বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&S)。 সে আজ হারাইয়া ফেলিয়াছে, জীবনে আর যাহা সে ফিরিয়া পাইবে না। বুক ফাটিয়া যেন কান্না আসে, কেবলই ভয় হয়—বাবার পা হইতে মাথা তুলিতে গেলেই হয়ত সে এখনই কাদিয়া ফেলিবে । বাবা তাহার তখন নিতান্ত সংসারী মানুষটিরই মত ঠাকুমার প্রতি গৃহ-রক্ষাসম্বন্ধীয় গুটিকতক প্রয়োজনীয় উপদেশের কাজ সারিয়া লইতেছিলেন— বিচালিগুলা উঠান হইতে সজিন-তলায় যেন দেরি না করিয়া সরানো হয়—মেজ ছেলেটি তাহার জন্মান্ধ, তাহাকে যেন-না যখন-তখন ওপার পাঠান হয়—বিরিঞ্চির স্কুলের মাহিনী কিছু ধান বিক্রয় করিয়া দিলেই উপস্থিত চলিয়া যাইবে-এবং শৈলও ত বেশ বড়সড় হইয়া স্ত্রীগোপাললাল দে মাঝের হিড়, বারি ঝর ঝরে প্রবল বেগে, দুই পাশে ক্ষেত ফু-হাজার বিঘে, ঘন কালিমায় মাঠ ছেয়ে যায় মাঝেতে একাকী তরুর শির, পশ্চিমাকাশে সরস মেঘে, উত্তরে গ্রাম ‘কাকটিয়া’ নাম নীল হয়ে আসে দুরের বনানী দখিনে ‘পদ্মা’ মাঠের শেষে, কাছে তরুীখি আঁধিয়া-মাথা, দু’য়ে পাশাপাশি যেন প্রতিবেশী আশথ বটের পাতার আড়ালে এ উহারে হেরে প্রভাতে হেসে ; ঢেকে বসে পার্থী সজল পাথ, বৈশাখে যবে দু-পহর রোদে বিজলী কশায় দেয়া গরজীয় ঘূর্ণ হাওয়ায় আগুন ভাসে, দিকে দিকে ভীত প্রতিধ্বনি, ধেমৃদল লয়ে রাখাল পলায় খেজুর তালের পাতায় পাতায় ক্ষীরতরুছায় সলিল পাশে, ঘুঙুর বাজায় রিনিক ঝিনি, সে দাবদাহনে ক্লাস্ত পথিক আধ-বাতায়নে কৌতুকী চোখে ধুধু মাঠে পড়ি কর্ণফলে, চেয়ে থাকি যদি দূরের পানে, অনেক ভাগ্যে প্রাণ পেয়ে যায় এই মেঝেরি’র বনমন্দির এই ‘মেঝেরি’র খেজুরতলে । নব যৌবন স্বপন আনে। , "প্রবাসী; | ఏ99తు উঠিয়াছে, মেয়েছেলে ༈ རྗེས་ཞུ་། বেশী লেখাপড়া করিল, অতএব স্কুলে পড়িতে তাহার আর না-যাওয়াই ভাল । আর—ইয়ে—পথেঘাটে যখন-তখন ঘুরিয়া বেড়ানোটাও.. সমস্বরে তাহার সমগ্র ব্যথিত চিত্ত যেন বারংবার বলিয়া উঠিল, তাহাই হইবে, তাহাই হইবে । সে আর স্কুল যাইবে ন—সে আর লেখাপড়া করিবে না—সে আর ঘরের বাহির হইবে না—সে অার কাহারও সহিত কথ কহিবে না। সন্ধ্যায় সর্থীদের নিকট হইতে বিদায় লইয় দাদামশায়কে প্রণাম করিয়া নিশ্চয়ই বলিয়া আসিবের্তাহার শ’ মরিয়া গিয়াছে। বড় বেদনায়, বড় অভিমানে তাহার বড়বড় দু-চোখ ভরিয়া এইবার সভাসভাই জ্বল গড়াইয়া পড়িল ।