বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখী চিন্তায় ও বাক্যে এক হইয়া সমগ্র জাতির প্রতিপূর্ণ সেবায় প্রবৃত্ত হওয়াই চিকিৎসকদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয় হওয়া উচিত। র্তাহার এবং অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের অভিভাষণে চিকিৎসকদের শিক্ষা , এবং শিক্ষাপ্রাপ্তির পর কৰ্ত্তব্যসম্পাদনের সুবিধার জন্য যাহা কিছু প্রয়োজন, সকল বিষয়েরই উল্লেখ ও আলোচনা আছে। এই কনফারেন্সের সদ্য সদ্য এই ফল দেখা গিয়াছে, যে, সরকারী মেডিক্যাল কেন্সিল বিলের তাহাদের কড় সমালোচনার এবং তৎসম্বন্ধে কনফারেন্সে গৃহীত প্রস্তাবের ফলে গবন্মেণ্ট আপাততঃ ব্যবস্থাপক সভায় ঐ বিলের বিবেচনা ও আলোচনী স্থগিত রাখিয়াছেন । রয়্যালিষ্টদের কীৰ্ত্তি কলিকাতার ইউরোপীয়দের একটা দল বা সমিতি আছে, তাহদের নাম "রয়্যালিষ্ট । উহার সভ্যদের অবগতির জন্য একটা গোপনীয় চিঠি বা সাকুলার প্রচারিত হয়। গোলটেবিল বৈঠকে ভারতবর্ষের ইউরোপীয়দের অন্যতম প্রতিনিধি মি: বেস্থলের বিবৃতি অনুসারে ঐ দলিলটাতে লেখা ছিল, লগুনে এখানকার ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্ত, গান্ধীজীকে অপদস্থ করিবার নিমিত্ত, এবং গোলটেবিল বৈঠক ( ভারতীয়দের মতে) পণ্ড করিবার জন্য, কি কি কাজ করিয়াছিল ও চা’ল চালিয়াছিল। ঐ দলিলট কলিকাতার "য়্যাডভান্স’ এবং লাহোরের টিবিউন ছাপিয়া দেন। তাহার পর উহ লইয়া ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় নানা প্রশ্ন হয়। তাহার সন্তোষজনক জবাব সরকারী উত্তরদাতা দিতে পারেন নাই। ঐ দলিলট হইতে মনে হয়, মহাত্মা গান্ধীকে বন্দী করিবার ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার পরামর্শ গান্ধীজী ভারতবর্ষে আসিবার আগেই আঁটা হইয়াছিল। এখন মিঃ বেন্থল ও রয়্যালিষ্টরা বলিতেছেন, দলিলটা মোটেই গোপনীয় নহে। ‘য়্যাডভান্স' কিন্তু লিথিয়া দিয়াছেন, যে, উহা “খুব গোপনীয়” (“very confidential”) এবং “কোন প্রকারেই প্রকাশিতব্য , বিবিধ প্রসঙ্গ—অটোয়। কমৃফারেন্স ও ভারতবর্ষ

ు RIK” (“Not for publication in any way”) বলিয়া চিহ্নিত ছিল ! অটোয়া কনফারেন্স ও ভারতবর্ষ কানাডার অটোয়া শহরে আগামী জুলাই মাসে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের এক বাণিজ্যাদিবিষয়ক কনফারেন্স বসিবে । ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের যে-সকল দেশ স্বশাসক, তাহারা নিজেদের নির্বাচিত প্রতিনিধি পাঠাইয়া নিজনিজ স্বার্থরক্ষার চেষ্টা করিবে। ভারতবর্ষ আপন প্রতিনিধি নির্বাচন করিয়া পাঠাইতে পারিবে না, তাহার নামে এখানকার ব্রিটিশ গবন্মেণ জনকয়েক লোককে পাঠাইতেছেন। তাহাদের নাম—(দলপতি) স্তর অতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ; (সদস্য ) শ্ৰীযুক্ত যমুখম্‌ চেটুি, স্তর পদুমজি জিনওয়াল, হাজি আব্দল হারুন, সাহেবজাদ আস্বস্ব সমদ খ, এবং স্তর জর্জ রেণী। ব্যক্তিগত সমালোচনা অপ্রীতিকর, কিন্তু দু-একটা কথা না-বলিলে কৰ্ত্তব্য করা হইবে না। স্তর অতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় খুব যোগ্য লোক। কিন্তু তিনি বরাবর গবন্মেন্টের চাকরি করায় তাহার মনের ভাবগতিক, হয়ত র্তাহার অজ্ঞাতসারেই, ব্রিটিশানুকূল হইয়া গিয়াছে। ইংলণ্ড ও ভারতবর্ষের স্বার্থে বিরোধ ঘটিলে ভারতবর্ষের কল্যাণার্থ যাহা আবশ্বক তাহা কি তিনি ঠিক করিতে ও সমর্থন করিতে পারিবেন ? স্তর জর্জ রেণী ইংরেজ ও সরকারী চাকর । স্তর পদুমজি জিনওয়ালা ভারতবর্ষের দেশী দিয়াশলাইয়ের কারখানাগুলির অনিষ্টকারী এংলো-সুইডিশ দিয়াশলাই কোম্পানীর চাকর, তাহার আপিস ষ্টকূহল্মে । ইহঁাদের দ্বারা ভারতবর্ষের স্বার্থরক্ষণ হইবে না। বাকী সদস্যদের সম্বন্ধে কিছু জানি না। তবে, তাহারা একান্ত ভারতকল্যাণকামী হইলে গবন্মেণ্ট তাহাদিগকে মনোনীত করিতেন কিনা সন্দেহ। অটোয় কনফারেন্সের আলোচ্য বিষয়গুলিও ভারতবর্ষের পক্ষে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। ইংলণ্ড ও ভারতবর্ষের পরস্পরের ৷ি স্ববিধ দেওয়ার (imperial preferences) ম৷ হইবে এবং ভারতবর্ষে অঙ্ক বিদেশী জিনিষের উপর যে গুৰু আছে, তাহারও আলোচনা হইবে। ব্যবস্থাপৰ সভাৰে ।