বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত্র কবির প্রথম জীবনের রচিত উচ্চসঙ্গীতের ধ্রুপদ, টপ্পা শ্রেণীর গান যথেষ্ট আছে। প্রসিদ্ধ -হন্দী গানের স্বর ও ছন্দের সাহায্য নিলেও তিনি ঐ সব গানের কথার ভাবের অমুকরণ করেন নি। ভবের দিক থেকে দেখলে গানগুলির নিজস্ব সত্তা পুরাপুরিই রয়েছে । রবীন্দ্রনাথের গানের স্বর নিয়ে আলোচনা কর। এখানে সম্ভবপর নয়, সমীচীনও নয়। উৎক্লষ্ট হিন্দী গানের ছাচে ঢালাই গান তার যথেষ্ট আছে । ঐ সব গানের ভাবে, সুরের ভাবে ও ছন্দের ভাবে অপূৰ্ব্ব মিলন হওয়াতে এমন লাবণ্য ফুটে উঠেছে, তুলনায় অনেকাংশে হিন্দী গানকেও ছাড়িয়ে যায় । অধিকাংশ হিন্দী গানে কথার ভাব মোটেই নেই । ভারতের অন্যান্য দেশের গানে কথার ভাবটুকু মুখ্য ক’রে দেখা হয় না। স্বর ও ছন্দের ভাবটুকুই প্রথম যাচাই হয় । ঠ বাধ্য শব্দ-সংযোজন করেও সে জন্যে গান করা চলে । যেমন ‘তিলানা গান । তাতে অবোধা শব্দের সাহায্য খেয়াল, ट् ऍ! 성「 স । সা র সী রা র গা র গ দl o | র দি ম দী { রা দি ম দ। এ গানটির রচয়িত আচপলের কবিত্ব-শক্তি ছিল ন, এ জন্য উপরোক্ত স্বরবিন্যাসটিকে প্রকাশ করতে এ সব অবোধ্য শব্দের সাহায্য নিয়েছিলেন এরূপ মনে করাই স্বাভাবিক । কিন্তু আচপল একজন উচ্চশ্রেণীর কবি-গায়কই ছিলেন । র্তার রচিত অনেক ভাল ভাল গান আছে। কিন্তু তবুও কেন তিনি এরূপ করেছিলেন ভাবতে গেলে এই মনে হয় যে, স্বরের প্রাধান্য দিতে হ’লে এ ছাড়া সহজ উপায় আর নেই। যা-হোক এই প্রসিদ্ধ খেয়াল গানটিকে ৬জ্যোতিরিন্দ্রনাথ আমাদের মনমত কথায় তার ভাব ফুটিয়ে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন “কত দিন গতিহীন অতিদীন ভাবে ।” নটমল্লার তেতালায় হুবহু উপরোক্ত মুরে গীত হয়। এই ‘দার দিম দারা দিম আর “কত দিন গতিহীন গনি দুটি যদি একজন গায়ক একই আসরে পর পর গীত করেন তবে দুটি গান একই স্বরের একই জিনিষ হলেও রবীন্দ্রনাথের সুর WJఫి নিয়ে স্বরের ও ছন্দের ভাবের মিলনে রসস্তষ্টি করা হয় মাত্র । কিন্তু বাঙালীর পক্ষে এটা রুচিকর হয় না । আমরা বাউল ও কীৰ্ত্তনের প্রভাবে কথার ভাবটুকুই প্রথম গ্রহণ করি। এ জন্য হিন্দী গান আমাদের ভাল লাগে না এবং ধ্রুপদ-থেয়ালের নামেই আঁৎকে উঠি । যন্ত্রে যে-কোন সুরই ভাল লাগে, কারণ কথার বালাই যন্ত্রে নেই। গানে যে-সুর থাকে যন্ত্র দিয়েও সে-স্বরই যদি বাজান হয় তবুও গানের কথার ভাব আমরা গ্রহণ করতে না পারায় আমাদের গান ভাল লাগে না । কিন্তু যন্ত্রে সে স্বর শুনেই আমরা মুগ্ধ হয়ে পড়ি । বাঙালী স্বভাবত ভাবপ্রবণ। আমরা কথার ভাবই প্রথম চাই, তারপর আসে স্বরের ভাব ও তারও পরে ছন্দের ভাব । সঙ্গীতের আসরেও বাঙালীর এ বৈশিষ্ট্যটুকু বজায় আছে, এবং তা কেবল আমাদের বাউল ও কীৰ্ত্তনের মহিমায় । একটি খেয়াল তিলানা গান আছে, নট-মল্লার রাগিণী ও তেতালা ছন্দে গীত হয় । গানটির প্রথম কথা হ’ল “দার দিম দার। দিম দারা দিম দার।” মা ধ] পা পা মা গা র স৷ я1 fй х йi | яi o o o আমরা ‘কত দিন গতিহীন’ গানটিকেই বিশেষ ভাবে হৃদয়ঙ্গম করব । রবীন্দ্রনাথ প্রথম জীবনে উৎকৃষ্ট হিন্দী গানগুলির সুর ও ছন্দ বজায় রেখে সে সব গানের ভাব অনুযায়ী গান রচনা ক’রে সে সকল গানের রস বৃদ্ধি করেছেন এবং বাংলার সঙ্গীত-জগতকে সমৃদ্ধিশালী করেছেন, সেজন্য তিনি সঙ্গীতজ্ঞ মাত্রেরই ভক্তিভাজন সন্দেহ নেই । আজকাল ধারা গান গাইছেন তারা অনেকেই ঐ সব গানের রসের স্বাদ পেয়েছেন বলে মনে হয় না । সুগায়ক ওস্তাদের কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের ঐ সকল গান শুনলে পরে যারা ধ্রুপদ-খেয়ালের নামে আঁৎকে উঠেন তাদের সে ভয় ভেঙে যাবে, তা জোর ক’রে বলা চলে । ৬/রাধিক গোস্বামী অনেকের ঐরূপ ভুল ভেঙে দিয়েছিলেন । রবীন্দ্রনাথের এ সব গান মা শিখে কেবল র্তার আধুনিক গান শিখলে আধুনিক গানের ভাব বজায় se