বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ নারী সমবায় ভাণ্ডার })ఫి করিয়া ঘন্টার পর ঘণ্টা হাসিমুখে বিক্রেতার কাজ করিতেছিলেন, কাপড় এই দোকানটি যে আজ পর্যন্ত চলিতেছে তাহ ঐযুক্ত BBBBBS BBB BBBBB BB DD DBBBS BBB BBBB BBB S BBB BBBBBB BB BBBBBS শহরে পর্দা নাই তাহা সকলেই জানেন, সেখানে মেয়ের অবাধে ট্রামে ও পদব্রজে যাতায়াত করেন। তথাপি এই অভিনব দৃপ্ত দেখিবার জনা দোকানে ক্রেতার খুব ভিড় ছিল, সেজন্য মেয়েদের পরিশ্রমেরও শেষ ছিল না। আমি যখন দোকানে যাই তখন নানা রকমের কাপড় ছাড়া দোকানে অন্য বিশেষ দ্রষ্টব্য ছিল না। শ্ৰীযুক্ত শাস্তা দেবী দেখিয়া আসিয়াছেন বোম্বাইয়ের মিলে কত রকমের কত রঙ্গের বস্ত্রাদি প্রস্তুত হয় এবং সেখানে অবস্থাপন্ন ধনী লোকেরাও স্বদেশী ছাড়া বিদেশী ব্যবহার করেন না । বাঙালা দেশে অর্থসাহায্য পাওয়া কঠিন, এখানকার যে দু-একটি দেশীয় মিল আছে তাহীদের আবার উদ্ভাবনী শক্তি কম। উত্তরকলিকাতাবাদী কয়েকটি মহিলার এক স্থানে স্বদেশে উৎপন্ন সমুদয় জিনিষ সংগ্ৰহ করিয়া নারীদের জন্য একটি দোকান খুলিবার আগ্রহ হইল । ১৯৩০ সালে আমার ইয়োরোপে যাইবার প্রাক্কালে নারী শিক্ষা-সমিতি হইতে নারী সমবায় মণ্ডলী বলিয়া একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান রেজিষ্টারী করা হইয়াছিল । উহার উদেষ্ঠ ছিল যে, সকল অভাবগ্ৰস্ত নারী নারী-শিক্ষা-সমিতিতে শিক্ষা পাইয়া গৃহে বলিয়৷ তাহাদের দ্রবাদি বিক্রয় করিতে চান, তাহার। মণ্ডলীর অংশীদার *$য় তাহাজের দ্রব্যাদি বিক্রয়ার্থ পাঠাইতে পরিবেন। আমরা স্থির করিলাম, দু-এক জনের মুখাপেক্ষ না করিয়া নারী শিক্ষা সমবায় মণ্ডলীর শেয়ার বিক্ৰী করিয়া একটি স্বদেশী দোকান থোল। tটক যাহাতে মহিলাদের প্রস্তুত জিনিষও থাকিবে এবং কাপড় প্রভৃতি নানা রকম স্বদেশী নিত্যব্যবহার্য্য দ্রব্যও থাকিবে । নারীশিক্ষণনমিতির, বার্ষিক চাদ ৫ । কিন্তু মণ্ডলীর সত্যদের জন্য আমরা বাৰ্ষিক টাদ। ১ এবং প্রতিশেয়ার ৫\ করিয়া স্থির করিলাম । এইরূপ একটি দোকানের বিশেষ অভাব আছে দেখিয়া আমাদের কয়েকজন উৎসাহী মহিলা সভ্য উৎসাহের সহিত শেয়ার বিক্ৰী করিতে আরম্ভ করিলেন। আমাদের এই প্রথম উদ্যম, আমরা কখনও এরূপ কঠিন কার্য্যে অগ্রসর হই নাই সেজন্য যাহীদের নিকট আমরা শেয়ার বিক্ৰী করিয়াছি তাহীদের বলা হইয়াছে যে, কৃতকাৰ্য্য হই ব৷ না হই তাহার বেন মেয়েদের প্রতিষ্ঠান বলিয়া শেয়ার-ক্রয়ের টাকা দান-স্বরূপ মনে করেন। কিছু