বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । অভ্যস্ত হইয়া, ধূমকেতু, উল্কাপাত, গ্ৰহণাদি অসাধারণ প্রকাশকে বিশ্বস্রষ্টার ক্রোধের পরিচায়ক বলিয়া অনেকদিন বিশ্বাস করিয়াছে । আজও সেষ্ট বিশ্বাস—তাই সম্রাট সপ্তম এড ওয়ার্ডের মৃত্যুর কারণ আকাশে ঐ ধূমকেতু । কিছুদিন পূর্বে আমরা পশ্চিম গগনে সন্ধ্যার পর আরেকটি ধূমকেতু দেখিয়াছিলাম। সকাল সন্ধ্যা পূৰ্ব্ব পশ্চিমে ধুমকেতু ! এই বৎসর স্বষ্টি থাকে কি যায়—মহাসমস্ত ! জ্যোতিষিগণ আমাদিগকে অনেক রকম কথাই বলিতেছেন । যদিও দেখিতে গেলে, জ্যোতিষশাস্ত্র সকল শাস্ত্রের বয়োজ্যেষ্ঠ, তথাপি কোন কোন বিষয়ে ইহার আধুনিক বিস্তার ও প্রসার উহার পূর্ণ যৌবনের প্রভাবই প্রকাশ *Ca ceifso fossicaä (Physical Science) ইতিহাস আলোচনা করিলে দেখা যায় যে, সময় সময় ইহার প্রত্যেক বিভাগেই অতিশয় সজীবতার পর যেন একটা নির্জীব নিম্পনাভাব আসিয়া পড়ে। পঞ্চাশ বৎসর পূৰ্ব্বে জ্যোতিষশাস্ত্রের ইতিহাসে ঐৰূপ একটি সময় গিয়াছে । তখন দূরবীক্ষণ যন্ত্রের ক্ষমতা এবং তাছার সাহায্যে নূতন আবিষ্কার বা নুতন গবেষণার আশা যেন চরমে পৌছিয়াছিল। লিভেরিয়া (Leverier) এবং এডামস এর (Adams) আবিষ্কারের সমকক্ষ হইবার মত আর কিছু হইতে পারে তখন এমন কিছু ধারণায় আসে নাই । foiba (Newton) footto (Prism) stabs সাহায্যে স্বৰ্য্যকিরণ সপ্তধ বিশ্লেষণ করেন, আবার ঐ বর্ণচ্ছত্রের (spectrum) সপ্তবর্ণ কিরণ একত্র সংযোগে বর্ণহীন আলোক পুনঃপ্রাপ্ত হয়েন। ১৮০২ খৃষ্টাব্দে উলাষ্টন (Wollaston) সপ্তধা বিশ্লেষিত স্বৰ্য্যকিরণের বর্ণচ্ছত্রের মাঝে মাঝে ক্ষীণ স্বত্রবৎ আলোকাভাব দর্শন করেন । (Fraunhofer) ফ্রাউনহফের তাঁহাই যত্নসহকারে অঙ্কিত (map) করেন—সেই অবধি এই সকল আলোকবিহীন রেখা ফ্রাউনহফেরের নামে খ্যাত। ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দে ফুকো (Foucault) দীপালোক হইতে ফ্রাউনহফেরের রেখা পাইতে সমর্থ হইয়াছিলেন । তারপর যেদিন ১৮৬০ খৃষ্টাব্দে রাসায়নিক বুনসেন (Bunsen) এবং কিরূচহফ (Kirchhoff) Giffswfw ztw ( Sodium Vapour), তড়িত শিখা এবং আলোকবিশ্লেষণ-যন্ত্রের (Spectros ংকলন ও সমালোচন—নভোfবজ্ঞান (t 3) cope or Spectrometer) worö 'tfol offenহফেরের (Fraunhofer) D রেখা পাটতে সমর্থ হয়েন সেদিন শুধু অৰ্দ্ধবিস্তৃত ফুকে পরীক্ষার (Foucault experiment) পুনঃপ্রতিষ্ঠা নয়—সুেদিন বিজ্ঞানজগতের একটি বিশেষ স্মরণীয় দিন । যেদিন দূর জ্যোতিষ্কের আলোকরশ্মি আলোকবিশ্লেষণযন্ত্রে (Spectroscope) প্রথম পরীক্ষিত হইয়াছিল সেই দিন নভোবিজ্ঞানশাস্ত্রের জন্ম। আর ১৮৬০ খৃষ্টাব্দে তাহার যৌবনে প্রথম পদার্পণ । আজও তাহার যৌবনই চলিতেছে। একটি ছোট ছেলে আস্তে আস্তে ঠিক ঠিক সময়ে দোল দিয়া, একটি বড় দোলনাকে বেশ জোরে অনেকটা দোল খাওয়াইতে পারে। সার জর্জ ষ্টকস বলেন, (Sir George Stokes) জড় জগতের সর্ববিভাগেই ঐরাপ একটি নিয়ম আছে। আস্তে আস্তে ঠিক ঠিক সময়ে দোল দিলে, ভিন্ন ভিন্ন বস্তু সেই দোলের শক্তি নিজেদের আয়ত্ত করিয়া লয়। অনেকগুলি তার একষ্ট সুরে ( বিশেষতঃ একই গ্রামে ) বাধা হইলে, একটি বাজাইলে অন্তগুলি আপনিই বাঞ্জিয় উঠে । একটির স্পন্দন বাতাসকে আশ্রয় করিয়া অন্ত তারগুলিতে লাগিলে, অন্ত তারগুলি আস্তে আস্তে তাহা গ্রহণ করে । কিন্তু বেস্থরা তার বাজে না । আলোক শুধু ঈথর (Ether) তরঙ্গের খেলা। ভিন্ন ভিন্ন বস্তুর পরমাণু (হয়ত পরমাণুর পরমাণু – স্বহ্মাণু— তন্মাত্র পরমাণু--electrons ) বিভিন্ন, অথচ নিৰ্দ্ধারিত সময়ে তাহাদের স্পন্দনক্রিয়া সম্পন্ন করে। সুৰ্য্যরশ্মি হয়ত স্বৰ্য্য হইতে পৃথিবীতে আসিবার রাস্তায় স্বর্য্যের চারিদিকে কিঞ্চিৎ কম উষ্ণ সোডিয়াম বাম্পের (Sodium Vapour এবং অন্যাঙ্গ বাষ্প ) পরমাণুগুলিকে স্পদিত করিয়া কিঞ্চিৎ হৃতশক্তি হইয়া পড়ে । সোডিয়াম (Sodium) পরমাণু নিজেদের মত স্পন্দনগুলি নিৰ্ব্বাচন করিয়া নিজস্ব করিয়া রাখিয়া দেয়, তাই আমাদের আলোকবিশ্লেষণTGR (Spectroscope) {{GETH (Spectrum) D রেথার অভাব । স্বর্যাকিনার পরীক্ষায়, বিশেষতঃ গ্রহণকালে, আবার সেই D রেখাষ্ট সুস্পষ্ট প্রবল করিদ্রাবণ রেখা দেথায় ।