বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४१३ b99ఉు য়্যালবাম, আমারই তোলা তার নানা বয়সের ফটো । য়্যালবামটা খুলতেই এলাহাবাদের সেই বিজন নদীতীরের রঙীন করুণ সন্ধ্যা মিলিয়ে গেল, আমার প্রথম যৌবনের প্রথম প্রেমস্বপ্নমধুর দিনগুলির ছবি ভেসে উঠল। তখন ইরা ছিল আমার বোন বিভার সহপাঠিনী বন্ধু, কলেজে একসঙ্গে পড়ত। তার বাবা এলাহাবাদে থাকতেন, সে জন্য মেয়েকে কলিকাতার কলেজের বোর্ডিঙে রাখতে হয়েছিল ; কিন্তু ইরা চিরদিন বাড়ীতে মানুষ, বোর্ডিঙে তার মন টিকৃত না, শুধু শনি রবিবার নয়, সব ছোট ছুটিতে আমাদের বাড়ি ছিল তার বন্ধুত্বের আশ্রয়, তার গল্পের আডডা, গানের আসর । কলেজজীবনে আমি তাদের সিনিয়ার ছিলাম, সেজন্য পড়াশোনা সম্বন্ধে পরামর্শ দিতে আমার ডাক পড়ত তাদের আড়ায় ; পরামর্শ দেবার পরও থেকে যেতাম ; ইরা প্রথম প্রথম একটু সঙ্কোচবোধ করলেও কিছুদিন পরে আমি না হ’লে তাদের আডড জমতই না, গানের আসরে সঙ্গত করবার লোকের অভাব হ’ত । ধীরে ধীরে ইরাদের পরিবারের সঙ্গে আমাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ যোগ হয়ে গেল ; ইরার বাবা ম৷ কলকাতায় এলে আমাদের বাড়িতেই উঠতেন, আর পূজার ছুটিতে প্রতি বছর বিভাকে নিয়ে আমায় এলাহাবাদে ছুটতে হত। প্রথম যৌবনের হারান দিনগুলি থেকে একটি স্বন্দর মধুর ক্ষণ শুভ্র মুক্তার মত স্মৃতি-সমুদ্রের অতলত হতে উঠে এল । শরতের এক দুপুরবেল। পূজার ছুটির ক'দিন বাকী । চারতলার ছাদে সিড়ির পাশে আমার পড়বার ছোট ঘরে বসেছিলাম, সামনে কি একটা পরীক্ষা ছিল, বইয়ের রাশি চারদিকে স্তপীকৃত, পড়ায় মন ছিল না। সেদিন শরৎ-মধ্যাহের অপরূপ স্থৰ্যালোঙ্ক ছিল স্তষ্ক অতলতায় বিলীন, সামনে পারাসবুজ মাঠের ওপারে সাদা বাড়ির সারির উপর স্ববিস্তীর্ণ দিকচক্রবাল ভরে শুভ্ৰ মেঘের পুঞ্জ দেখাচ্ছিল যেন সাগরগামী বলস্কিার দল সাদা ডানা মুড়ে ঘেলাখেলি চুপ ধরে জন্ম আছে, - 藝 * -- * -- অস্তরে কোন চঞ্চলত ছিল না, শুধু ইচ্ছা হচ্ছিল ওই মেঘস্ত পের মত আকাশের স্বনীল শয্যায় শুয়ে দক্ষিণ ফ্রান্সের রৌদ্রপানপুষ্ট দ্রাক্ষাগুচ্ছের রসধারাময় সোনালী মদিরার মত শরতের আলোকধারা পান করি উপছে-পড়া ইন্দ্রনীল পেয়াল থেকে । ইজিচেয়ারে বসে দিবাস্বপ্নের জাল বুনছিলাম। কার ডাকে চমকে উঠলাম! চেয়ে দেখি দরজার সামনে ইরা ! ইরা বিভাকে খুঁজতে ছাদে এসেছে ; বললাম, এস, কি সুন্দর নীল আকাশ দেখ ! বললে,—ন, তোমার পড়ার ক্ষতি হবে । বললাম,--মোটেই না, তুমি একটু গল্প করে গেলে তারপর পড়ায় মন বস্তে পারে, কিন্তু এমনি যদি চলে যাও, তারপর পড়াশোনা অসম্ভব হবে। মৃদু হেসে সে ঘরে ঢুক্ল । ইজিচেয়ারে তাকে বসিয়ে তার পাশে বেতের চেয়ারে বসলাম । কি গল্প হয়েছিল মনে নেই, অতি তুচ্ছ সামান্য কথাই হবে, জলবিশ্বের মত অলীক । সেদিন ইরাকে বড় সুন্দর দেখেছিলাম—পিচফল রঙের শাড়ীর সবুজ পাড় কালে চুলের ওপর, হাতে কয়েকগাছি সোনার চুড়ির ঝিকিমিকি, হরিণের মত কালে দুষ্ট চেখে স্বপ্নলোকের আভা,—সে শরতের মধ্যদিনে নির্জন ছাদের কোণে আমার গ্রন্থবিকীর্ণ ছোট ঘরের মধ্যে ইজিচেয়ারে হেলিয়ে-বস খামলী কিশোরীর মুখে যে অপরূপ সৌন্দৰ্য্যালোক দেখেছিলাম, সে সৌন্দর্য্য জীবনে আর কখনও দেখব না । গল্পে গানে হাসিতে বিষ্টিতে ভর সেই দুপুরবেলার তুলনা কোথায় ! এক পশল বিষ্টি এল, বিষ্টির ছাট ঘরে আসতে লাগল, আমাদের চোখেমুখে । বললাম,—ইরা, একটা বর্ষার গান গাও । হেসে বললে—কি বল, এ শরতের ক্ষণিক ধারার সঙ্গে কি বর্ষার গান গাওয়া যায়, গান আরম্ভ করতে করতেই ধে বর্ষণ শেষ হবে। বললাম, বড় ইচ্ছে করছে একটা গান শুনতে। রহস্যময় চোখে একটু হেসে উঠল, বড় মুন্ধর ছিল তার হাসি, গাল ছুটি একটু ब्रांड इंग्लं★न छ*७, দু-চোখের তটে কিসের কাপন . . . .ჭ...ჯ ° °

ة. فة- . . . .