বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و اسواما S90āు নীন রাশিয়ার প্রতি গ্রন্থকারের শ্রদ্ধা আছে এবং বই খান। লিখিতে তিনি যথেষ্ট পরিশ্রম করিয়াছেন । তাহার নিজের কথায় “এই গ্রন্থখানিকে অর্থনৈতিক ইতিহাস স্বরূপ বলা যাইতে পারে।” কিন্তু ইহাতে অঙ্ক এবং গণনা এত রহিয়াছে যে, সেগুলির একটু ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত ছিল এবং কোথা হইতে এ-সব সংগ্রহ করা হইয়াছে, তাহাও সব জায়গায়ই বলা উচিত ছিল । সাধারণ পাঠকের নিকট এত সব হিসাবের অর্থ স্পষ্ট হইবে কিনা বলা কঠিন। আর, জমি ইত্যাদির পরিমাপ আমাদের দেশী মাপে বুঝাইয় দিলে বোধ হয় उठाँळ झट्रेङ ! গ্রন্থকারের অনেক বক্তব্যই অন্য স্থান হইতে সংগৃহীত বলিয়। মনে হয় । কিন্তু কথায় কথায় অনুবাদে ভাষা আড়ষ্ট হইয় পড়ে ; একটু চেষ্টা করিলেই গ্রন্থকার এই দোণ শোধরাইয়া লইতে পারিতেন । পঞ্চবার্ষিক পদ্ধতি (Five-Year Plan) ইত্যাদির আরও একটু বিস্তৃত ব্যাখ্যা থাকিলে ভাল হইত। অধ্যায়-বিভাগেও স্থানে স্থানে অসামঞ্জস্ত রহিয়াছে বলিয়। মনে হয় । তবে, ষে অবস্থায় গ্রন্থকার বইখান শেধ করিয়াছেন তাহ স্মরণ করিলে তাহার উদ্যমের প্রশংসা না করিয়া পারা যায় না । ছাপা ও কাগজ উত্তম । শ্রীউমেশচন্দ্র ভট্টাচার্যা জাপানের উন্নতি হইল কিরূপে—মালালয় কুমিকলেজের অধ্যাপক শ্ৰীচারুচন্দ্র ঘোষ প্রণীত | প্রবাসী কাৰ্য্যালয়, ১২৯.২ অাপার সাকুলার রোড, কলিকাতা । মূল্য দশ আন।। মোট ১২ পৃষ্ঠা। তম্ভিন্ন আর্ট পেপারে স্বতন্ত্র মুদ্রত ১৫ খনি ছবি আছে । লেখার সঙ্গে আরও তিনখানি ছবি আছে। জাপানে নিয়মতন্ত্র শাসনপ্রণালীর প্রবর্তম, পণাশিল্প, বাণিজ্য ও কৃষির বিস্ময়কর উন্নতি এবং যে সামরিক বলে জাপানীরা রুশিয়াকে পরাস্ত করিতে পারিয়াছিল সেই সামরিক শক্তি সমগ্র প্রাচ্য ভূখণ্ডকে আশ্চৰ্য্যাতি করিয়াছিল। জাপানের এই রূপ কৃতিত্বে অস্ত সব এশিয়াবাসী জাতির মনে এইরূপ ধারণা জন্মিয়াছে, যে, তাহারাও জাপানের মত হইতে পারে । ভারতযুর্মে জাপানের দৃষ্টান্তু জাতীয় জাগরণের অস্ততম কারণ। ভারতীয়ের। মনে করিয়া থাকে, জাপান স্বাধীন অতএব তামরাও স্বাধীম হইতে পারি, এবং জাপান শিক্ষা, পণ্যশিল্প, বাণিজ্য, কৃষি এই সামরিক কাৰ্য্যক্ষেত্রে স্বাহ করিয়াছ, আমরাও তাহণ করিতে পারি। পারি যে, হ্রাহ: নিঃসন্দেহ । কিন্তু জাপানীরা তাহাদের জাতীয় চরিত্র ও দেশকালের অনুযায়ী যে-সব উপয অবলম্বন করিয়াছে, আমরা দেশকালপাত্রভেদে সেইরূপ সব উপায় অবলম্বন করিলে তবে আমাদের ইচ্ছ। সফল হইবে । কোণ সদগুণ কোন জাতিরই একচেটিয়া নহে ; সকল জাতির মানুষের চরিত্রেই সকল সদগুণ অল্প বা অধিক বিকশিত ভাবে বিদ্যমান আছে জাপানীদের যে-সব সদগুণ তাহদের উন্নতির মূলভূত, তাহ। ভারতীয়দিগের চরিত্রে মোটেই নাই এমন নয় । গ্রন্থকার স্বয়ং জাপানে গিয়া পর্যবেক্ষণ দ্বারা যে অভিজ্ঞত লাভ করিয়াছেন, এই বঙ্কিখানি তাহার ফল । তাঙ্কার বাব পৃষ্ঠাব্যাপী মুখবন্ধটি সৰ্ব্বাগ্রে পঠনীয়। তাছার পর তিনি আধুনিক জাপান ও তাঙ্কার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বর্ণনা করিয়াছেন । জাপানীদের জীবনের অনাড়ম্বরতা, পরিধেয় বস্ত্র, খাদ্য, শাস্তিপ্রিয়ত। ধৈর্য্যশীলতা ও BBBBBS BBBS BBBBS BBBBBBS BBBBBBBS BBBBS পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস, সহযোগে কাজ, বুদিদে, এবং ধৰ্ম্ম তাহদেব উন্নতির ভিত্তি বলিয়। তিনি নির্দেশ করিয়াছেন । এই বিষয়গুলির বিবৃতি ২৪ পৃষ্ঠাব্যাপী। তাছার পর আরও ১৬ পৃষ্ঠায় জাপানের উন্নতির স্বচনা ও উপায় প্রসঙ্গে ঐ দেশের সাৰ্ব্বজনীন শিক্ষা, সমবায়, কৃষি ও শিল্পবিদ্যালয়, পরীক্ষণ ও গবেষণা, আধুনিক যন্ত্রপাতি, বিজলীয় ব্যবহার, ব্যাঙ্কস্থাপন, গমনাগমনের সুবিধ), প্রভৃতি বর্ণিম হইয়াছে। এত আয়োজন সস্তব হইল কিসে, গ্রন্থকার তাই ও দেখাইয়াছেন । সর্বশেষে তিনটি পরিশিষ্ট্রে আছে—জাপান গবন্মে স্ট ও গবষ্মেন্টের চাকুরি, জাপানের আয়বায়, জাপানের বর্তমান শিক্ষায়তন, অধিবাসীদের জীবিকা, কুষি, বনজ দ্রব্য, খনিজ দ্রব্য, শিল্প রেশমশিল্প বয়নশিল্প, কলকব্জা তৈয়ারি, রাসায়নিক শিল্প, বিজলী উৎপাদন, গ্যাস, অপরাপর শিল্প, এবং ব্যবসা । লিখনপঠনক্ষম বাঙালীদের মধ্যে যাহার। জাপান যান নাই কিংষ। যাহার। জাপানের উন্নতির কারণ সবিশেষ অবগত নহেন, তাহার: এই বর্তিটি পড়িলে সে বিষয়ে জ্ঞানলাভ করিতে পরিবেন । এই জন্য ইহ। বঙ্গের সব স্কুল কলেজে এবং বাঙালীদেব সমুদয় লাইব্রেরীতে রাখিলে দেশ লাভবান হইলে ඵ්.