অর্থ সংগ্ৰহ হইলে ৭২ বি কলেজ ষ্ট্রট মাকেটে নারী সমবায় ভাঙার নাম দিয়া দোকানটি খোলা হইল। অক্লাস্ত পরিশ্রমে। তিনি প্রাণমন দিয়া ইহাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য পরিশ্রম করিয়াছেন। উrহার সময় ও অর্থ অকাতরে ব্যয় করিয়াছেন, শ্ৰীযুক্ত চারবাল মিত্র, শ্ৰীযুক্ত প্রতিভা দেন, শ্ৰীযুক্ত ব্রহ্মকুমারী রায়, স্ত্রীযুক্ত। স্বরতি বস্তু, স্ত্রীযুক্ত স্বরম। সেন, শ্ৰীযুক্ত প্রতিভা সেনগুপ্ত এই কয়টি মহিলা পরিশ্রম করিয়া ভাণ্ডারটিকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন । কোথায় মাসিক দুই হাজার টাকা ভাড়া, কোথায় আমাদের মাদিক ত্রিশ টাকা ভাড়া ; কোথায় বস্ত্রব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ও সাহায্য, কোথায় আমাদের ব্যবসায়ীদের কথা দূরে থাকক বঙ্গীয় জনসাধারণের উদাসীনতা ! আমাদের মধ্যে একতা নাই। মেয়েদের অনুষ্ঠান, সুতরাং মেয়ের। এখানে ক্রয় করিয়া দোকানের সাহায্য করিব সে ভাব আমাদের নাই । কিন্তু যদি বা কখনও অস্ত দোকান হইতে দু-এক আন দামের পার্থক্য হয়, তাহা হইলে নিনার শেষ নাই । ভাণ্ডারটি কোন ব্যক্তিবিশেষের নিজস্ব সম্পত্তি নহে--ইহ লোকে মনে রাখেন না, যদি লাভ হয় তবে অংশীদাররাই তাহ পাইবেন এবং মেয়েরাই ইহার অংশীদার। দোকানে প্রত্যেক জিনিষ বিক্রয়ের কমিশন একমাত্র লাভ, দোকানের নিজস্ব জিনিষও নাই যাহ। বেশী দামে বিক্রয় হইতে পারে, তবে ইহা হইতে পারে, মে, বাজার-দর সৰ্ব্বদা বদলায়, সেজন্ত দু-এক সময় দামের তারতম্য হইয়াছে, কিন্তু মাত্র এক বৎসর দোকানটি প্রতিষ্ঠিত, পরিচালিকাদিগকে ব্যবসায় শিখিতেও সময় লাগে। অস্তুতঃ নারীগণ যদি নারীদের প্রতিষ্ঠিত দোকান বলিয়া সেখান হইতে র্তাহীদের মিতাব্যবহায্য দ্রব্যাদি ক্রয় করেন তাহ হইলে দোকানটি সুপ্রতিষ্ঠিত থাকিবে নিশ্চয়। যোম্বাইয়ের সহিত আমাদের কোন বিষয়েই তুলনা করা যায় ন। তাহ দেখাইয়াছি। কিন্তু গৌরবের সহিত মুক্তকণ্ঠে ইহা ঘোষণা করিব, যে, কয়েকটি মহিলা প্রাণপণে এই দোকানটি সুপ্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন । নারীশক্তির জয় হুইবেই । বঙ্গদেশের নারীরা কলিকাতায় বেড়াইতে অসিলে একবার ভাণ্ডারটি দেখিয়া পরিচালিকাগণকে উৎসাহিত করেন এই তাহীদের নিকট নিবেদন । এখানে আমার বলা উচিত যে, বিদেশপ্রত্যাগত বাঙালী পুরুষকৰ্ম্মদের নিকট আমরা সব সময়ে উৎসাহ পাইয়াছি। তাহারা যেন পত্নীদের সহিত ভাণ্ডারে আগমন করিয়া আমাদের সাহায্য করেন।