বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gIta অস্তরেই পূর্ণত পাবে এই আমি কামনা করি। “হৃদ মনীষা মনসাভিরুপ্তে য - এতদ্বিন্ধুরমূতাস্তেভবস্তি।” এই মনের মানুষ কেবলমাত্র রসভোগের নেশায় মাতিয়ে রাখবার জন্যে নয়, মহুষ্যত্বের সম্পূর্ণ উদ্বোধনের জন্যে । এই মনের মানুষই তো আমাকে একদিন আত্মনিবিষ্ট সাহিত্যসাধনার গণ্ডী থেকে শান্তিনিকেতনের কৰ্ম্মক্ষেত্রে টেনে এনেছিল । সে কি সঙ্গ পাবার জন্তে, স্বখ পাবার জন্যে ! এই ত্রিশ বৎসর যে কঠিন দুঃখের পথে আমাকে চলতে হয়েচে তার ইতিহাস কেউ জানবে ন—এই দুঃখেই আমার মনের মানুষের সঙ্গে আমার যোগ । তোমার চিঠিতে তোমাদের বার্ষিক পূজার দীর্ঘ বর্ণনা করেচ। এই রসতুপ্তির সমারোহে আমার মন সায় দেয় না। আমি যাকে পূজা বলি সে কঠিন কৰ্ম্মে, সত্যের সাধনায় । লোকহিতে আত্মোৎসর্গের যে আয়োজন সেই আয়োজনেই মনের মাহুষের পূজা-যে দেশে এই পূজা সত্য হয় সেই দেশেই জ্ঞানবীর কৰ্ম্মবীরদের যজ্ঞশালা । আমার মনের মানুষ কোনো ব্যক্তিবিশেষ নন এ কথা নিশ্চয় জেনো। তার আভাস পেয়েচি ইতিহাসে নরোত্তমদের মধ্যে । যেমন ভগবান বুদ্ধ। তিনি সকল মানুষের মুক্তির জন্যে আত্মদান করেছিলেন–র্তার ভক্তেরা শুচিবায়ুগ্ৰস্ত হয়ে ভক্তিকে ভোগের জিনিষ করেন নি—ভক্তি র্তাদের বীৰ্য্য দিয়েছিল, দুর্গম সমুদ্র পৰ্ব্বত লঙ্ঘন করে তারা মাছুষকে সত্য বিতরণ করবার জন্যে দেশবিদেশে প্রাণ দিয়ে এসেচেন। কাদের দেশে ? যাদের তোমরা ম্লেচ্ছ বলে, যারা তোমাদের দেবতার মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে মার খেয়ে মরে । •. * f. তোমার পূর্ব পত্রে একটা প্রশ্ন ছিল, নিজের খাক্তি বিস্তার করবার জন্তে আমি মাইনে দিয়ে লোক রেখেচি কি-না। এ রকম সন্দেহ কেবল বাংলা দেশেই সম্ভব। এই দেশেই লোকে কানাকানি করে, যে, কোনো বিশেষ কৌশলে আমি নোবেল প্রাইজ পেয়েটি এবং আমার যে ইংরেজী রচনা বেরিয়েচ সেগুলোকোনে ইংরেজকে দিয়ে লেখা। তথাপি এদেশেও আমার গুঞ্জ আছে কিন্তু পত্রধারা 船為登 তাদের কাছ থেকে আমি পূজা চাইনে। যদি সত্যই চাইতুম তাহলে এই ধৰ্ম্মমুগ্ধ দেশে অবতার হয়ে উঠা আমার পক্ষে সম্পূর্ণ অসাধ্য হত না। আমি যার পূজায় প্রবৃত্ত অন্তদের কাছে তার পূজাই চেয়েচি । তুমি আবিষ্কার করেচ আমি ঈশ্বর নই। শুনে বিস্থিত হলুম। তুমি কাকে ঈশ্বর বলে জানিনে—ঈশোপনিষদে এক ঈশ্বরের কথা আছে— তিনি সৰ্ব্বভূতকে অনন্তকাল ব্যাপ্ত করে আছেন, श्रांभि যে সে ঈশ্বর নই সে কথা মুখে উচ্চারণ করবারও দরকার ছিল না। ইতি বিজয়া দশমী ১৩৩৮ । এই কথাটা মনে জেনে, ধৰ্ম্ম মানেই মতুষ্যত্ব—যেমন আগুনের ধৰ্ম্মই অগ্নিত্ব, পশুর ধৰ্ম্মই পশুত্ব । তেমনি মানুষের ধৰ্ম্ম মানুষের পরিপূর্ণতা। এই পরিপূর্ণতাকে কোনো এক অংশে বিশেষভাবে খণ্ডিত করে তাকে ধৰ্ম্ম নাম দিয়ে পৃথিবীতে যত নিদারুণ উৎপাত ঘটেচে এমন বৈষয়িক লোভের তাগিদেও নয়। ধৰ্ম্মের অাক্রোশে যদিবা উপদ্রব না-ও করি তবে ধৰ্ম্মের মোহে মানুষকে নিজীব করে রাখি, তার বুদ্ধিকে নিরর্থক জড় অভ্যাসের নাগপাশে অস্থিতে মজ্জাতে নিবিষ্ট করে ফেলি—দৈবের প্রতি দুর্বলভাবে আসক্ত করে, নানা কাল্পনিক বিভীষিকার বাধায় পদে পদে প্রতিহত করে তাকে লোকযাত্রায় অকৃতার্থ ও পরাভূত করে তুলি। বুদ্ধি যেখানে শৃঙ্খলিত, পুরুষকার যেখানে গুরুভারগ্রস্ত সেই হতভাগ্য দেশে সৰ্ব্বপ্রকার দৈহিক মানসিক রাষ্টিক অমঙ্গল অব্যাঘাতে অচল হয়ে ওঠে। মানুষের পরিপূর্ণতার যে ধৰ্ম্ম তার মধ্যে ত্যাগ আছে, ভোগ আছে, বুদ্ধি আছে,--এই সমস্ত কিছুর শ্রেয়স্করতা হচ্চে তার সৰ্ব্বজনীনতায়, তার নিত্যতায়–অর্থাৎ এই সকলের মধ্য দিয়ে আমরা মহামানবের শাশ্বত অভিপ্রায়কে নিজের মধ্যে সার্থক করি। আমার মার্থকতা ईप्तःि সকল মানুষের সাৰ্থৰতা না হয় তবে যে ধর্থক্ষেত্রের বাইরে গড়ে বিষয়ের ক্ষেত্রে দাড়ায়। এর , श्ङ्ग१ ं cश्, বাঘ মাপুর ব্যক্তিগত স্বাতয়েও আপন ব্যাখ্রস্থ রক্ষা করতে পার্কে-কিন্তু মাহৰ যে পরিমাণে &: ਾਂ * রমাণেই লে আমাহুৰ। আমি ৰে कबिक