বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S99ు { مb BBBB BBBB BBBBBB BBBB BB BS BBB BBB BBS BBBBBB S S gg S BBBBBB BBB BB BBBBBB BBBS BBBBBBS BBS BBBBBB BBBB B BBBBB BBBBBS অবশ্য মানিয়া লইতে হয় এবং তাঙ্গাও যে বাদশাহের অনুমোদিত ছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই । যশোর-রাজ্য-বিভাগ প্রতাপের একচ্ছত্র হলাভের আশা দিন-দিন বুদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়ায়, বিক্রমাদিত্য যশোর-রাজ্যকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়া দিয়া প্রতাপকে দশ আনা ও বসন্তুরায়কে ছয় আন সম্পত্তি দিয়া যান । যশোর-রাজ্য ভাগীরথী হইতে মধুমতী পৰ্য্যস্ত বিস্তুত ছিল । পূৰ্ব্ব ভাগ প্রতাপের ও পশ্চিম ভাগ বসস্তরায়ের অংশে পড়ে । কিন্তু চাকসিরি বা চকশ নামে একটি স্থান পূৰ্ব্বদিকে বসন্তরায়ের অধিকারে থাকায় প্রতাপাদিত্য তাহ পাইবার জন্য চেষ্টা করিয়! অকৃতকার্য্য হন এবং বসন্তরায়ের প্রতি রুষ্ট হইয় উঠেন । ইতিহাসের দ্বার সমর্থিত না হইলেও ঘটনাপরম্পরায় এ সকল কথাকে মানিয়া লওয়া যায় । প্রতাপ অবশেষে বসন্তরায়কে হত্যা করিয়া সমস্ত যশোর-রাজ্যের টু ইয়। হইয়াছিলেন। যে-সময়ে পাদরীগণ এদেশে আসেন, তখন প্রতাপাদিত্য সমস্ত যশোর-রাজ্যেরই রাজা । ঠাহীদের বর্ণন হইতে আহ। বুঝা যায় । প্রতাপের রাজধানী গঠন যশোর নগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে পূমঘাট নামক স্থানে প্রতাপ তাহার রাজধানী গঠন করেন । বসস্তুরায় তাহীদের স্থাপিত যশোরেই অবস্থান করিতেন । এই দুই নগর পরে এক হইয়। যশোর বা ধুমঘাট নামেই অভিহিত হয় । প্রতাপ শোরেশ্বরী পীঠদেবড়ার স্থান নির্ণয় করিয়া তাহার মন্দিব নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন বলিয়। কথিত হইয়। থাকে, ধুমধাটে দুর্গনিৰ্ম্মাণ, তাহার নিকটবৰ্ত্তী স্থানে জাহাজাদি রাখিবার এবং কামান, বন্দুক ও গোলাগুলি প্রস্তুতেরও স্থান হয় । প্রতাপে কামান, বন্দুক ও গোলা গুলি আজও দেখিতে পাওয়া যায়। প্রতাপ, সাগরদ্বীপে র্তাহার নৌবাহিনীর বস্ত্ৰ-মহাশয়গু ভাতাই বলিয়াছেন । সেইজন্য র্তাহীদের নিকট প্রতাপাদিত্য সাগরদ্বীপের শেষ assii (Last King of Saugur Island) *f; উল্লিখিত হইয়াছেন । আলোচনা করিব । চ্যাণ্ডিকান সম্বন্ধে আমরা পরে উড়িয্যায় প্রতাপ প্রতাপ মোগলের অধীনত স্বীকার করিলেও মধ্যে মধ্যে স্বাধীনত অবলম্বনের ইচ্ছা করিতেন । যখন মোগলের উড়িয়ায় কতলু খাঁ প্রভৃতি পাঠানদিগকে দমন করিতে ব্যস্ত, সেই সময়ে প্রতাপাদিত্য একবার উড়িষ্যায় গিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয়। র্তাহার আনীত গোবিন্দদেব বিগ্রহ ও উৎকলেশ্বর শিবলিঙ্গ হইতে তাই रृङ्गं । যায়। উৎকলেশ্বর শিবলিঙ্গের মন্দিরের প্রস্তর-ফলকে-- উক্ত শিবলিঙ্গ উৎকল হইতে প্রতাপক লুক আনীত ও বসন্তুরায় কর্তৃক স্থাপিত বলিয় লিখিত ছিল, অনেকে তাহা দেখিয়াছেন মন্দিরের এখন আর অস্তিত্ব নাই । প্রস্তর-ফলক, শিবলিঙ্গ ও তাহার কিন্তু গোবিন্দদেব আজও বিদ্যমান আছেন । উড়িষ্যায় প্রতাপ কোন পক্ষে যোগ দিয়াছিলেন, তাহ লষ্টয় মতভেদ আছে । বিশ্বকোযে এবং পরে সতীশচন্দ্র মিত্রের যশোহর-খুলনার ইতিহাসে প্রতাপ মোগলপক্ষে যোগ দিয়াছিলেন বলিয়৷ উল্লেখ দেখা যায় । কিন্তু আমরা মনে করি যে, তিনি পাঠানপক্ষেই যোগ দিয়াছিলেন । কারণ পাঠান-সদণর কতলু খর সহিত র্তাহার পিত। বিক্রমাদিত্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল । আমরা একথা প্রতাপাদিত্য গ্রন্থে উল্লেখ করিয়াছি । মোগলের জমাদারদিগকে তাহদের সহিত যোগ দিব র জন্য আহবান করায়, প্রতাপাদিত্য তাহাদের সহিত যোগ দিয়াছিলেন বলিয়া যাহার মত প্রকাশ করিয়া থাকেন, তাহাদের সে কথা অপেক্ষা বিক্ৰমাদিতোর সহিত কতলু থার বন্ধুত্ব এবং কতলুর কনিষ্ঠ পুত্র জমাল খাকে প্রতাপাদিত্যের সেনাপতিনিয়োগ করায়, প্রতাপাদিত্যের পাঠানপক্ষে যোগদানই যে অধকতর সম্ভবপর ইহাই মনে হয়। আবার, আমিীদের