পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; ০২ এই মে পরিচয় ও সমন্বয়ের কথা বলা হইল, ইহা শুধু জ্ঞানবিজ্ঞানের মানসিক যুক্তির প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়া সম্ভব জাতীয় দৰ্শন-শাস্ত্রের আধ্যাত্মিক গবেষণার ভিতর দিয়া ইহা কতকটা সম্ভবপর হয় বটে ; কিন্তু ষ্টয়ার প্রকষ্ঠ পথ জাতীয় রসকলার ভিতর দিয়া । ব্যক্তির জাতির আত্ম আত্মপ্রকাশ করে সব চেয়ে সহজ, সরল ও স্পষ্টভাবে—তাহার রসকল (art)-পদ্ধতির ভিতর দিব্ধ। প্রত্যেক জাতির রসকল| সেই জাতির হাত্মার আশা, আকাঙ্ক , আদর্শের ভাষাস্বরূপ । ठूग्ने ठ' ! $3 জাতীয় রসকল একদিকে যেমন জাতির আত্মার অভিব্যক্তি-স্বরূপ, তেমনি আবার ইহ জাতির প্রতিভা এবং শক্তির প্রতিনিয়ত পুনরুজ্জীবন ও পূণবিকাশের প্রেরণ জাগাইয় দেয় । নানা যুগে ঘে-সকল ব্যক্তি মহাপুরুষের আসনে অধিষ্ঠিত হইয় আমরত লাভ করিয়৷ গিয়াছেন এবং বিশ্বমানবের প্রাণে নব প্রেরণা জাগাইয়। দিয়াছেন, তাহাদের জীবনী পর্যালোচনা করিলে আমর দেখিতে পাই মে, তাহারা তাহা করিতে পারিয়াছেন— তাহাদের তাপন আপন জাতিগত বৈশিষ্ট্যের ধারার সহায়তায় আত্মার বিকাশ “ শক্তি বদ্ধ ন করিয়| বিশ্বের নানা দেশ হইতে প্রেরণার অlহরণ যে জীবনের পূর্ণবিকাশের বিশেষ সহায়ক, তাঙ্গতে সন্দেহ নাই ; কিন্তু ইহাও নিঃসন্দেহ শে, বৃক্ষ যেমন আপন উৎপত্তি-ভূমির সুগভীর তলদেশে শিকড় প্রোথিত করিয়া তথা হইতে প্রতিনিয়ত জীবনী-রস আচরণ ব্যতীত স্বাস্থ্যবান, শক্তিমান ও ফুলে-ফলে সুশোভিত বিশাল মহীরূহে পরিণত হইতে পারে না, তেমনি ঘে-ব্যক্তির বা জাতির চরিত্র ও মনোবৃত্তি আপন দেশের ও জাতির আত্মার অস্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত নয়, অথবা সেই বৈশিষ্ট্যধার কর্তৃক অনুপ্রাণিত নয়, সেই ব্যক্তি ও জাতি কখনও জীবনে চরম উৎকৰ্ষ ও আনন্দ লাভ করিতে পারে ন ; পরস্তু তাহার অন্যান্য জাতির আধ্যাত্মিক দাস হইয়৷ আত্মনিকৃষ্টত-বিশ্বাসের গভীর লজ্জায় অবনত-মস্তক ও বিশ্বমানবের কৃপার পাত্র স্বরূপ হইয়া থাকে। মাকুষর পরিকল্পিত যাবতীয় রসকলায়, প্রতিভাগৌরবে বাঙালী জাতির স্থান যে বিশ্বমানবের আসরে "প্রবাসী; Sక99శు কত দর উচ্চে, তাহার উপলব্ধি বাংলার বাহিরের লোকের কথ| तं থাকুক, আধুনিক শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত শহুরে বাঙলার ও নাই । এই ত গেল আধুনিক শহুরে ও শিক্ষিত বঙ লীর মনোভাব ৎ অবস্থ। । অপরদিকে কিন্তু আমরা দেখিতে পাই যে, যাহার প্রাচীন বাংলার সংক্ৰষ্টিপ্রস্থত সমুজ্জল রসকল প্রতিভার ধার যুগের পর যুগ সন্তপণে চর্চা করিয়া সত্বে রক্ষা করিয়| আসিতেছে, তাহারা আধুনিক শহুরে শিক্ষিত s. অস্বশিক্ষিত বাঙালীর কাছে অবজ্ঞাত, নিয়াতির্ত ও পদ দলিত হইয় এত কষ্টে জৰ্দ্ধাশনে জীবন {{পন করিতেছে, অথবা অনশনে প্রতি বৎসর এত দ্রুত গতিতে মৃত্যুমুখে পতিত হইতেছে যে, বাংলার যে গৌরবময় অমূল্য জাতীয় সম্পদের তাহার বাহক, তাহার সঠিত সন্ধি আধুনিক ভ্ৰ! শিক্ষা বিমূঢ় বাঙালী অবিলঙ্গে শ্রদ্ধানত মস্তকে পরিচয় স্থাপন না করিয়! : এই সম্পদের অপূৰ্ব্ব প্রতি ভবান জাতীয় রসশিল্পীদের সামাজিক ও আর্থিক দুঃখ দন্ত দর করিয়া তাহাদিগকে শিক্ষকের আসনে বরণ করিয়! জাতির তাত্মিার সঙ্গে পুনরায় ঘনিষ্ঠ যোগ্য য় স্থাপন না করে, তাহা হইলে বাঙলা আত্মার সহিত চিরদিনের জন্য পিচ্ছিন্ন হইয়। জীবনযাপন করিতে হইবে। কাব্যর সকলার ক্ষেত্রে চণ্ডাদ স ও বৈষ্ণবকবিগণ আরস্ত করিয়া মধুসূদন ও রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ প্রতিভাশালী রসশিল্পীদের গৌরবের বলে বাঙালী আজি কতকটা মাথা তুলিয়৷ চলিতে আরম্ভ করিয়াছে। কিন্তু কি স্থপতিকলায়, কি ভাঙ্গৰ্য্যে, কি চিত্রকলায়, কি সঙ্গীতে, বাংলার নিজস্ব প্রতিভা-প্রস্বত রসসম্পদ কিছু আছে বলিয়! শিক্ষিত বাঙালী আজকাল স্বপ্নেও ভাবে না। বাষ্ট্রক জাতিকে তষ্ঠার 3 ||1 ইষ্টতে অথচ ইহা নিঃসন্দেহ যে, এই সকল ক্ষেত্রে, বাঙালী প্রাচীন যুগে যে কেবল উচ্চ প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিল তাহা নহে, আধুনিক শিক্ষিত বাঙালী যাহাদের নিকট হইতে ‘ভারতীয় রসকল অথবা ‘প্রাচ্য-রসকল শিক্ষা করিতে প্রবৃত্ত, তাহদের অনেকেই প্রাচীন যুগে বাঙলীর কাছে এই সকল রসকলার শিক্ষা গ্রহণ করিয়াছিলেন । o