পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন হরিনাথ ও গঙ্গাধর কান্তিককে দেখিয়া বুঝিল এই যুবকের ঘটে বিশেষ কিছু নাই। গঙ্গাধর বলিল,— আমরা বিদেশী, দেশ দেখে বেড়াচ্ছি। তুমি কে ? —আমি এখানকার দেওয়ানের ছেলে, আমার নাম কীৰ্ত্তিক । গঙ্গাধর ও হরিনাথ ভাবিল, চেহার খান। ঠিক কাৰ্বিকের মতনই বটে। গঙ্গাধর হাস্যমুখে বলিল,—তুমি দেওয়ান ত্রিলোচনের ছেলে ? বেশ, বেশ ! আমাদের সঙ্গে আর এক গ্রামে এক জনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল সেও এখানে এসেছে । সে তোমার বাবার কাছে চাকরির জন্য এসেচে। ---ও ও-রকম কত আসে, কে রাখে } হরিনাথ বলিল, এ লোকটা বড় মজার, ফী কথায় বুঝলে কি-না বলে । কাৰ্ত্তিকের মুখ লাল হইয়া উঠিল, ক্রুদ্ধ স্বরে কহিল,— তাকে খুব চিনি, সে লোকটা ভারি পাজি । গঙ্গাধর বলিল,—আমাদেরও তাই মনে হয়। তুমি কেমন ক’রে জানলে ? —আমাকে একবার অপমান করেছিল। বাবার ভয়ে আমি কিছু বলিনি, তা না হ’লে আমি ওকে জব্দ ক’রে দিতাম । তাহার পর রাগের মুখে কাৰ্ত্তিক সকল কথা ফন্ড্রফড় করিয়া বলিয়া ফেলিল । শেষে বলিল,—ঐ রকম আর একটা লোক আসত সেও আমাকে অপমান করেছিল, কিন্তু তাকে আমরা মেরে ভূত ভাগিয়ে দিয়েচি। বাবাও তাকে দরোয়ান দিয়ে স্থাকিয়ে দিয়েছিলেন, সে আর আসে না । গঙ্গাধর জিজ্ঞাসা করিল,—তার নাম কি ? —তাত আমি জানি না । তার নাম বলে নি । —দেখতে কি রকম ? —গাটাগোট, চুল কটা, চোখ কটা। তার হাতে একটা লাঠি, তার ভিতর গুপ্তি। সেইটে বের করে আমাদের মারতে এসেছিল। . --তারপর ঐ 象 তার হিসেব স্বাগত A(ప —তারপর যেই আমি বললাম খুনী অমনি চে-ট দৌড়। আমি ঢিল মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়ে छ्लिांभ । —তার নামটা জানতে পার নি ? —বাবা জানে, কিন্তু আমি জিজ্ঞাসা করতে পারি নে । গঙ্গাধর বলিল,—এই দিকে কোথায় একটা দুর্ঘটনা হয়েছিল, দুটো লোক মোটর-মৃদ্ধ পুড়ে গিয়েছিল, তোমরা কিছু শুনেছিলে ? --না ত, তবে এই জমিদারী যার তিনি আর একজন ডুবে মারা যান। —সে কোথায় ? —সে আর একদেশে । বাবা গিয়ে অনেক খোজ করেছিল, মড়াও পাওয়া যায় নি, কুমীরে থেয়ে ফেলেছিল । গঙ্গাধর বা হরিনাথ আর কোন কথা জিজ্ঞাসা করিল না । তাহাদের একবারও মনে হইল না যে, যাহার জন্য তাহার এত দেশ খুরিয়া বেড়াইতেছিল, যে রহস্য জানিবার জন্ত তাহারা এত চেষ্টা করিতেছিল, এই স্থানেই তাহার মীমাংস আছে। তাহারা কেমন করিয়া জানিবে একটা দুর্ঘটনা গোপন করিবার জন্ত আর একটার কল্পনা হইয়াছে ? তাহার ফিরিয়া আসিয়া দেখিল, তাহীদের বাসার সম্মুখে বনবিহারী দাড়াইয়া আছে। তাহদের পশ্চাতে কিছু দূরে কাৰ্ত্তিক আসিতেছিল। বনবিহারী বলিল,—আমি তোমাদের জন্য দাড়িয়ে আছি, বুঝলে কি-না ? গঙ্গাধর বলিল,—এস বসবে। ততক্ষণে কাৰ্ত্তিক আসিয়া উপস্থিত হইল। গঙ্গাধর ও হরিনাথ রহিয়াছে এই ভরসায় সে রোক করিয়া বনবিহারীকে বলিল,-তুমি যে সেদিন বড় আমাকে অপমান করেছিলে ? বনবিহারী কাৰ্ত্তিকের পিঠে হাত দিয়া কহিল,--আরে ছোটবাবু, সে আমি তোমাকে একটু ক্ষেপিয়েছিলাম, কিছু মনে করে না। তোমার বাবা আমাকে’চাকরি