বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゞも3 S99శు ক্ষতি হইবে বলিয়। ত মনে হয় না। ৪২-৪৩ পৃষ্ঠায় “গরমীকালে ফল থেতে কত মজ|”, আবার অন্যত্র মজা = অস্বাদ । “হজরত ইয়ম্ফ" গল্পে পিতা পুত্রকে হিন্দুর মতই “বাছা" বলিতেছেন, কিন্তু পুত্র পিতাকে “আব্বাঙ্গান” বলিতেছে, “স্বপ্ন” আছে, “খাব” নাই । কিন্তু পাছে মুসলমান পাঠকের মনে করেন লেখকের আরবী-ফসীর প্রতি "দরদ” কম, বোধ হয় সেই আশঙ্ক। এড়াইবার জন্য নিম্নলিখিত রূপে বাংলা শব্দের “ অর্থ” দেওয়া হইয়াছে —কতজ্ঞতা = শোকর গুয়ারি ( ২৯ পু: ), মাহাত্ম্য - বোযগা (৩৮ পূঃ), মহাপাপ = কবীরাহ, গোনাহ ( ৫৭ পূ: ) । একস্থানে হত্যা - খুন, অন্যত্র, খন = রক্ত ( ৬ পূ: ) । ঐ পুস্তকের দ্বিতীয়ভাগে যে “শক্ষার্থ" দেওয়া আছে তাহার কয়েকটি এই –৮ষ্টি = পয়দা, নিপাপ = বে-গুনাহ (৬ পু: ), পাপপুণ্য -- নেকিবদি ( ৭ পূ: ), আশ্রয় = পানাহ ( ৮ পূঃ ), আস্বাদ = মজা ( ১১ পু: ), মুদু – আহেস্তা ( ২০পৃ: ), স্বপ্নাদেশ =খাবের হুকুম (২৫ পূ:) দুরাত্মা- গরীব (২৫ পূ:) (অতএব দরিদ্রেরা ও “দুরাত্মা" ), ইতরপ্রাণী -মানুষ ভিন্ন অন্ত জনোয়ার (৬৮ পূঃ) – তাহ হইলে, মাল্লযও একরকম "জানোয়ার" ; ) পূজ্য - মার্বুদ ( १४ %: ) । একটু উচ্চ শ্রেণীর বাংলা লিখিতে গিয়া “মত্তব-মাদ্রাস সাহিত্য” ( চতুর্থভাগ ) পুস্তকের রচয়িতা ও বহুস্থানে হাস্তাকর শব্দ-সমাবেশ করিয়াছেন । যথা –“জননীও জাম্নাংবাসিনী হয়েন (-পরলোক গমন করেন","মেহেরবান খোদ রায়ালাব অপার করুণায়"; "তুমি রহমান, সৰ্ব্বশক্তিমান” ; “অর্ণবপোতাদির আবিষ্কার হওয়াতে পানিপথে বাণিজ্যের প্রসার হইয়াছে”—ইত্যাদি। (ইহ যুদ্ধের পানিপথ নহে ) অথচ । এই পুস্তকেই মধুসূদনের বিখ্যাত কবিতা “বঙ্গভাষা”ও স্থান পাইয়াছে। মাতৃভাষার প্রতি অনাবিল ভক্তিপূর্ণ এই কবিতাকে বিদ্রপ করা সঙ্কলনকারীর উদ্দেশু নহে ত ? এই শ্রেণীর মুসলমান লেখক যদি মধুসূদনের মত নিজেদের বদ্ধমূল বিজাতীয়তার মোহ একেবারে এড়াইতে পারিতেন তবে বাংলারশিলেক দুঃখ দূর হইত। যে-যুগে বীর তুর্কীজাতি কোরাণ এবং নমাজ পাঠ পৰ্য্যস্ত আরবীতে না করিয়া মাতৃভাষায় করিতে আরম্ভ করিয়াছে, সে যুগে ভারতীয় পরাধীন মুসলমানদের অন্ধ বিজাতীয় অন্তকরণ নিশ্চয়ই বুদ্ধিমত্ত ও পৌরুষের বিষয় व्{{३ ! সাহিত্য স্থষ্টির দিক দিয়াও এ-কথা বিবেচনা করা উচিত। অন্তকরণ দ্বারা কোন মহৎ কার্য হয় না, সাহিতা রচন ত নিশ্চয়ই না। শিক্ষিত হিন্দু ও শিক্ষিত মুসলমানের লেখা বাংলা কেন এক রকম হইবে ন, হিন্দুবিদ্বেষ ও প্যান-ইসলামিজম্‌ ভিন্ন তাহার অন্য কোন কারণ খুজিয়া পাওয়া কঠিন । প্রথমে যখন এ দেশয় লোকেরা খৃষ্টয়ান হইতে আরম্ভ করিয়াছিল, তখন তাহাদের অনেকেই মনে বরিত তাহারা “রাজার জাতি”। গ্রাম্য প্রবাদাতুসারে তেলাপোকা যেমন কুঁচপোকার কথা ভাবিতে ভাবিতে কঁাচপোকা হইয়া যায়, তেমনই হিন্দু খৃষ্টয়ান হইয় ভাবিত ক্রমে ক্রমে সে ইংরেজ হইয়া ধাইবে । দেশীয় পৃষ্ঠান সমাজের সে মোহ এখন গিয়াছে। কিন্তু ভারতীয় মুসলমান সমাজে সেই "কচিপোকা" হইবার আশা এখনও খুব প্রবল। ইংরাজ সরকারের ইঙ্গিতে এবং পান ইসলামিজমের "পুবের” ঘোরে তাহাদের অনেকে মনে করেন তাহারা প্রচ্ছন্ন আরব কি তাতার ৷ খৃষ্টপ্রচারসমিতির চেষ্টায় এখন বিশুদ্ধ বাংলায় খৃষ্ঠান ধৰ্ম্মের প্রচার হইতেছে, ইংরাজি ভাষার অ-স্বাভাবিক প্রেম ত্যাগ করিয়া ভূতপূৰ্ব্ব "নকল ইংরেজ"গণ এখন আসল ভারতীয় হইয়। খাট ভারতীয় ভাষাই ব্যবহার করিতে আরম্ভ করিতেছেন। অপরপক্ষে, এক শ্রেণীর মুসলমান পটি বাংলাকে বিকৃত করিয়া লিখিয়া মনে করিতেছেন যে, তাহার। আরব ও পারস্তের দিকে অনেকটা অগ্রসর হইয়া পড়িয়াছেন । মুসলমান সমাজে স্ব-লেখকের অভাব নাই। যেসমাজে "বিষাদসিন্ধু”, “মহৰ্ষি মন্‌স্কর” প্রভৃতি সদ্‌গ্ৰন্থ রচনা হইতে পারে, যে-সমাজে মি: ওয়াজেদ আলি, কাজি নজরুল, কাজি আবুল হোসেন, মৌলানা আক্রম খাঁ প্রভৃতি লেখক এবং শ্ৰীমতী ফাতেম খানম, শ্ৰীমতী বেগম সুফিয়া হোসেন, শ্ৰীমতী স্কফিয়া খাতুন প্রভৃতি লেখিকা বর্তমান, সে-সমাজে খাটি বাংলা রচনায় যশস্বী ছিন্থ:

à W