন অল্পায়ু হয়। বাল্য