বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ9ంశం নূন, কাগজ, চিনি বাংলা দেশের জন্য আবশ্বক নূন, কাগজ ও চিনি যে বঙ্গে প্রস্তুত করা উচিত, তাহ বলিবামাত্রই সকল বাঙালী স্বীকার করিবেন । তাহার অল্পাধিক সুযোগও হইয়াছে । হুঃখের বিষয় এই সুযোগ এমন সময়ে হইয়াছে, যখন বঙ্গের অন্যতম সঙ্গতিপন্ন শ্রেণী জমিদারদের অর্থাভাব বশতঃ বহুশত মহল নীলামে বিক্ৰী হইয়া যাইতেছে ও তাহার কোন কোনটি গবর্ণমেণ্ট এক এক টাকা মূল্যে ডাকিয়া লইতেছেন। যখন বঙ্গের এরূপ দুর্দশ থাকে না, তখনও অবশ্য ব্যবসা-বাণিজ্যে টাকা খাটাইবার বেশী উৎসাহ আমাদের মধ্যে দেখা যায় না। কিন্তু নানা অসুবিধা সত্ত্বেও বৰ্ত্তমান সুযোগ ছাড়া উচিত হইবে না। নগদ টীকা অনেক ফেলিতে পারেন, এরূপ হাজার হাজার লোক বাঙালীদের মধ্যে এখনও আছেন । তাহার কার্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হউন । কিন্তু আশা করি তাহারা ব্যবসাৰুদ্ধিসম্পন্ন, অভিজ্ঞ এবং সৎ বিশেষজ্ঞ নিৰ্ব্বাচন করিয়া কাঞ্জ আরম্ভ করিবেন । বিস্তর মহল নীলাম অনেক জেলায় যে বহু শত মহল খাজনার দায়ে নালাম হইতেছে, তাহাতে মনে হয়, যে, ঐসব মহলের মালিকদের আর্থিক অবস্থা বরাবর “অদ্যভক্ষ্য ধতুগুণ” ছিল, সঞ্চয়ের উপায় ছিল না, তাই প্রজার এক বা দুই ৰৎসর খাজনা না-দেওয়ায় তাহারাও সরকারকে খাজনা দিতে পারেন নাই। অথবা এমনও হইতে পারে, যে, তাহাদের যাহা আয় ছিল তাহাতে সঞ্চয় হইতে পারিত, কিন্তু অমিতব্যয়িতা বশত: সঞ্চয় হয় নাই । সত্য কারণ যাহাই হউক, এত মহল বিক্রীতে বেকার সমস্যা আরও সঙ্গীন হইয়া উঠিতেছে। তাহার উপর ণ্টের হাতে অনেক মহল গিয়া পড়িয়া থাসমহল বাড়িতেছে এবং বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি বা শ্রেণীর প্রতি সরকারী পক্ষপাতিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত శా কংগ্রেসের অধিবেশনের চেষ্টা কিছুদিন হইল ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে সরকারী জবাব পাওয়া যায়, যে, কংগ্রেস বেআইনী সভা নহে। নিখিল ভারতীয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি গবন্মেণ্ট ভাঙিয়া দিয়াছেন, উহার সব সভ্য (শ্ৰীমতী সরোজিনী নাইডু ছাড়া ) কারারুদ্ধ হইয়াছেন। প্রাদেশিক, জেলা, ও গ্রাম্য কংগ্রেস কমিটি সব ভাঙিয়া দেওয়া হইয়াছে এবং তাহাদের আপিস বন্ধ ও জিনিষপত্র বাজেয়াপ্ত করা হইয়াছে। এলাহাবাদে কংগ্রেসের সম্পত্তি স্বরাজভবন পুলিস দখল করিয়াছে, কংগ্রেসের বা কোন প্রাদেশিক বা জেলা বা গ্রাম্য কংগ্রেস কমিটির টাকাকড়ির সন্ধান পাইবা মাত্র তাহ বাজেয়াপ্ত বা কংগ্রেসের কাজে তাহার ব্যয় নিষিদ্ধ হইতেছে, এবং কংগ্রেসের নির্দিষ্ট সত্যাগ্ৰহ পদ্ধতির অতুসরণ করায় অনেক হাজার লোক প্রহৃত ও কারারুদ্ধ হইয়াছে। ইহা সত্ত্বেও যে কংগ্রেস বেআইনী নহে, এই সরকারী ফতোয় বুঝিতে হইলে চুলচেরা যুক্তির আবশ্বক। যাহা হউক সরকারী উক্ত মত প্রকাশিত হইবার কিছু কাল পরে হঠাৎ খবর বাহির হইল, দিল্লীতে বর্তমান এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে কংগ্রেসের ৪৭শ অধিবেশন হইবে এবং পণ্ডিত মদনমোহন মালবীয় তাহার সভাপতি হইবেন । সম্পাদক প্রভৃতির নামও বাহির হইল । কংগ্রেসের মণ্ডপাদি নিৰ্ম্মাণের জন্য গবন্মেণ্টের নিকট জমী চাওয়া হইল। তখন দিল্লীর চীফ কমিশনার জবাব দিলেন, কংগ্রেস আইন অমান্ত করিবার প্রচেষ্ট৷ চালাইতেছেন ইত্যাকার কারণে কংগ্রেসের অধিবেশন করিতে দেওয়া হইবে না, জমী দেওয়া হইবে না, ইত্যাদি। পরে আরও সরকারী উক্তি বাহির হইয়াছে, যে, যাহার কংগ্রেসের অধিবেশনের যোগাড় করিবে বা করিতেছে, তাহাদের সম্বন্ধে কড়া ব্যবস্থা হইবে, কংগ্রেস ভাঙিয়া দেওয়া হইবে, ইত্যাদি। এদিকে পণ্ডিত মদনমোহন মালবীয় বলিতেছেন, বাধা সত্ত্বেও কংগ্রেসের অধিবেশন হইবে। এখন ঐযুক্তা সরোজিনী নাইডু কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট। তিনিঞ্জ বলিতেছেন, কংগ্রেস বসিবে। ১৭ই এপ্রিলের રનના

િ চৈত্রের ) সকাল পৰ্য্যস্ত কলিকাতায় এইরূপ প্ৰবন্ধ