বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭6ના প্রবাসী—চৈত্র, ১৩১৭ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড AeAeM AeAeAeeSAAA AeAeASAeAeeeeAMeAeMAeeSAASAASAASAAeeSAeeeeS SSS SSS S .م " عد . . . . . -- - - .- “... ." -- - তাহার এইসকল কাৰ্য্যে দক্ষত দর্শনে এবং অস্তান্ত সনন্দ প্রদান করেন। বলরামপুরে ইহঁার স্বনাম ও বেশ রাজকীয় ও জনহিতকর কাৰ্য্যে তাছার সহায়তা দানের জন্ত গত দিল্লীর দরবারে তিনি তিনখানি সনন্দ প্রাপ্ত হন এবং তৎকালীন শাসন-বিবরণীতে প্রশংসিত হন। প্রাদেশিক লাটসাহেব সার এণ্টনি ম্যাকডনেল বাহাদুর তাহাকে স্বনজরে দেখিতেন এবং মহারাজা বাহাঙ্কুর শাসন সংক্রান্ত নানা বিষয়ে তাহার পরামর্শ গ্রহণ করিতেন। পক্ষান্তরে তিনি বলরামপুর রাজ্যে সৰ্ব্বজনপ্রিয় ও সৰ্ব্বমান্ত ছিলেন। অবৈতনিক মাজিষ্ট্রেটের কার্য্যও তাহাকে করিতে হইত। তিনি ৩৩ বৎসর বলরামপুর প্রবাসবাসের পর ১৯০৩ অবে পরলোক গমন করেন । র্তাঙ্গর ভাগিনেয় শ্ৰীযুক্ত অবিনাশচন্দ্র মিত্র, যিনি উপস্থিত মহারাজার সহকারী প্রাইভেট সেক্রেটরী, এখানে স্বীয় মাতুলের স্মৃতি রক্ষার্থ একটা স্মৃতিমন্দির প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। উহা মন্দিরের আকারেই নিৰ্ম্মিত এবং ৩৩ ফুট উচ্চ। একটি সুবিস্তীর্ণ মনোরম উদ্যানের মধ্যস্থলে মন্দিরটা বিরাজিত এবং ইহার গাত্রে খোদিত আছে— “In memory of Gopal Krishna Bose, Raj Engineer. Born Died 20—11—1903”. গোপালকৃষ্ণ বসু মহাশয়ের পর শ্রীযুক্ত মণিমোহন বস্থ মহাশয় বলরামপুরে আগমন করেন । ইনি লক্ষেী ক্যানিং কলেজ হইতে প্রবেশিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া গোডার ডেপুটী কমিশনরের দপ্তরে কৰ্ম্ম করিতেন । সে কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া পরে এজেণ্ট আপিসের হেডক্লার্ক হইয়া বলরামপুর আসেন । ইনি স্বীয় কৰ্ম্মদক্ষতার প্রভাবে অল্পকালের মধ্যেই উচ্চ এবং সন্মানিত পদসকল লাভ করেন। এখানে ইনি পরে পরে মহারাণীর প্রাইভেট সেক্রেটরি, ষ্টেটের সহকারী ম্যানেজার, বর্তমান মহারাজার খাস কৰ্ম্মচারী (Personal থাজাঞ্চি Officer) হন এবং মাসিক তিন শত টাকা বৃত্তি পাইতে থাকেন। র্তাহাকে অনররি ম্যাজিষ্ট্রেটও করিতে হয়। বড়লাট লর্ড কার্জন তাহার কার্য্যদক্ষতার পুরস্কার স্বরূপ তাহাকে 27—11—1844 Assistant) & (Treasury প্রতিপত্তি আছে। ইহার পর আজ প্রায় বিশ বৎসর . হইল শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বাবু রাজকুমার গঙ্গোপাধ্যায় গোপালকৃষ্ণ বক্ষ মহাশয়ের স্থান অধিকার করিয়া বলরামপুরে পূর্তবিভাগীয় প্রধান কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত হন। বাবু নগেন্দ্রনাথ বস্ব তাহার অধীনে ওভারপিয়র পদে নিযুক্ত আছেন। বলরামপুর-প্রবাসী বাঙ্গালীসম্প্রদায় এ রাজ্যের সর্বাঙ্গীন হিতসাধনকল্পে সহায়তা ও কাৰ্য্যকুশলতা দ্বারা মহারাজা বাহাদুরের সন্তোষ সম্পাদন করিতে এবং স্থানীয় জনসাধারণের সন্মান ও প্রতি অর্জন করিতে সমর্থ হইয়াছেন। কালক্রমে যদি এ প্রদেশ হইতে বাঙ্গালীর প্রবাসবাস উঠিয়াও যায় তাহা হইলেও vগোপালকৃষ্ণ বস্থর স্মৃতিমন্দির বলরামপুরে বাঙ্গালী-প্রবাসের ইতিহাস চিরঞ্জাগরূক রাখিবে । শ্ৰীজ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস । নবীন সন্ন্যাসী অষ্টাবিংশ পরিচ্ছেদ । গদাষ্ট পালের বিচারকার্য্য। গদাই পাল নোটগুলি কাপড়ে বাধিয়া লইয়া, তৎক্ষণাৎ অশ্বারোহণে দরিয়াপুর যাত্রা করিল। সন্ধ্যার পূৰ্ব্বেই কাছারিতে পৌছিয়া, কেনারাম ঘোষকে ডাকিয়া পাঠাইল । কেনারাম যখন আসিল, তখন গদাই কাছারি বাড়ীর বারান্দায় বসিয়া, মুদ্রিত নয়নে হরিনামের মালাজপে নিযুক্ত। একবার মাত্র চক্ষু খুলিয়া, ইসারার কেনারামকে বসিতে বলিয়া, চক্ষু পুনমুদ্রিত করিয়া আপন মনে মালাজপ করিয়া যাইতে লাগিল। প্রায় একদওকাল এইরূপ ভণ্ডামির পর, মালামৃদ্ধ দুই হাত যুক্ত করিয়া, .श्हे মিনিট ধরিয়া প্ৰণাম করিল। তাছার পর বলিতে লাগিল— “জয়রাম শ্রীরাম সীতারাম। হরিনাম সত্য, হরিনাম সত্য, সকলি মিথ্যে, সকলি মিথ্যে—তারপর, ঘোষের পো, কি মনে করে ?”