বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«هودیه و ۹ دهه ۰عبیه به هم پس ჯ,8 o ছোট অথচ পরিপূর্ণ-যৌবনার স্মৃতিটিকে শতপাকে বেষ্টন করিয়া আমার চিত্ত ভ্রমরের মত গুঞ্জরণ করিতেছিল। এই বিদেশিনীর সকল কথা আমি বুঝি না, আমার একটা কথাও তাঙ্গাকে বুঝাইতে পারি না । কিন্তু এই ভাষাহীন ভাষার অন্তরালে যে কল্পনা যে ভাবপুঞ্জ জমিয়া উঠিত তাঙ্গ বিচিত্র, তাঙ্গই আমার অন্তর বাহির পুলকাঞ্চিত করিয়া তুলিতেছিল। সমস্ত রাত্রি চায়া-ওল্লাকেই স্বপ্ন দেখিলাম । তাহাকে স্মরণ করিয়াক্ট নয়ন মেলিলাম । তাড়াতাড়ি উঠিয়া চায়ার দিকে চলিয়া গেলাম। তখনও প্রভাতের আলো ভাল করিয়া ফুটে নাই, চায়ার দোকান খুলে নাই । মুদ্রিত কমলের চারিদিকে ব্যস্ত ভ্রমরের প্রবেশ যাচনার মত ব্যাকুল চিত্তে আমি চায়ার সম্মুখে পদচারণা করিতে লাগিলাম। প্রভাতে দ্বার খুলিল। তরুণী চায়া-ওয়া আমাকে দ্বারের কাছে দেখিয়া হাসিয়া বলিল---ও হয়ো ! ( সুপ্রভাত । ) আমিও তাঙ্গাকে স্বপ্রভাত জানাইয়া মনে মনে বলিলাম—প্রভাতে উঠিয়া শ্ৰীমুখ দেখিকু, দিন যাবে ভাল ভাল ! দুটি দিনেই আমরা পরস্পরের অন্তরঙ্গ হইয়া উঠিলাম । আমি বুঝিলাম এই তরুণী আমারই জন্ত জগতে আসিয়াছে, আর এই সাত সমুদ্র তের নদীর পারে মুদূর জাপানে ইহারই সহিত মিলনের জন্ত আমার এই অভিসার—বিদ্যার জন্ত নয়, থ্যাতির জন্ত নয়, অর্থের জন্ত নয়—এ আমার প্রেমযাত্ৰা ! দুদিন গেল । তবু আমার তোকিও যাওয়া হইল না । মনে করিলাম য়োকোহামাতেষ্ট কোনো কলেজে বা কারখানায় কিছু একটা মুরু করিয়া দি, তারপর কিছুদিন পরে তোকিও গিয়া শিক্ষা সমাপ্ত করিলেই হইবে । কিন্তু সব প্রথমে এ দেশের ভাষা শিক্ষা করা দরকার এই শিক্ষণটুকু আমি চায়া-ওয়ার কাছেষ্ট প্রথম লাভ করিলাম। হোটেলের ম্যানেজারকে বলিলাম আমায় একজন এমন শিক্ষক নিযুক্ত করিয়া দিন যে ইংরেজি জানে আর আমাকে জাপানী শিখাইতে পারে। ম্যানেজার একজনকে আনিয়া দিল । লোকটি গাকশা অর্থাৎ পণ্ডিত। প্রভাতে প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ AeeeAeeMeeMeeSeeeA AeAeMMeeMMeeeeeeeeeMMeMMMeeAeeMMAMAAAASASASS SAASAASAASAAeAAASAASAASAASAASAASAASAA [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড سهها معsد ۰۳ আমি প্রথমেই তাহার কাছে প্রেমের পাঠ লইতে আরম্ভ করিলাম। প্রণয়ের অভিধানে যে কথাগুলার খুব চলন সেগুলাই বাছিয়া বাছিয়া আমি গাকশার কাছে প্রথমেই তর্জমা করিয়া শিথিয়া লইতে লাগিলাম । লোকটাও বেশ রসিক আর প্রণয় ব্যাপারে “অভিজ্ঞ । আমি যেমনটি চাই ঠিক তেমনি করিয়াষ্ট আমাকে তালিম করিতে লাগিল । একদিন গাকশ হাসিতে কাসিতে আমায় জিজ্ঞাসা করিল—কি হে বিদেশী ছাত্র । নিপ্পনেব মাটিতে পা দিতে না দিতে প্রেমে পড়লে না কি ? স্থা সেনসেক্ট ( গুরুমশায় )। কেমন সে তরুণী ? যেন একটি সাকুরী হানা ( চেরি ফুল ) গাকশা ! কোথায়, কোথায় এমন নিধি মিলল ? কেবল সেইটি বলব না, গাকশ । গাকশা একটু হাসিয়া বলিল—আচ্ছ না-ই বললে । আমি তোমায় প্রণয়ের ভাষায় তালিম করে দিব, যেন শীঘ্র সফল চও। বিবাহের দিন আমায় নিমন্ত্ৰণ করিতে ভুলে না যেন । এমনিতর পরের কাছে নিজের ভাব তর্জমা করিয়া লষ্টয়া মুখস্থ ভাষায় আমার প্রণয় বেশ অগ্রসর হইতে লাগিল। গাকশার সহিতও একটা বেশ সরস বন্ধুত্ব জমিয়া উঠিল। ক্রমে জানিলাম সেও একজন নূতন প্রণয়ী, তাহারও নাকি একটি ছোট তরুণী প্রণয়িণী আছে, হামুনে কানার মতো স্নিগ্ধ সে, তাই গাকশ। আমার ঠিক উপযুক্ত শিক্ষক তইতে পারিয়াছিল। এমনি করিয়া অনেক দিন গেল । একদিন গাকশা আমায় পড়াইতে আসিয়া খুব হাসিতে হাসিতে বলিল-—বন্ধু, বন্ধু, তুমি ধরা পড়ে গেছ ! আমি ব্যাপার কতকটা আন্দাজ করিয়া হাসিতে হাসিতে বলিলাম—কি গাকশা, কি ? * গাকশ। আমার পিঠ চাপড়াইয়া বলিল—চায়া-ওয়া তোমার প্রণয়িণী তা এত দিন আমায় বলতে হয় । আজ হঠাৎ ঐ পথে যেতে তোমাদের মিলন-মশগুল ভাব দেখে আমি আন্দাজ করে নিলাম। একথা আমায় আগে বলতে