বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

FI드' অলামী yN9t 翁 তুরক কহাসী মুখ পতে, ইন তন স্ন ইকলিংগ । অর্থাৎ, ভগবান একলিঙ্গজী, প্রতাপসিংহের মুখ দিয়া বৃদশকে তুরস্ক’ই বলাইবেন, বাস্তবিক এই চিঠিপানির কোন ঐতিহাসিকতা আছে বলিয়া মনে হয় না। ইত রাজপুত কবি কর্তৃক মহারাণার সমসাময়িক প্রশংসা— হৃতগৌরব রাজপুত জাতির অন্তঃনিরুদ্ধ স্বাধীনতাস্পহার গৈরিকস্রাব । এই হিসাবে পৃথ্বীরাজের কবিতাগুলির একটি স্থায়ী মূল্য অবশ্যই আছে। নিম্নে আমরা কয়েক ছত্র উদ্ধত করিব— ১। আকবর সমদ অথাই, তিত্ব ডুব হিন্দু তুরক। মেবারে তিড় মাই, পোয়ন ফুল প্রতাপস । —আকবর রূপী অতল সমূত্রে হিন্দু মুসলমান সবই ডুবিয়া গিয়ছে । শুধু মেবারপতি প্রতাপ-রূপী কমল ইহাতে ভাসিয়া আছেন । ২ । আকবর ঘোর আঁধার, ট্যাণ" হিন্দু অবর । জাগৈ জগদাতার পেতরে রাণ প্রতাপসী । আকবর-রূপী ঘোর আঁধারে সমস্ত হিন্দু নিদ্রিত হইয়াছে। কিন্তু স্বাণ প্রতাপ ধৰ্ম্ম-ধন রক্ষার জন্য প্রহরীস্বরূপ জাগিয়া আছেন । ৩ । চপ্প। চিতেীবাই, পৌরস ভনে প্রতাপলী । সেীরস্থ আকবর শাহ, আলিয়ল অtভরিয়া নহী ৷ —-চিতোর চাপাফুল ; প্রতাপ ইহার সুগন্ধ । আকবর-রূপী ভ্রমর গণিদিকে ঘুরিতেছে ; কিন্তু কাছে যাইতে পারিতেছে না। কথিত আছে, মহারাণা প্রতাপের মৃত্যুসংবাদ পাষ্টয়া সম্রাট আকবর কিছুক্ষণ উদাস ৪ নিস্তব্ধ ছিলেন । ইহাতে দরবারিরা হয়রাণ হওয়ায় মহারাণা প্রতাপের ভাই জগমলের চারণ কবি আঢ়া একটি ষটুপদী কবিতা আবৃত্তি করিয়াছিলেন। উহার সারাংশ এই,— হে গুহিলোত রাণা প্রতাপসিংহ! তোমার মৃত্যুতে বাদশাহ দাতে জিভ কাটিয়া দীর্ঘনিঃশ্বাসের সহিত চোখের জল ফেলিয়াছেন। কেন-না তোমার ঘোড়া বাদশাহী মনসবের দাগে কলঙ্কিত হয় নাই, নিজের পাগড়ী কাহারও কাছে তুমি নত কর নাই ।.শাহী ঝরোকার নীচে তুমি কোন দিন দাড়াও নাই । বীরশ্রেষ্ঠ প্রতাপের যশোগানে আরাবল্লীর উপত্যকভূমি আজও মুখরিত। সমস্ত ভারতবর্ষ তাহকে চিরদিন ভক্তি অৰ্ঘ্য দান করিয়া আসিতেছে। যতদিন পৃথিবীতে বীরপূজা প্রচলিত থাকিবে ততদিন মহারাণ। প্রতাপের কীৰ্ত্তি স্বান হইবে না , তাহার জীবনী প্রত্যেক ভারতবাসীকে স্বাধীনতা ও স্বদেশপ্রেমের প্রেরণা দান করিবে । কিন্তু দুঃখের বিষয় মেবারে মহারাণ। প্রতাপের কোন স্মৃতিমন্দির নাই । তাহার দেহ-ভস্মের উপর যে একটি ছোট ছত্ৰী নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, সংস্কার ভাবে উহা ও জীর্ণশীর্ণ । অনামী শ্ৰীখগেন্দ্রনাথ মিত্র গ্রামের গাছগুলির মাথায় যখন সোনালী রৌদ্র চিক্‌ চিকু করে, এক পেট পান্ত ভাত খাইয়া যত্ন প্রতিদিন বাহির হয়। শীত নাই, গ্রীষ্ম নাই, বর্ষাও মানে না –সে চলিত বাক কাধে কোনদিন ক্ষীর, কোনদিন দধি, কোনদিন বা ঘুত লইয়৷ ঠাকিতে কঁাকিতে গাছের তল। দিয়া, আলের উপর দিয়া, মাঠ ভাঙিয়া নদীর ওপারে সেই ছোট শহরটিতে । বহুদূর হইতে শোনা যাইত, যদু স্থাকিতেছে, "চাই দই—”, “চাই ক্ষীর—”, “চাই গাওয়া ঘি—” । যাত্রাকালে মেয়ে যশোদা বলিয়া দিত, “বাবা, শীগগির ফিরে । বেল তিন পহর ক’রো না । রোজই তোমার শাক-ভাতটুকু শুকিয়ে যায়।” যদু বলিত, “আচ্ছা।” কিন্তু সে কথামত ফিরিতে পারে না। দুই তিনখানা গ্রাম হইয়া, শহর ঘুরিয়া আসিতে আসিতে প্রতিদিন বেল গড়াইয়া যাইত তাহা ছাড়া, এক নদীই যে বিশ ক্রোশ । খেয়াঘাটে সময়ও যায় অনেকটা । আবার, পথে সাঙ্গং-কুটুম্ব লোকের সঙ্গে দেখা হইলে, দুই চারিট স্বর্থ-দুঃখের কথা না বলিয়া যেন থাকা যায় না। কিন্তু তাহার যশোদা তাহা বুঝে না । তাহার স্ত্রী বিরাজের শরীর ভাল নয়। আজ কয় বৎসর ধরিয়া নাগাড় ব্যারাম। কি যে তাহার হইয়াছে ! মাদুলী, তাগ-তাবিজ, ঝাড়-ফুক, পাচন, সিন্নি, রাধিকা