বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ট্রেমে এক রাত্রি বৈশাখ ף לצ তোমাদের কথাই আলাদা । কিন্তু আমাদের বয়সটাও হোক। এ রকম অহস্থ শরীর নিয়ে ত আর বসে যাওয়া ত অনেকটা গড়িয়ে এল। তাহলে তুমি বস, আমি চলে না। একটু গড়াগড়ি দিয়ে নিই। কিন্তু শোবার জায়গা কোথায় ? মেঝেতে যার ভদ্রলোক বাঙ্কের ওপর চড়বার পথ খুঁজতে লাগলেন। বেঞ্চের ওপরে ঘেষাঘেষি ভাবে সার বেঁধে যাত্রীরা ঘুমের ঘোরে গাড়ী চলার তালে তালে মাথা নাড়ছে। কোথায় একটু চরণস্থাপন করে ওপরে ওঠবার বিন্দুমাত্র স্থান নেই। আরোহণকালে লোকগুলির শ্ৰীঅঙ্গে পাদম্পর্শ হলে তারা তাকে কি ভাবে যে আপ্যায়িত করবে, সে কথা মনে করে - তিনি অতি সস্তপণে ওপরে উঠবার জন্যে নানারকম কসরৎ করতে লাগলেন। অনেক কষ্টে খানিকট উঠেছে এমন সময় একটা অস্ফুট কাতরধ্বনি শুনতে পেলম, দেখলুম ছেলেটি মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে দুই হাতে বুক চেপে ধরে আর্তনাদ করছে, ভিড় ঠেলে তাড়াতাড়ি এগিয়ে গেলাম, কি হয়েছে দেখবার জন্যে । ভদ্রলোকটির বিশাল পদযুগলের একটি তখন অনেক কষ্টে ওপরে স্থান লাভ করেচে এবং আর একটি তার সঙ্গে মিলিত হবার জন্তে প্রাণপণ চেষ্টা করছে, তিনি ছেলেটার অবস্থা দেখে উঠবেন কি নেমে আসবেন, এই ভাবতেই ভাবতেই বোধ হয় সেই অবস্থায় ত্রিশঙ্কুর মত ঝুলতে লাগলেন ? আমি ছেলেটির কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলুম—কি হয়েছে । সে অতি কষ্টে আস্তে আস্তে বললে—বুকে হঠাৎ কি রকম একটা pain হচ্ছে। ভদ্রলোক তখনও ঝুলছেন, বললেন—ফিক ব্যথা, না কলিক ? ভিড়ের মধ্যে থেকে কে যেন বিরক্তম্বরে বলে উঠল,—নেমে দেখুন না মশায় কি হয়েছে। খাবার বেলায় ওর মুখের জিনিষ নিয়ে খুব ত বাগিয়ে খেলেন । অগত্যা ভদ্রলোককে নামতে হ’ল। নাম কি সোজা ? অনেক কষ্ট্রে যখন অবতরণ কাৰ্য্য সমাপ্ত হ’ল তখন পরিশ্রমের আতিশয্যে তিনি স্থাপাচ্ছেন। সকলের চেষ্টায় ছেলেটি যখন একটু সামলে উঠল তখন আমরা প্রস্তাব: করলাম যে, ওকে একটু শোবার জায়গা করে দেওয়া বিছানা পেতে শুয়েছিল, তারা আত্মত্যাগের এমন উজ্জল দৃষ্টান্ত দেখাবার স্থযোগ পেয়েও রাজী হ’ল না, অবশেষে স্থির হ’ল যে, ভদ্রলোকের বিছানাতেই ওকে তুলে দেওয়া হোক । এ-রকমটা যে ঘটতে পারে তা তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি। যাত্রার প্রারম্ভে অনেক কৌশলে তিনি সুনিদ্রার আয়োজন করে নিয়েছিলেন । কিন্তু দৈবের পরিহাস দেখে তিনি সত্যিই আতঙ্কে বিহ্বল হয়ে পড়লেন। কিন্তু উপায় নেই। কিছু আগেই ওই অস্বস্থ মানুষটির অনেক ভালমন্দ দ্রব্য উদরসাৎ করেছেন। চক্ষুলজ্জাও ত আছে। তিনি কেবল নিরুপায়ের মত মাথা চুলকে বলতে লাগলেন, তাই ত আমি মোটা মানুষ, কিন্তু তার মৃদু আপত্তিতে কেউ কান দিলে না। ধরাধরি করে ছেলেটিকে বাঙ্কের ওপরে তুলে দেওয়া হ’ল । অল্পক্ষণের মধ্যেই সে শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। আবার যে যার জায়গা অধিকার করে ঢুলুনির পুনরভিনয় আরম্ভ করলে–গাড়ী চলেছে একটান অশ্রান্ত । বাঙ্কের শিকলগুলি ঝন ঝন্‌ করে তার চলার ছন্দে তাল দিচ্ছে । বাইরের অন্ধকার, রাত ক’রে ওঠা একফালি চাদের আলোয় ফিকে হয়ে এসেছে, আর ভেতরের বৈদ্যুতিক আলোটা মাতালের চক্ষুর মত স্তিমিত দেখাচ্ছে । সারারাত ধ’রে গাড়ী চলল, মাঝে মাঝে ষ্টেশন,— যেন তণ্ডাঘোরে ঝিমুচ্ছে। কচিং দু-একটা লোক নেমে যাচ্ছিল। ছেলেটি বোধ হয় এখন ভাল আছে, বেশ শাস্ত হয়ে ঘুমুচ্ছে, ভদ্রলোকের কিন্তু সত্যই বড় কষ্ট হয়েছে, দেখলে দুঃখও হয়। শরীরের অপরিমিত মাংসস্তুপগুলিকে রাখবার জায়গা যেন বেচারা পাচ্ছে না। ভোরের আলোয় রাতের অন্ধকার যখন গলে যেতে স্থর হয়েছে, তখন গাড়ী এসে সাতরাগাছিতে পৌঁছল । ७षाप्न ििकई करनके करक, স্বতাংগাটা অনেকক্ষণ দাঁড়াবে ಜ್ o ఇ•."