বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত্র রাধানাথ শিকদার ৬৬১ সনের ১৬ই অক্টোবর কর্ণেল থুইলিয়রকে পত্রে জানান যে, এই অপরাধ হেতু ম্যাকডনাল্ডকে তিন মাসের জন্য কৰ্ম্মচু্যত করা হইল। এই সময় অস্তে প্রথম শ্রেণী হইতে দ্বিতীয় শ্রেণীর ডেপুটি স্থপারিন্টেণ্ডেণ্ট পদে তাহাকে অবনমিত করা হইবে এবং সরকারের বিশেষ মঞ্জুর ন হইলে প্রধান কৰ্ম্মস্থলে ( head-quarters ) পুনরায় তাহাকে নিযুক্ত করা হইবে না। লেফটনেণ্ট কর্ণেল ম্যাকডনাল্ড সরকারের হস্তে এইরূপ শাস্তি প্রাপ্ত হইলেও সৰ্ব্বসাধারণের নিকট হইতে সাহস ও সত্যবাদিতার জন্য বিশেষ প্রশংসা লাভ করিয়াছিলেন । জরিপ-বিভাগের গণনাকার্য্যের সুবিধার জন্য ১৮৫১ #on of Taio fossi; Auxiliary Tables aton একখানি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন । সাহিত্য-সাধনায় রাধানাথ শিকদার উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতিকল্পে র্যাহার চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন রাধানাথ শিকদার তাহদের মধ্যে একজন। ‘মাসিক পত্রিকা আধুনিক কথ্য ভাষার জন্মদাতা । রাধানাথ শিকদার ও প্যারীচাঁদ মিত্র একযোগে এই পত্রিক সম্পাদন করিয়াছেন । এই পত্রিকায় সকল বিষয় অতি সহজ ও সরল ভাষায় সাধারণের বোধগমা করিয়া লেখা হইত। ১২৬১ সালের ১লা ভাদ্র ( আগষ্ট, ১৮৫৪ ) মাসিক পত্রিকা বাহির হইয় প্রতি মাসের ১লা তারিখে প্রকাশিত হইত। পত্রিকাথানি প্রায় তিন বৎসর চলিয়াছিল। ইহার কয়েক সংখ্যা দেখিবার সৌভাগ্য আমার হইয়াছে। প্রত্যেক খানিতেই কাগজের উদ্দেশ্য এইরূপ লিখিত আছে,— এই পত্রিক সাধারণের বিশেষতঃ স্ত্রীলোকদের জন্তে ছাপা হইতেছে, যে ভাষায় আমাদের সচরাচর কথাবাৰ্ত্ত হয়, তাহীতেই প্রস্তাব সকল রচনা হইবেক ... মাসিক পত্রিকায় কি কি বিষয়ের আলোচনা হইত, ১২৬২ সালের জ্যৈষ্ঠ সংখ্যার ( নং ১• ) স্বচীপত্র দৃষ্টে তাহ বুঝা যাইবে । যথা—শ্ৰীমতী মনোমোহিনী দেবীর দ্বিতীয় বিবাহ করিবার আপত্তি ঘুচিয়া যায়। ব্ৰজনাথ বাবুর চিঠি। আলালের ঘরের দুলাল নং ৪ । রাধানাথ ‘মাসিক পত্রিকা’য় রীতিমত লিখিতেন । গ্রীক ও ল্যাটিন সাহিত্যে তিনি ব্যুৎপন্ন ছিলেন। তিনি প্লুটার্ক জেনোফন প্রভৃতি হইতে নানা প্রবন্ধ "মাসিক পত্রিকা’য় লিখিয়াছিলেন । রাধানাথ পত্রিকার মধ্য দিয়া যে শুধু ভাষা জগতেই বিপ্লব সাধনে সহায়তা করিয়াছিলেন তাহী নহে, সমাজসংস্কারেও তিনি বিশেষ অগ্রণী ছিলেন । উক্ত স্বচী হইতে তাহ স্পষ্ট বুঝা যায়। জনহিতকর কার্য্যে রাধানাথ শিকদার রাধানাথ শিকদার যে তৎকালীন জনহিতকর কার্য্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিশোরীচঁাদ মিত্রের রোজনামচায় ৬ আমরা তাহার আভাস পাই । ১৮৫৪ সনের ১৫ই ডিসেম্বর কাশীপুরে কিশোরীচঁাদ মিত্রের ভবনে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে এক সভায় স্বহৃদ সমিতিস্থাপিত হয়। উদ্দেশ্য, সম্মিলিত ভাবে সমাজের উন্নতিসাধনে সচেষ্ট হওয়া। স্ত্রীশিক্ষার প্রবর্তন, হিন্দু-বিধবার পুনৰ্বিবাহ, বাল্যবিবাহ আইন এবং বহুবিবাহ-প্রচলন রোধের প্রস্তাবও এই সভায় গৃহীত হয় । রাধানাথ শিকদার এই সভার সভ্য ছিলেন। মিত্ৰ-মহাশয়ের ১৮৫৫ সনের ৯ই ডিসেম্বর তারিখের রোজনামচায় এইরূপ আছে,— আমি, দাদা, রাধানাথ, রসিক ও তারকনাথ সেন একত্র হইয়। হিন্দুবিধবাগণের পুনর্বার বিবাহ সম্বন্ধে ব্যবস্থাপক সভার প্রতি আমাদের প্রার্থনাপত্র বিবেচনা ও সংশোধন করিলাম। { রাধানাথ যে পাঠ্যাবস্থা হইতেই শিক্ষাপ্রচারে অবহিত ছিলেন তাহার নিদর্শন আমরা ইতিপূৰ্ব্বে পাইয়াছি। আপিসের কঠোর কার্য্য করিয়া রাধানাথ যেটুকু স্বল্প অবসর পাইতেন তাহা তিনি দেশের কল্যাণকৰ্ম্মে ব্যয় করিতেন। তিনি বুঝিয়াছিলেন, কেবলমাত্র সাধারণ শিক্ষায় দরিদ্র জনসাধারণের কল্যাণ হইবে না, সঙ্গে সঙ্গে কার্যকরী শিক্ষাও প্রয়োজন । কিশোরীর্চাদের রোজনামচা ( ২৯এ আগষ্ট, ১৮৫৫ ) পাঠে জানা যায়,— • ক্রযুক্ত মন্মথনাথ ঘোষের_লক্ষ্মীর_কিশোরীচাঁদ" পুস্তকে কিশোরীচঁাদ মিত্রের অপ্রকাশিত রোজনামচার স্থল-বিশেষ উদ্ধত झईग्रांप्रू । + কৰ্ম্মবীর কিশোরীর্চাদ, পৃঃ ১০৭ ৷