পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নালন্দায় দুই দিন শ্ৰীসন্তাকৃষ্ণ রায়-চৌধুরী সেদিন বুধবার, বেলা ৩ট। সবাই যে যার জায়গায় দাড়িয়ে ইজেল সামনে রেখে প্লাইউড ও ক্যানভাসের উপর তুলি দিয়ে রং বুলোচ্ছি -জীবন্ত আদর্শ থেকে ছবি তাক হচ্ছে—হঠাৎ আমাদের শিক্ষক, মিঃ গাঙ্গুলী, এসে খবর দিয়ে গেলেন, গ্রিন্সিপাল মশায় সাড়ে-তিনটার পর আমাদের সবাইকে ডেকেছেন । সাড়ে তিনটে বাঙ্গল। নিজের নিজের রং, তুলি, প্যালেট বাক্সবন্দী ক’রে সবাই দোতলায় আসা গেল, দরোয়ান দরজা খুলে দিলে, সবাই গুটি গুটি প। ফেলে প্রিন্সিপাল মশায়ের ঘরে এসে দাড়ালুম। সামনে বৃত্তাকারে চেয়ার সাজান ছিল, অধ্যক্ষ মহাশয় আমাদের বসতে ব’লে বেয়ারাকে ডেকে আমাদের জন্য জলখাবার আনতে বললেন । আমরা সব বসে পড়লুম। তিনি তখন আরম্ভ করলেন তার নালন্দ ভ্রমণের কথা –ছয়-শ লোক দৈনিক মাটি খুঁড়ে পনর বছরে বহু যুগের ভূগর্ভনিহিত নালন্দ বিশ্ববিদ্যালয়কে কি ক’রে লোকের চোখের সামনে তুলে ধরেছে। নানা দেবদেবীর মূৰ্ত্তি, আচ, পুরানে মুদ্র কি সব ফটোচিত্রে দেখালেন । কোথায় স্নান করতে গিয়ে তার ভূড়ি পর্যস্ত ড়োবেনি বললেন। দেখে-শুনে ভারি আনন্দ হ’ল । আমরাও যাবার জন্য উৎসুক হলুম। প্রিন্সিপাল মশায়কে জানালুম আমরাও যাব। তিনি বললেন,— বেশ, আমি তোমাদের সাত দিনের ছুটি দিচ্ছি। —ছুটির সঙ্গে আর কিছু মঞ্জুর করলে ভাল হয় না কি স্তর ? প্রায়ই যা অন্যান্য সরকারী স্কুল ও কলেজ থেকে ছাত্রেরা পেয়ে থাকে-ভ্ৰমণের টাকাটা ? —হবে’খন, আসছে বছরে দেখা যাবে । বেয়ারা ট্রেতে ক’রে জলখাবার দিয়ে গেল, সবাই খুব আনন্দ ক’রেই খেলুম। খেতে খেতে ঠিক করা >哈一@ * আরও কত 豆t3 গেল কে কে যাব অমর। প্রায় বারে তেরে৷ জন রাজী হলুম, শিক্ষক বসস্তবাবু আমাদের গাইড হবেন । যাবার দিন পর্যন্ত ঠিক হয়ে গেল-আসছে মঙ্গলবার। প্রয়োজনীয় জিনিষ যা না নিলে নয় ত৷ শুধু নিতে হবে। আর নিতে হবে ছবি আঁকার সাজসরঞ্জাম। মঙ্গলবার দিন সোরগোল পড়ে গেল ক্লাসে—আজি সন্ধ্যায় দানাপুর এক্সপ্রেসে যাওয়া হবে পাটন । ষ্টেশনে এসে দেখি আমির পৌছবার আগেই সবাই ট্রেনের একটি কামর দখল ক'রে বসে আছে । আমি এসে পড়াতে হৈ চৈ (히5 || 이5 মিনিট পরে টুেন ছাড়ল । DD D SBSS BBBB 0 BBS BBS BBS BBBB BB যে যার পাতা খুলে বোলান পাস, খাইবার পাস, লাহোর যাত্রীর পোরট্রেট স্কেচ করতে বলে গেলুম। কাজের বেজায় ধুম ! চলন্ত ট্রেন অনবরত নড়ছে-- পেন্সিল ঠিক থাকে না। র্যার ছবি করা হ’ল তিনি নিজের চেহার দেখে রীতিমত দমে গেলেন । আমরা হো-হে ক’রে হেসে উঠলুম। বেশ হৈ-চৈ ক’রেই সময়ট কাটছিল। হঠং কোন ষ্টেশনে ঘুমিয়ে পড়েছি। খুমের মধ্যে অনেক ষ্টেশন পার হয়ে গেল, জানতেও পারলুম না। ভোরবেল গাড়ী একটা ভেঙে গেল । চেয়ে দেখি বক্তিয়ারপুর ষ্টেশন । ষ্টেশনটা বেশ । ষ্টেশনের ওপারে গাছের ছায়ায় ঘাঘরাওয়ালীদের তাবু পড়েছে। এই তাবুকে নির্ভর ক’রেই এরা বছরের অধিকাংশ দিনগুলি কাটিয়ে দেয়। মুক্ত আকাশ, স্নিগ্ধ বাতাস ও বিস্তীর্ণ মাঠের পারিপার্শ্বিকের মধ্যে এর বেড়ে উঠেছে। এর te পূড়ে ষ্ট্রেশমে থামতেই ঘুম