বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و هند শ্ৰীকৃষ্ণ ও বড়াই পুড়ি প্রাচীন পট আপন আপন বাড়ি-ঘরকে প্রতি বৎসর সৌন্দর্য্যমণ্ডিত করিয়া রাখিবার যে অতুলনীয় প্রথা এখনও বর্তমান আছে, তাহা আবিষ্কার করিবার স্বযোগ ও সৌভাগ্য এক বৎসরকাল পূৰ্ব্বে আমার হইয়াছিল। ঘরে ঘরে মেয়েদের হস্তাঙ্কিত এই প্রাচীর চিত্রকলার সৌন্দর্য্যের গৌরবের ফলে পশ্চিম-বাংলার স্থদুর নিভৃত প্রদেশের এক একটি গ্রামকে এখনও এক একটি ছোটখাটো রকমের ‘জীবন্ত অজস্তা বলিয়া অভিহিত করিলে অত্যুক্তি হইবে না। বাংলার পল্লীচিত্র-শিল্পের যে তিন প্রকার পদ্ধতির কথা বল হইল, ইহার মধ্যে গ্রাম ‘পটুয়া’দের অঙ্কিত লম্ব চিত্রপটগুলিই সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্ট ও উচ্চাঙ্গের চিত্র-রসকল । বাংলার সামাজিক ও ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় রীতিনীতির পরিবর্তনে এবং বঞ্ছন শিক্ষার ফলে ইহা এখন বিলুপ্তপ্রায়। কিন্তু এই বিলুপ্তপ্রায় অবস্থায়ও ইহা যে এখনও বাংলার জাতীয় জীবনের একটি শ্রেষ্ঠতম ও গৌরবময় সম্পদ, তাহ নিঃসন্দেহভাবে বলা যাইতে পারে। বর্তমানকালে বাংলা দেশে কলিকাতার কালীঘাট অঞ্চলের পটুয়াদের অঙ্কিত চিত্রকলা সাধারণের কাছে পরিচিত। কালীঘাটের পটুয়াগণ শহুরে ও বিজাতীয় আবহাওয়ায় পড়িয় তাহাদের প্রাচীন বিশুদ্ধ ও সুন্দর পটাঙ্কন-কৌশল প্রায় হারাইয়া ফেলিয়াছে। কিন্তু বাংলার মৃদুর পল্লীতে পল্লীতে দীনদরিদ্র গ্রাম্য ও পটুয়া শ্রেণীর মধ্যে এখনও সেই প্রাচীন ধারা নৃানাধিকভাবে বৰ্ত্তমান রহিয়াছে এবং তাঁহাদের পূৰ্ব্বপুরুষদের অঙ্কিত পটের যে-কয়েকটি নিদর্শন সংগ্ৰহ করিবার সৌভাগ্য আমার হইয়াছে তাহতে বাংলার এই পল্লীবাসী পটুয়া শ্রেণীর চিত্রশিল্পে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়া অবাক হইতে, হয়। বিশ-পচিশ বৎসর পূৰ্ব্ব পর্য্যন্ত ইহার এই সকল পট, $3.