পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চণ্ডীদাসের পদাবলী শ্রীনগেন্দ্রনাথ গুপ্ত সংগ্রহ ও প্রচার প্রাচীন বাংল! সাহিতা, বিশেষতঃ প্রাচীন বাংলা কাব্য বটতলার নিন্দিত ঘৃণিত মুদ্রাযন্ত্রসমূহ হইতে প্রথমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয় । ঘে-সময়কার কথা হইতেছে সে-সময় শিক্ষিত বাঙালী বলিতে ইংরেজী ভাযায় কৃতবিদ্য অথবা অকৃতবিদ্য বাঙালীকে বুঝাইত। তষ্ঠার প্রাচীন বাংলা সাহিত্য সম্বন্ধে হয় উদাসীন ন|ংঘ একেবারে অঙ্গ। বটতলার পুস্তকসমূহ তাহার কিনিতেন না, পড়িতেনও না। সে-সকল পুস্তক মুদিপসারি, দোকানিরা পাঠ করিত। প্রাচীন হস্তলিখিত পুথি সংগ্ৰহ করিয়া এই সকল পুস্তক মুদ্রিত হইত। চাণায় অসংখ্য ভুল, কাগজ সস্তা ও খারাপ, অতিস্থলভ মূল্যে এই সকল পুস্তক বিক্রীত হইত। বৈষ্ণব কবিতার পুথি বৈষ্ণবদের ঘরে থাকিত, তাহার শ্রদ্ধাপূৰ্ব্বক পাঠ করিতেন ও সেই সকল গীত গান করিতেন । বিদ্যাপতি ৪ চণ্ডীদাস বাংলা ভাষার আদি কবি এ-কথা অনেকের জন ছিল, কিন্তু বিদ্যাপতি যে আদে বাঙালী ছিলেন না, আর এক দেশের লোক, সে-কথা সকলে ভুলিয়া গিয়াছিল। হাতে লেখা পুথির বহুল প্রচার অসম্ভব, বটতলার পুস্তকাদিও অল্পশিক্ষিত ও নিম্নশ্রেণীর লোকেদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। যে-সকল ভক্ত, কবি ও শ্রদ্ধাবান বৈষ্ণবেরা এই সকল গীতি-কবিতা যত্বপূর্বক বহু পরিশ্রম করিয়া সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, তাহদের নিকট বাংলা সাহিত্যের ঋণের ইয়ন্ত নাই। প্রাচীন কবিদিগের স্বহস্তলিখিত কোন পুথি কোথাও পাওয়া যায় না। চণ্ডীদাস হইতে আরম্ভ করিয়া গীতকল্পতরু' অথবা পদকল্পতরু' নামক বিশালগ্রন্থের সঙ্কলনকৰ্ত্ত বৈষ্ণৰ দাসের হস্তাক্ষর বা নিজের লেখা পুথি বর্তমান নাই। বিদ্যাপতি চণ্ডীদাসের অপেক্ষাও প্রাচীন, কিন্তু তাহার স্বাস্তলিখিত বৃহৎ ভাগবত গ্রন্থ : তালপত্রের পুথির আকারে আজ পর্য্যস্ত মিথিলায় বর্তমান আছে। প্রাচীন পুথিসকল নকল করিবার সময় নানা পরিবর্তন হইত। সকল লিপিকরেরা ভাল লেখাপড়া জানিতেন না, লিখিবার সময় অনেক ভ্রমপ্রমাদ ঘটিত, যদৃষ্টং তল্লিখিতম সকল সময় হইত না। ভিন্ন ভিন্ন পুথিতে যাহা পাঠান্তর বলিয়া নির্দেশ করা যায়, তাহ হয় লিপি প্রমাদ কিংবা লেখকের স্বেচ্ছাকৃত পরিবর্কিত রচনা । বাঙালীর উচ্চারণ বাঙালী ও বাংলা ভাষা সম্বন্ধে কয়েকটি কথা স্মরণ রাখা উচিত। বাঙালী অতি প্রাচীন অথবা আধুনিক জাতি, সে-বিচারে প্রবৃত্ত হইবার কোন প্রয়োজন নাই, কিন্তু বাঙালীর শব্বোচ্চারণ-প্রণালী যে ভারতবর্ষের আর সকল জাতি হইতে বিভিন্ন তাহাতে কোন সংশয় নাই। এরূপ কেন হইল, সে-প্রশ্ন এখন উত্থাপন করিব না। অন্য সকল জাতি তিনটি শ’য়ের ( শ, ষ, স ) ভিন্ন ভিন্ন রূপ উচ্চার"Nকরে, কেবল বিহার ও অযোধ্যা অঞ্চলে ‘মায়ের উচ্চী ’য়ের মত। বাঙালীর মুখে শ’ ছাড়া আর কোন র উচ্চারণ শুনিতে পাওয়া যায় না । মৃচ্ছকটিকঃ বহুগুণধর রাজপ্তালক এক དྷི་ལ་ তালব্য শ ছাড়া " ‘শ’ উচ্চারণ করিতে ও ইতিবৃত্তের বিদ্যায় ु भूक्ष ग्नि भूक्ष्मा 'रु' সময়, মুখে কথা X শুনিতে পাওয়া