বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সং | ੋੜ কৃপালাভের সূত্রপাত। পর বৎসর ( ১৬৩৪ সাল ) তিনি কাশ্মীরের পরম রমণীয় লোক ভবন পরগণ৷ পুৰস্কার পাষ্টলেন । এই স্থান কাশ্মীররাজ ললিতাদিত্যের ইতিহাসে ংশ্লিষ্ট বলিয়া প্রসিদ্ধ, ও মনোরম উৎসধারার জন্য বিখ্যাত। এতদিন পর্য্যন্ত তিনি অষ্ঠান্ত শাহজাদার মতোই দৈনিক ৫০০ টাকা খরচ পাইতেন, কিন্তু এই বৎসর এই কিশোর বয়সেই তিনি দশহাজারী মনসবদার হইয়া প্রবীণ ওমরাত দিগের সমকক্ষতা লাভ করিলেন । রাজfচহ্ন লাল তাসু ব্যবহার করিবার অধিকার দিয়া তাহাকে দাক্ষিণাত্যের দায়িত্বপূর্ণ শাসনকার্য্যে নিযুক্ত করাও হয় এই সময়ে এবং এই কৰ্ম্মের উপযোগী যুদ্ধবিদ্য শিক্ষার হাতেখড়ি দিবার জন্য ১৬৩৫ খৃষ্টাব্দে তাঙ্গকে বুন্দেলাদিগের সহিত যুদ্ধে পাঠানো হয়। 魏 চারু বন্দ্যোপাধ্যায় । ভাগ্যচক্র একাদশ পরিচ্ছেদ পরদিন সকালে ফ্র্যাঙ্ক আসিয়া দেখিলেন ঠভা অত্যন্ত উত্তেজিত হইয়া আছেন । তিনি ব্যথিত হুইয়া স্নেহার্ড কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন-“কি হয়েছে ইভা ?” উত্তর দিতে প্রথমে চভার একটা সঙ্কোচ ও দুৰ্ব্বলতা বোধ হইতে লাগিল ;–প্রসঙ্গটা যে নিতান্ত সাঙ্ঘাতিক ! কিন্তু তিনি নিজেকে শক্ত করিয়া লইলেন । তাহার সেই কোমল প্রাণের মধ্যে যতটুকু শক্তি ও দৃঢ়ত ছিল তাহার সবটাকে তিনি জাগ্ৰত করিয়া তুলিলেন। তিনি অসহায়, পিতা তাহার পক্ষ লক্টলেন না, একলাই তিনি সংগ্রামে দাড়াইয়াছেন, এই কথা স্মরণ করিয়া নিজেকে খুব দৃঢ় રાત્રિবার জন্ত সচেষ্ট রছিলেন । একট, হতাশমিশ্রিত উত্তেজনার সহিত ইভা বলিতে আরম্ভ করিলেন—“ফ্র্যাঙ্ক ! তোমার সঙ্গে আজ একটা বোঝাপড়া করে নিতে চাই । আমার সন্দেহটা যে মিথ্যা ত৷ বুঝতে পারচি, কিন্তু মনকে তা স্বীকার করাতে পারচি না সেই জন্তে তোমার মুখ থেকে সত্য কথা শুনে নিয়ে নিঃসংশয় হতে চাই । কথাটাকে নিজের মধ্যে যতই চেপে রাখতে সংকলন ও সমালোচন—ভাগ্যচক্র ASAAAAS AAASASAAAAASA SAASAASAASAASAASAASAASAAASSS S SS لا ولا AASAASAASAASAASAASAASAASAASA SSASAS SSAS SSAS যাই ততই নিজেকে পীড়িত করে তুলি ;–আর সহ হয় না। নিজের মুখে কথাটা তোমার সামনে তুলতে পারব না বলে বাবাকে বলেছিলুম তোমাকে বলতে, কিন্তু তিনি রাজি হলেন না,—চয় তো তিনি যা ভালো, বুঝলেন সেক্টটেই ভালো, কিন্তু আমার মন যে মানচেনা তাই নিজেই তোমায় জিজ্ঞাসা করচি ।” বাধ্য হইয়া কথাটা নিজমুখে বলিতে হইতেছে বলিয়া ক্টভার মনের মধ্যে তখনো কেমন একটা ক্ষোভ হইতে লাগিল ; কিন্তু তিনি সে দুর্বলতা কাটাইয়া লইয়া বলিতে লাগিলেন,—“ফ্র্যাঙ্ক! তোমার সেই অভিনেত্রী। তারই কথা ! সে কথা আমি কিছুতে ভুলতে পারচি না ।” “কিন্তু ইভা ! সে তো—” “চুপ কর । সব কথা আগে বলে নি –বাধা পেলে হয় ত আর পারব না বলতে । - “সৰ্ব্বদাই যে আমি তাকে কাছে কাছে দেখচি—তার গায়ের গন্ধ যেন নাকে এসে লাগচে, তার কণ্ঠস্বর সদাই যেন কানে বাঙ্গচে –আমি কিছুতেই তার কথা ভুলতে পারচি না”—বলিতে বলিতে ইভা যেন ভয়ে থর থর করিয়া কঁাপিতে লাগিলেন। সেই যে কার দুটে কালে কালো চোখ, যাঙ্গ অনবরত তাঙ্গর কাছে কাছে ঘুরিং বেড়ায় তাহা যেন তখন তাঙ্গার পানে কক্কশভাবে চাহিয়৷ ” উঠিল,—সেই অলৌকিক কণ্ঠস্বরটা কানের পাশে গুমরাইতে লাগিল । তিনি যাঙ্গ বলিতেছেন, যাহা করিতেছেন, মনে হইল, তাঙ্গ যেন সেই কণ্ঠস্বর, সেই চক্ষু ফুটারই প্ররোচনায় ;–তাহারা যেন তাহার মুখ দি4 তাহাদের নিজেদের কথা বলাইয়া লইতেছে। ইভার বোধ হইতে লাগিল সেই অন্ধকারের মতো দুটো কালে কালে চোথের তীব্ৰ কটাক্ষ যেন তাঙ্গর অন্তরাত্মা পৰ্য্যন্ত পৌছিতেছে ! তিনি ভয়ে চীৎকার ফ্র্যাঙ্ক ।” তাহার চক্ষু পাছে এই দুৰ্ব্বলতায় সাহস চলিয়া যায় সেই করিয়া বলিয়া উঠিলেন—“ও ! বহিয়া জল ঝরিতে লাগিল । সমস্ত কথাটা খুলিয়া বালুবার ভয়ে তিনি তাড়াতাড়ি বলিতে লাগিলেন—“ন!—আমি তোমার মুখের উপর স্পষ্টই জিজ্ঞাসা করব ! কেন তুমি আমার কাছে অমন গম্ভীর