বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মলন্তন গীত ৬৫১ এবং উৰ্দ্ধ ছিদ্র দিয়া প্রাণ নিৰ্গত হইলে উৰ্দ্ধগতি লাভ হয়। ব্রহ্মবন্ধই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ স্থান এবং এই রন্ধ দিয়া প্রাণ নির্গত হইলে ব্ৰহ্মলোকপ্রাপ্তি হয়। এই কারণে অধিবাদী সাধক প্রাণভাগের পূৰ্ব্বে প্রাণকে মূদ্ধায় স্থাপিত করেন। যাহারা কোনও বিশেষ কালে মৃত্যু হইলে ব্ৰহ্মলাভ হয় মনে করেন তাহারাও কালবঞ্চল; সাধনঃ করেন। ইছাদের কথা ৮২৯ শ্লোকে বলা হইয়াছে । এ-সম্বন্ধে শ্ৰীকৃষ্ণ নিজের মত বলিয়াছেন । ঐ শ্লোকদ্বয়ের আলোচনা করিব । b-;२१-२t> বাiথা; কালে (驾T亿夺 তাহার ৮.৫ শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণু বলিলেন অন্তকালে ধিনি আমাকে স্মরণ করেন তিনি আমার ভােব প্রাপ্ত হন, ৯১০ শ্লোকে বলিলেন খিনি প্রধাণকালে সকল জগতের অ}ধার পুরাণ পুরুষকে স্মরণ করেন তিনি পরমপুরুষকে প্রাপ্ত হন ; পুনরায় ১৩ শ্লোকে বলিতেছেন ধিনি আমাকে স্মৰণ করিয়া হঁক!র উচ্চারণ করিতে করিতে দেহভাগ করেন তিনি পরম গতি প্রাপ্ত হন। একই প্রকার কথার কেন পুনরুক্তি হইল তাহ বিচাধা । ষ্টকার-সাধণ অধিবাদের অঙ্গ একথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি ( পূৰ্ব্বপ্রকাশিত অধিবাদ দ্রষ্টব্য। প্রবাসী--আষাঢ় ১৩৩৯ ) এজন্য ১৩ শ্লোকের উল্লেখ । অল্পমান করা যায় মহাভারতের যুগে সাধারণের মধ্যে মৃত্যুকালে কার-ধ্যান ব্যতীত আরও দুই প্রকার সাধনা প্রচলিত ছিল । অধিবাদিগণ যোগাবলম্বলপূর্বক ওঁকার ধ্যান করিতে থাকিয়া কাল বঞ্চনা করিতেন অর্থাৎ ইচ্ছামৃতু্য সাধন করিতেন এবং অপরে ওঁকার-রূপ বিশেষ অলিম্বন গ্রহণ না করিয়া কেবলমাত্র পরমাত্মার ধ্যান করিতে করিতে যোগাবলম্বনপূৰ্ব্বক কালবঞ্চন সাধনা করিতেন । ইহাদের কথা ৯ ও ১০ শ্লোকে বলা হইয়াছে। এই শেষোক্ত সাধনায় যোগ ধারণা ভিন্ন প্রকারের। কার-সাধনায় যোগধারণার স্থান মৃদ্ধ এবং এই সাধনায়ু ভ্ৰমূগলের মধ্যবৰ্ত্তী স্থান । ওঁকারসাধনার সময় ৪ শ্ৰীকৃষ্ণু ‘মামস্ত্ররণ’ এই কথা বালয়া পরমাত্মা চিস্থনের উপদেশ দিয়াছেন। খুব সম্ভব ইহা শ্রীকৃষ্ণের নিজস্ব উপদেশ : অৰ্পিবাণিগণ হয়ত কেবল ওঁকার রূপ অক্ষরের ধ্যান করিতেন। শ্লোকে যে দুই প্রকার সাধকের কথা বলা হইয়াছে ইচ্ছামুতু্যই ইয়াদের উভয়ের সাধন, কেবল উপায় সম্বন্ধে ইছাদের সামান্ত পার্থক্য আছে । ৫ শ্লোকে যোগাবলম্বনপূৰ্ব্বক ইচ্ছামৃত্যুর কথা নাই। এখনও অধিকাংশ হিন্দু যেরূপ মৃত্যুকালে তারকব্ৰহ্ম নাম স্মরণ করেন মহা ভারতের যুগেও সেইরূপ করিতেন বলিয়া মনে হয় ; ৫ শ্লেীকে তাহাদেরই কথা বল। হইয়াছে। অতএব মনে হয়, পুনরুক্তি না করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণু ৫ হইতে ১৪ শ্লোঞ্চে তৎকাল-প্রচলিত বিভিন্ন সাধন-প্রণালীর বর্ণনা করিয়াছেন । শ্রীকৃষ্ণের উপদেশের মৰ্ম্ম এই—যদি মৃত্যুকালে পরমাত্মার ধ্যান দ্বারা মোক্ষপ্রাপ্তির আশা কর, তবে সদাসৰ্ব্বদা ব্রহ্মচিন্তা কব । 冷-> o gーペ >。ーン・ウ རྗེ་ངང་དྲིལ་ ス岑