পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ बाङ्क-क्ष° ২ o ৭ x নৃপেন্দ্রবাবু বলিলেন, “ন না, ঐ অভোসটি করবেন ন। অনেক রাত্রে এক পেট খেয়েই ঝুপ করে শুয়ে পড়া মানে ডিসপেপসিয়া নেমস্তন্ন ক’রে আনা । এই নিয়ে আমি ভুগেছি কি কম ? থাকতাম মেসে, আডড ছেড়ে উঠতে মন যেত না, কাজেই খেতে দেরি হয়ে যেত, তারপর যা ভোগ স্বরু হ’ল।” নৃপেন্দ্রবাবু তাহার অজীর্ণ রোগের দীর্ঘ ইতিহাস অতি বিশদভাবে বলিয়া যাইতে লাগিলেন। মিহির একমনে খাইতে লাগিল, যামিনী এক টুকর পুডিং লইয়। নাড়াচাড়া করিতে লাগিল এবং প্রতাপ লজ্জায় ও বিরক্তিতে অস্থির হইয়া উঠিল । নৃপেন্দ্রবাবুরই বা কি আক্কেল ? এই সব কথা এখন বলা কেন ? যামিনী না জানি কত বিরক্ত হইতেছে। প্রতাপ এক জন অনাত্মীয় যুবক, প্রায় অপরিচিত বলিলেই হয়, তাহার সম্মুখে কেন এ সব আলোচনা ? যামিনী যে একটা কথাও শোনে নাই, সম্পূর্ণ অন্য কথা ভাবিতেছে, তাহা বেচার প্রতাপকে কেহ তখন দয়া করিয়া জানাইয়া দিলে তাহার অনেকখানি অকারণ মৰ্ম্মপীড়া বাচিয়া যাইত । খাওয়া অবশেষে চুকিয় গেল। যামিনী সৰ্ব্বাগ্রে টেবিল ছাড়িয়া উঠিয়া উপরে চলিয়া গেল। প্রতাপের চোখের উপর ঘরটা যেন আঁধার হইয়া উঠিল, তাহার সমস্ত চিত্ত আকুল আগ্রহে ঐ অপশ্রিয়মান তরুণীর সঙ্গে ছুটিয়া যাইতে চাহিতে লাগিল। নিজেকে অনেক কষ্টে সংযত করিয়া সে নৃপেন্দ্রবাবুর পিছন পিছন তাহাদের বসিবার ঘরে আসিয়া উপস্থিত হইল । ঘরটি সম্পূর্ণ পাশ্চাত্য প্রথায় সজ্জিত। জানলার পরদ বা মেঝের কাপেটটি পর্য্যন্তও বিদেশী । অৰু সময় হইলে প্রতাপের মনটা বিদ্রোহ করিত, সে এ সকল সাহেবীয়ানার অত্যন্ত বিরোধী ছিল, এবং এ বিষয়ে কথা উঠিলে সে সৰ্ব্বদাই নিৰ্ম্মম সমালোচনা করিত, কিন্তু আজ সে এ সব দেখিয়াও দেখিল না । কোণের দিকে একটি জরির কাজ করা সবুজ আচ্ছাদনে আবৃত বড় পিয়ানো । এইখানে তাহার চক্ষু সৰ্ব্বাগ্রে আকৃষ্ট হুইল । भzन श्झेल uहे थां*ईौम दांप्ताषजकै कि अलौभ, कि আশ্চৰ্য্য সৌভাগ্যের অধিকারী। নিত্য ইহার বক্ষে যে আলোকশিখার মত অঙ্গুলিগুলি নৃত্য করিয়া অপূৰ্ব্ব সৃষ্টণ্ডধ্বনি স্বষ্টি করে, তাহার কোন মূল্যই ত ইহার কাছে নাই ? এই বিস্ময়কর মানবজীবনের পরিবর্তে কয়েক মিনিটের জন্যও যদি প্রতাপকে কেহ রূপান্তরিত করিয়া বাদ্যযন্ত্রে পরিণত করিত, তাহা হইলে সে নিজের স্বষ্টিকৰ্ত্তাকে ধন্যবাদ দিত। কবে কোথায় গান শুনিয়াছিল, “আমারে কর তোমার বাণ লহু গো লহ তুলে । উঠিবে বাজি তন্ত্রীরাজি মোহন আঙুলে ।” সেই গানের সুর আর কথা এতকাল পরে তাহার মনের ভিতর ঝঙ্কত হইতে লাগিল । মিহির হঠাৎ জিজ্ঞাসা করিল, “মাষ্টর-মশায়, আপনি বাজাতে পারেন ?” প্রতাপ চমকাইয়া উঠিল যদিও প্রশ্নটা নিতান্তই সাধারণ। নিজেকে সাম্‌লাইয়া লইয়া বলিল, “না ও সব শিথবার আর সময় হ’ল কখন ? পড়াশুনে নিয়েই সব সময় কেটে গেছে ।” নৃপেন্দ্রবাবু বলিলেন, “আমাদের দেশে গানবাজনাট আর কেই-বা বেটাছেলেকে কষ্ট ক’রে শেখায় ? ওটা যেন মেয়েদেরই একচেটে হয়ে উঠেছে। অথচ আমাদের দেশে কত বড় বড় ওস্তাদ জন্মগ্রহণ করে গেছেন, এখনও র্তাদের নামে লোকে নমস্কার করে । এটা একটা ফেলে দেবার জিনিষ নয়, কিন্তু মানুষে বোঝে না। অামার ছেলের গলা থাকলে, আমি তাকে শেখাতাম, কিন্তু ওর মোটে মিউজিকে টেষ্ট নেই।” প্রতাপ দেখিল এখন গৃহস্বামীর সঙ্গে একটু কথাবার্তা না-বলিয়া উপায় নাই । তিনি আরাম করিয়া একটা বড় চেয়ারে বসিয়া, সবে পান চিবাইতে আরম্ভ করিয়াছেন, সুতরাং এখনই চট করিয়া উঠিবেন না। অগত্য সেও একটা চেয়ারে বসিয়া পড়িয়া বলিল, “এ সব শেখান ব্যয়সাপেক্ষও বটে, সেই জন্যেও অনেককে পিছিয়ে যেতে হয়। যেটুকু না শেখালে ছেলে ক’রে খেতে পারবে না, নিতান্ত ততটুকুই লোকে কোনমতে শেখায়।” নৃপেন্দ্রবাবু বলিলেন, “তা বটে, আমাদের দেশে কোনমতে মাথাগুজে খাৰু, আর ছলো খেতৃে