বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 جولا যায়। রোন গ্নেশিয়ার তার চেয়ে কয়েক হাজার ফিট নীচে, আবার পথট। ভারী সুন্দর, আর একটু কাছে ব’লে ভাড়াও অপেক্ষাকৃত কম। আমার স্বামীর অসুস্থতার জন্যই আমরা বিলাতে গিয়েছিলাম , তার উপর चिभरम्ल् ङ्का ডাক্তারদের কড়া হুকুম ছিল যে, কোনো রকম ক্লাস্তিকর কাজ যেন তিনি কিছুতেই না করেন। প্রথমটা আমি ঠিক করেছিলাম যে, কোনো গ্নেশিয়ারই দেথে কাজ নেই, কিন্তু অত কাছে গিয়েও গ্নেশিয়ার না দেখতে পাবার অাক্ষেপে দেখলাম তার পেটের ব্যথা আবার বেড়ে যাবার উপক্রম হ’ল । কাজেই শেমটা, যেট। অপেক্ষাকৃত কাছাকাছি সেই রোন গ্নেশিয়ারে যাওয়াই ঠিক করলাম। সকাল সাড়ে সাতটায় ট্রেন – তার আগে উঠে স্যাণ্ডউইচ কেক ইত্যাদি একটু খাবার-দাবার ঠিক ক’রে নিয়ে তৈরি হয়ে ষ্টেশনে এলাম। লুসাণ থেকে গ্নেশিয়ার অবধি ট্রেনও যায়, আর মোটরের রাস্তাও আছে । ট্রেনে গেলে ভাড়া অনেক কম লাগে, কিন্তু মুস্কিল এই, পথে এত টানেল’ যে অন্ধকারে অন্ধকারে যাওয়াই সার হয়, অমন যে সুন্দর রাস্তার পৃষ্ঠ ভা কেবল মাঝে মাঝে ট্রেন যখন টানেল থেকে বোঝায় 彎 ধ্ৰুপ্ৰবামনী ; -لاهمة كلاة ر তখন শুধু ক্ষণিকের জন্য চোখে পড়ে, আবার মুহূৰ্ত্ত পরেই অন্ধকারে সব ঢেকে যায় । তারপর শেষ যেখানে ট্রেন থামে, সে জায়গাটি হ’ল ঠিক সেই বরফের পাহাড়ের পাদমূলে । চোখ তুলেই সামনে দেখা যায় জল জল করছে বরফের পাহাড়, কিন্তু উপরে ওঠা যায় না। বরফের পাহাড়ের উপর দিয়ে চলে বেড়ায এই আমাদের ইচ্ছা ছিল, তাই আমরা প্রথম থানিক পথ ট্রেনে এসে বাকি পথ মোটরে আসব ঠিক কয়েছিলাম । সাড়ে সাতটার সময় ট্রেনে ছাড়ল—ঘুরে ঘুরে ট্রেন ক্রমেই উপরে উঠতে লাগল। ঘে-রেল লাইন দিয়ে এখনই উঠছিলাম, একটু পরেই ঘুরে ঘুরে তার কয়েক পাক উপরে উঠে দেখি যে, যে-জিনিষগুলিকে তখন মস্ত বড় ব’লে মনে হয়েছিল সেগুলি নিতান্ত ছোট হয়ে গেছে এরই মধ্যে। মনে আছে, একটি হ্রদ বড় সুন্দর দেখা গিয়েছিল। প্রথমে তার পাশ দিয়েই আমরা চলে গেলাম, রোদ পড়ে জলটি ঝক ঝক করছে। তারপর একটু পরে একটা উচু পাহাড়ের অৰ্দ্ধপথ যখন উঠেছি, তথন নীচে সেই হ্রদটিকে গোলাকার একটি ছোট পুষ্করিণীর মত দেখাতে লাগল। তারপর সেই উচু পাহাড়টার মাথার উপর যখন উঠে গেলাম, তখন নাচে তাকিয়ে দেখি চারদিকে সবুজ পাহাড়ে ঘেরা ঠিক একটি রূপার থালা স্বৰ্য্যকিরণে জল জল করছে। আমার বারে। বছরের মেয়েটি আমার সঙ্গে ছিল, সে ত যা দেখে তাইতেই বলে, “মা ছবি তুলে নিই।” কিন্তু চলন্ত ট্রেন, অনেক ছবি নষ্ট হয়ে গেল । যে কয়খানি ছবি দিলাম, সে আমার মেয়েরই তোলা । উপরে উঠছি আর ঠাণ্ডা বাড়ছে। মাঝে মাঝে পাহাড়ের স্তরের আড়াল থেকে এক-একবার দেখা যাচ্ছে হীরার মুকুটের মত সাদা বরফের পাহাড়ের চূড় ৷ কিছু পথ অতিক্রম করবার পর থেকেই পাহাড়ের গায়ে খানিক খানিক জমা বরফ দেখা গিয়েছিল, ক্রমেই সেগুলো বেড়ে উঠছে। বেল দশটায় আমর। Geohenen ষ্টেশনে নেমে পড়লাম। অনেক যাত্রী দেখলাম আগের ট্রেনে এসে অপেক্ষা করছে, অনেক যাত্রী জামাজের ট্রেন থেকে নামল। ষ্টেশনে তিন-চারখান।