বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ ধ্ৰু প্রবাসী ; S99ఖి সম্রাট আকবরের কাছে মহারাণা প্রতাপের আচরণ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অন্যরূপই বলিয়াছিলেন ; যথা : “From there the army went...to Udaipur which is the native country of the Rana. The Rana came to welcome them, and received him with respect and put on the royal khilat. He brought Man Singh to his house as guest. but owing to his evil nature he proceeded to make excuses * ( about going to court ), alleging that his well-wishers would not suffer him to go.” He made promises about going to the sublime court, but raised objections, and gave Man Singh leave to depart, while he himself stayed and procrastinated.” (Akbarnamq. iii, 57). গৌরীশঙ্করজী বলেন, প্রতাপসিংহ বাদশাহী খেলাং পরিধান করার কথা দূরে থাক আকবরকে বাদশাহ বলিতেন না, বলিতেন তুর্ক ; উক্ত বর্ণনা চাটুকার আবুল-ফজল বাদশাহর মহত্ব বাড়াইবার জন্য মিথ্যা করিয়৷ লিখিয়া গিয়াছেন । ইহাতে পণ্ডিতজীর নিরপেক্ষ বিচার অপেক্ষ উন্মাই অধিক প্রকাশ পাইয়াছে । এক্ষেত্রে কিঞ্চিৎ বিচারের প্রয়োজন। প্রথম প্রশ্ন, রাজপুত ও মোগল বর্ণনার মধ্যে কোনটি বিশ্বাসযোগ্য ? প্রথম কথা, আবুল-ফজল একান্ত সমসাময়িক ঐতিহাসিক ; রাম কবির রচনা:এবং রাজপ্রশস্তি-কাব্য নিতান্ত কমপক্ষে এই ঘটনার আশি-নব্বই বৎসর পরে লিখিত ; অধিকন্তু এই রচনাগুলি ইতিহাস নহে—কাবা মাত্র। ঐতিহাসিক বিচারে হিন্দুরচিত কাবাকে মুসলমান-লিখিত প্রামাণ্য ইতিহাসের উপরে স্থান দেওয়া নিঃসন্দেহ অবিচার । দ্বিতীয়তঃ, “শক্তসিংহ কর্তৃক খোরাসানী মুলতানীকে বধ করিয়া প্রতাপের জীবনরক্ষার কথা” রাজপ্রশস্তি-কাব্যে থাকিলেও গৌরীশঙ্করজী বলেন উহা বিশ্বাস্ত নয়,—মিথ্যা জনশ্রুতিই ছন্দোবদ্ধ হইয়া রাজপ্রশস্তি-কাব্যে স্থান পাইয়াছে। মানসিংহের অপমান এবং হলদীঘাটের

  • এ স্থলে ॥৫r শব্দকে ghadr পড়াতে এই ঘটনাটি ইলিয়টের ( vol. WI. 4? ) चठूलांटम डिब्रक्र* श्ब्राप्ह । ईशष्ठ बूसी श"ब्र যেন প্রতাপ মানসিংহের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা বা দাগাষাঙ্গী করিতে এ স্থলে গৌরীশঙ্করজী বেত্তারিজের ‘আকবরনামা'র &' পাদটীকা বোধ হয় বিশেষভাবে বিচার করেন নাই ।

যুদ্ধের মধ্যে সময়ের বfধান মাত্র তিন বৎসর, স্বতরাং “খোরাসানী মুলতানীক অগগল" মিথ্যা হওয়া সম্ভব হইলে, প্রতাপের পেটব্যথা বা মাথাধরাও মিথ্যা হওয়া বিচিত্র নয়। যদি বলা হয়, মেবারের লোকেরা না-হয় কচ্ছবাহদিগকে হীন প্রতিপন্ন করিবার জন্য এ গল্প সৃষ্টি করিয়াছে ; কিন্তু কচ্ছবাহ-কবির মানসিংহের অপমানের কথা চিরস্মরণীয় করিবার কি কারণ থাকিতে পারে ? রাম কবির বর্ণনায় মানসিংহের অপমান অপেক্ষ তেজ ও আত্মসম্মানই বেশী প্রকাশ পাইয়াছে ; নিন্দা মানসিংহের নহে, নিন্দ মহারাণা প্রতাপের । টড সাহেব ইহা বুঝিয়াও বোঝেন নাই। তিনি লিখিয়াছেন, "Rajah Man was unwise to have risked this disgrace: and if the invitation went from Pratap, the insult was ungenerous as well as impolitic ; but of this he is acquitted.” আমরা বুঝি না কেমন করিয়া প্রতাপ নিন্দার হাত হইতে অব্যাহতি পাইলেন । মোট কথা, গৃহাগত অতিথিকে অপমানিত করিবার জন্য ভোজের আয়োজন, এযং প্রস্থানকালে মানসিংহ ও আকবরকে দু-দশটা গালাগালি দেওয়া নিতান্ত কাচা হাতের লেখা,—উপন্যাস মাত্র। যে চারণ এই মিথ্যা গল্প সৃষ্টি করিয়াছিল সে স্তাবক হইয়াও বুদ্ধির দোষে মহারাণা প্রতাপের নিষ্কলঙ্ক চরিত্রে বৃথা কলঙ্ক লেপন করিয়াছে। তাহা মুছিতে হইলে ঐতিহাসিকগণকে বেগ পাইতে হইবে। আমরা মনে করি, মানসিংহের নিমন্ত্রণ ও অপমানের ব্যাপারটাই সম্পূর্ণ মিথ্যা; ইহাতে মানসিংহ ও প্রতাপের সাক্ষাৎকার ছাড়া অন্য একবর্ণও সত্য নয়। ট' সাহেব হইতে গৌরীশঙ্করজী পৰ্য্যস্ত যে গল্পটি সত্য বলিয়া গ্রহণ করিয়াছেন, নিম্নলিখিত কারণে তাহ আমরা ভিত্তিহীন কবিকল্পনা বলিয়া মনে করি । ১। মানসিংহ প্রতাপের সাক্ষাৎকারের মাত্র তিন মাস পরে রাজা ভগবান দাস (ভগবস্ত নয় ) ইউরের পর্থে সম্রাটের আদেশে আবার মেবারে গিয়াছিলেন। মহারাপা প্রতাপ গোগুন্দায় আসিয়া তাহার যথোচিত সৰ্বৰ করেন। মানসিংহ সতাই যদি ঐ ভাবে অপমানিত হইতেন, তাহা হইলে তাহার পিতার পক্ষে তিন মাসের