পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$68 গান্ধীর চেলা ছিলেন এবং তথাকার ভারতীয় সত্যাগ্রহের ংস্রবে জেলে গিয়াছিলেন। স্তর তেজ বাহাদুর সাপ্রর সহিত র্তাহার খুব ঘনিষ্ঠত আছে। ৮ই এপ্রিলের বিলাতী “নিউ ষ্টেটসমম্যান এও নেশ্যন” লিখিয়াছেন, যে, সেন্সরি সতর্কতা সত্ত্বেও ভারতবর্ষে অনুষ্ঠিত দমনপ্রণালীর প্রামাণিক রিপোর্ট পাওয়া গিয়াছে। ঐ কাগজ বলেন, “রিপোর্টগুলি এরূপ প্রমাণের সমষ্টি যে তাহার অস্তিত্ব উপেক্ষ করা চলিবে না। মিঃ ম্যাকডনাল্ড যদি ভারতবর্ষে নিজের কোন প্রভাব বজায় রাখিতে চান, তাহা হইলে তাহাকে, দরকার হইলে, মন্ত্রীপরিষদে র্তাহার সঙ্গীদিগকে অগ্রাহ করিয়াও, অবিলম্বে এবিষয়ে ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করিয়া তাহাতে দৃঢ় থাকিতে হইবে।” বিলাতী কাগজটির এই কথাগুলি পড়িয় মনে হয়, উহার সম্পাদক মনে করেন ভারতবর্ষে এখনও মিঃ ম্যাকডন্যাল্ডের কিছু প্রভাব অবশিষ্ট আছে, এবং তিনি ভারতবর্ষের লোকদের তাহার প্রতি শ্রদ্ধার মূল্য বুঝেন ও তাহা গ্রাহ করেন, অধিকন্তু তিনি প্রধান মন্ত্রী থাকা অপেক্ষা ভারতবর্ষে স্বীয় প্রভাব রক্ষা করা বাঞ্ছনীয় মনে করেন । এই তিনটি বিষয়েই আমাদের সন্দেহ আছে । খালাসের পর আবার গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে অস্ত্রাগার-লুণ্ঠনের মোকদ্দমায় ১৯ মাসব্যাপী বিচারের ফলে ১৬ জন আসামী বেকসুর খালাস পায়, কিন্তু পুলিস তাহাদিগকে আবার গ্রেপ্তার করে । তাহারা বিনা বিচারে অনিদিষ্ট কাল বন্দী থাকিবে । বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় প্রশ্নের উত্তরে মি: প্রেন্টিস বলেন, গত ২৩শে মার্চ পৰ্য্যন্ত ৪২ জন লোককে আদালতের বিচারে খালাস পাইবার পর আইন বা অর্ডিন্যান্স অনুসারে গ্রেপ্তার করিয়া আটক রাখা হইয়াছে। ঐ তারিখ পর্য্যস্ত ৭১৭ জন লোক বিনা বিচারে বন্দী হইয়া আছে। ৮ই এপ্রিল তারিখে, বেআইনী ভাবে গোপনে অস্ত্র আমদানী করার মোকদ্দমায়, কলিকাতার প্রধান প্রেসিডেন্সী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রমাণাভাবে ১৬ জgলভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছাড়িয় দেন । তাহাদের মধ্যে এগার জনকে পুলিস আবার গ্রেপ্তার করে। و نه دگoگ «خ তাহা হইলে দেখা যাইতেছে, যে বহুশত বাঙালী ; পুরুষ ও মহিলাকে বিনা বিচারে অনিদিষ্ট কালের জন্য বলা করিয়া রাখা হইয়াছে, তাহদের মধ্যে অধিকাংশ যে দোষী তাহ প্রমাণ করিবার কোন চেষ্টাই হয় নাই। সুতরাং তাহাদিগকে নির্দোষ বলিয়া মনে করিতে হইবে। পঞ্চাশ জনের বেশী লোকের বিচার হইয়াছে। তাহার দোষী প্রমাণ না-হওয়ায় বা নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় খালাস পাইয়াছে। অথচ তাহাদিগকেও অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্দী করিয়া রাখা হইয়াছে ! বিনা-বিচারে বন্দীদের নির্বাসন আইন যাহাদিগকে বিনা বিচারে বন্দী করা হইয়াছে, তাহাদের দোষের বা নির্দোষিতার প্রমাণ ঐরূপ! অথচ এই প্রকার লোকদিগকে শুধু বন্দী রাখিয়াই গবন্মেন্ট সন্তুষ্ট নহেন। তাহাদিগকে বাংলা দেশ হইতে নিৰ্ব্বাসিত করিয়া আজমীর প্রদেশে রেলওয়ে ষ্টেশন হইতে ৭০ মাইল দূরে স্থিত বিশেষ করিয়৷ তাহদের জন্য নিৰ্ম্মিত একটা জেলে অনির্দিষ্ট কালের জন্ত আটক করিয়া রাখিবার নিমিত্ত একটা আইন পাস হইয়াছে। সরকার বাহাদুর এই প্রকারে বঙ্গীয় ত্রাসোৎপাদক দলের উচ্ছেদ সাধন করিবার আশা রাখেন। কিন্তু গোড়ায় গলদ এই যে, লোকগুলি যে ত্ৰাসোৎপাদক বা বিপ্লবাত্মক কোন অপরাধ করিয়াছে বা করিতে চায়, তাহার কোনই প্রমাণ নাই। এই আইন সম্বন্ধে তর্কবিতর্কের সময় শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতীশচন্দ্র নিয়োগ বলেন— বিন বিচারে আটক রাখিয়া গবর্ণমেণ্টের উদ্দেপ্ত সিদ্ধ হয় নাই, এই নিৰ্ব্বাসনের ব্যবস্থা দ্বারাও হইবে না। জুলুম হইতে প্রতিশোধের ইচ্ছা জন্মে এবং তাহা হইতে আবার জুলুমের প্রবৃত্তি আসে। এই গোলকধাঁধার মধ্যে গবর্ণমেন্ট ও বিপ্লবীর ঘুরপাক খাইতেছেন। আমরা বিপ্লববাদের তীব্র নিন্দা করি । কিন্তু তাই বলিয়। গবর্ণমেন্ট কর্তৃক বিভীষিকা উৎপাদনের সমর্থন করিতে পারি না। আমি এই সভাকে স্মরণ করাইয়। দিতে চাই, যে, ১৯২৫ সালে স্তর হিউ ষ্টিফেনসম স্বীকার করিয়াছিলেন, ১৯৯৮ সালে ঐযুক্ত কৃষ্ণকুমার মিত্র প্রভৃতিকে বিপ্লববাদের জঙ্ক আটক করা হয় নাই—ৰ্তাহার বয়কটের প্রচার কার্ষ্য ও স্বেচ্ছাসেবক সংগ্ৰহ করিতেছিলেন বলিয়াই তাহাদিগকে অবরুদ্ধ করা হইয়াছিল। এইরূপ প্রমাণের উপর নির্ভর করিয়াই গবৰ্ণমেন্ট কাজ করিয়া থাকেন । .# দেওয়ান বাহাদুর এ রঙ্গস্বামী মুদ্রালিয়ার অনেক ৰিঙ্গ" জলোচিত কথা বলেন। যথা- ဒွါ်