পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\Sty S99áు মুথে কাজী খাঁর অধীনে মোগল-বুহের বাম দিকের মুসলমানদিগকে ভীবণ বেগে আক্রমণ করিল। কাঞ্জী খার দলে শেখ মন্‌স্বরের কর্তৃত্বে ফতেপুর সিক্রীর শেখজাদাগণও ছিল। যুদ্ধের প্রথমেই শেখজাদাগণ সোজা পিছনের দিকে ছুটিল। পলায়নের সময় শেখ মন্‌স্বরের পশ্চাদেশে একটি তীর লাগিয়াছিল—ইহার ঘা না কি বহু দিন শুকায় নাই ! কাজী খাঁ মোলা হইলেও সাহসে ভর করিয়া কিছুক্ষণ যুদ্ধ করিলেন। কিন্তু বুড়ো অঙিলে তলোয়ারের চোট লাগাতে র্তাহার একটা হদিস মনে পড়িল ; যথা “Flight from overwhelming odds is one of the traditions of the Prophet.” এবং এই হদিস আওড়াইয়া তিনিও পৃষ্ঠভঙ্গ দিলেন। মহারাণার রাজপুতের তাহার দলকে তাড়াইয়া মোগল বাহিনীর মধ্যভাগের উপর ফেলিল ( bar qalb zad ) ]* রাজা রামশার আক্রমণে দিগ্বিদিকৃজ্ঞানশূন্ত হইয়া রায় লুমকরণের রাজপুতেরা ভেড়ার পালের ন্যায় শাহী ফৌজের হরাবলের দিকে ছুটিতে লাগিল, এবং হরাবল ভেদ করিয়া শাহী ফৌজের দক্ষিণ ভাগের আড়ালে আশ্রয় গ্রহণ করিল। হাকিম খাঁ স্বরের আক্রমণে মোগল হরাবল পুৰ্ব্বেই পরাজিত ও ভগ্নপ্রায় হইয়াছিল । এ সময়ে লুনকরণের রাজপুতেরা ইহার উপর আসিয়া পড়াতে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়িয়া গেল। পলায়নপর মোগলপক্ষীয় রাজপুত এবং তাহাদের অনুসরণকারী মহারাণীর রাজপুত মিশিয়া যাওয়াতে বদায়ুনী আসিফ খাকে জিজ্ঞাসা

  • Lowe বদায়ুনীর w:NRIftwf fəiffaettttş#...swopt his [ Qazi Khan's I men before him and bearing them along broke through his centre, Woo [of osso bardashtah w rauftah bar qalb sad. Esta no Stotfries Wtèm সেনার মধ্যভাগের উপর ফেলিল । লো সাহেবের অনুবাদ শুদ্ধ নয়। ইহার দ্বারা বুঝা যায় কাজী খার মধ্যভাগ ভাঙিয়াছিল। কাজী খীর মধ্যভাগ বলিয়া কিছু ছিল না, ভাঙ্গার কথাও নাই। আশ্চর্য্যের বিষয় গৌরীশঙ্করজী বায়ুনীর মূলের সহিত ন। মিলাইয়া লে৷ সাহেবের অশুদ্ধ ইংরেজী অনুবাদ হিঙ্গীতে ভাষান্তরিত করিয়াছেন। ‘উল্কী সেনা ক সংহার করত হয়৷ বহ উসকে মধ্য তকু পহুছ গিয়া” ! ( রাজপুতানেৰণ ইতিহাস, ৩য় ভাগ, * *)1

করিলেন, “হুজুর শত্র মিত্র চেনা যায় না, তীর নিশানা করিব কোন দিকে ?” আসফ খাঁ মীরবকশী নিৰ্ব্বিকারচিত্তে হুকুম দিলেন, “কুছ পরোয় নাই। যে-কেহ সামনে থাকুক না কেন তীর ছুড়িতে থাক, হয় এদিকের না-হয় ওদিকের কাফেরই জাহান্নমে যাইবে, ইসলামের উভয়ত্র লাভ ।” মোল্লা সাহেব ও তাহার বন্ধুরা বেপরোয়া তীর ছুড়িতে লাগিলেন । ঠাসাঠাসি মাতুষের পাহাড়, মোল্লাজীর কাচা হাতের নিশানাও ব্যর্থ হইল না ; মোল্লা বদায়ুনী লিখিয়া গিয়াছেন, এ কাজটা যে কিছুমাত্র অধৰ্ম্ম নয় তাহার নিষ্পাপ মনই সাক্ষ্য দিল। কালিদাসের কুষ্মন্তের মত তিনি ভাবিলেন “সতাং হি সন্দেহপদেষু বস্তুযু। প্রমাণমন্তকরণ প্রবৃত্তয়ঃ ” র্তাহার দৃঢ় প্রত্যয় হইল জেহাদের “সওয়াব” হাসিল করিয়া তিনি গাজী হইয়াছেন [ such ish. . hasit shud]। এ ভাবে কিছুক্ষণ বাদশাহী ফৌজের রাজপুতদিগকে মারিয়া আসফ খাঁ ও মোল্লাজীর দল পৃষ্ঠভঙ্গ দিলেন। হরাবলের মুষ্টিমেয় রাজপুতগণকে বিপন্ন করিয়াই আসফ খাঁ পলাইয়াছিলেন এ কথা বদায়ুনী লিখেন নাই। হরাবলকে পরাজিত করিয়া হাকিম থা সুর মানসিংহের সৈন্তের দক্ষিণ পক্ষ আক্রমণ করিলেন । সৈয়দের সাহসী যোদ্ধা হইলেও এ আক্রমণের সম্মুখে হটিয়া গেল। পলায়নট সংক্রামক ; একবার আরম্ভ হইলে উহাকে ঠেকান দায় । মানসিংহের হরাবল, বাম পক্ষ ও দক্ষিণ পক্ষ পরাজিত ও ভগ্ন হওয়াতে মহারাণার সৈন্য প্রবলবেগে তাহাকে আক্রমণ করিল । জগন্নাথ কচ্ছবাহের অধীনে হরাবলের বিপন্ন রাজপুতগণকে সাহায্য করিবার জন্য “আলতামশের” সেনাপতি মাধোসিংহ অগ্রসর হইলেন। এদিকে মহারাণা তাহার অগ্রগামী সৈন্যদের রক্ষা করিবার জন্ত মাধোসিংহকে আক্রমণ করিলেন । যুদ্ধের এ অবস্থায় মাধোঁসিংহ ও জগন্নাথের সেনাদলকে ডানদিকে রাখিয়া কুমার মানসিংহ প্রাণপণে মহারাণার দক্ষিণ বাহিনীর সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। এই সময়ে বোধ হয় মানসিংহের সৈন্তকেও মহারাণা পিছু