পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

११२ S99ā) আস্তে উঠে এসে বিজয়বাবুর পকেট আশ্রয় করবে। পরামর্শ ঠিক হতেই উঠে এলুম তাদের মাঝখানে জানালার এক পাশে । তাদের ঘাড়ের উপর দুই হাতে দুই জনকে ভর করে ধরলুম। গল্প স্বরু করলুম। গল্প জমে আসতেই হঠাৎ জানালার ভিতর হাত গলিয়ে দিয়েই 65fsca S$zi: Look, Look, Ishak ! How beautiful the hillocks are and the brook, and the young lady in the garden under the shadows Oh তার। জানালীর ভিতর দিয়ে গল| বাড়িয়ে দিয়ে, আমার কথার রস উপলব্ধি করে সমস্বরে বলে উঠলেন, Yes ! Yes. ইত্যবসরে কাজ শেষ । বিজয়বার পেছন চিম্টি কাটলেন । বুঝলুম কিস্তিমং। বসন্তু বাবু এসে বসলেন আমাদের মাঝে । of the palm trees Beautiful থেকে খানিক পরে বললুম ভয়ানক খিদে পেয়েছে, স্থার । তিনি উত্তর করলেন, আমারও সেই অবস্থা। সোজ। ব’লে বসলুম, ইসাকর থাবার এনেছে, এই চপড়াতেই আছে, স্তর । ও । তাই ন; কি ? বলেই হাত গলিয়ে দিলেন চুপড়ির ভেতর । দুয়েকট। ডিম ও কলা তিনি খেলেন। স্তরের কৃপাদৃষ্টি ভিক্ষে করলুম। যৎকিঞ্চিৎ প্রসাদ লাভ হ’ল। ইসাকের নাম উচ্চারণ করাতে তিনি ফিরে বসেছিলেন, দেখলেন শুর খাচ্ছেন । তার আনন্দ হ’ল । মুখ ফিরিয়ে নিয়ে গুণগুন করতে লাগল, দেখলে না যে কতগুলো পেলেন । সাপ মরল লাঠিও ভাঙল না। সব স্তরের উপর দিয়েই গেল । পকেটস্থ খাবারগুলো ট্রেনের অন্য কামরীয় উঠে সাবাড় করা হ’ল । গাড়ী বক্তিয়ারপুর ষ্টেশন থেকে চলতে মুরু ক’রে অনেকগুলি ষ্টেশন পেরিয়ে এসে ঠিক দুপুর বেলা এসে পৌছল নালন্দায় । নালন্দা ষ্টেশনটি ছোটখাটে । তার পাশে মুদিনীর দোকান তেঁতুলগাছের ছায়ায় । এরই মাঝখান দিয়ে ছোট্ট একটি রাস্ত বেরিয়েছে। রাস্তার দুই ধারে দূরে দূরে দু-একটা ক’রে গাছ। এই রাস্তাই এক্সক্যাভেশুনের পাশ দিয়ে দুই একটি ক্ষুদ্র গ্রামের বঙ্গভেদ ক’রে এগিয়ে গিয়েছে খানিকটা দূরে। এই রাস্তার পাশেই ধৰ্ম্মশালা। এইখানে আমরা তিনট দিন বেশ মুখেই কাটিয়েছিলুম। উচু প্রাচীরে ঘের ধৰ্ম্মশালাট । অৰ্দ্ধেকটাতে অতিথিদের থাকার জন্য ছোট ছোট ঘর। আর অৰ্দ্ধেকটায় ইদার, দেবমন্দির ও ফুলের বাগান। নানা জাতীয় ফুল, গোলাপ, জুই, নলিনীর মূদিনীর দোকান চামেলি, বেল, অনেকগুলি ক’রে গাছ। রাত্রিবেল: ফুলগুলি ফুটলে সারা বাড়িট গন্ধে আমোদিত হ:ে থাকে । চমৎকার এই ধৰ্ম্মশালাটি । যে-দিন পৌছলুম সেদিন আর বেরুতে পারি নি, স্বান খাওয়া-দাওয়া সেরে একটুখানি বিশ্রাম করতেই বেল পড়ে এল, আর কোথাও যাওয়া হ’ল ন! । পুকুরে আমরা স্নান করেছিলুম সেই পুকুরের জল বেশ পরিষ্কার । জলের নীচেটায় বলি কাদা নেই। বহুদিনের পুকুর, ভাল করে ডুব দেওয়ার মত জলও ছিল না। তার উপর আবার শেওলা গাছে ভরা। এই পুকুরের চারি পাড়েই ছোটবড় সব মৃষ্টি । অধিকাংশই বুদ্ধমূৰ্ত্তি, এবং পশ্চিম পাড়ে থোলা ঘরে ছোট ছোট দোকান। খাবারদাবার ভাল পাওয়া যায় না। বড় অপরিষ্কার । পরের দিন সকালে রাঙামাটির পথ বেয়ে ছোট ছোট গ্রামের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল মাইলথানেক পথ, নালন্দার যুদ্রাফর দেখতে। এই যুদ্রাফর বাড়িট অনেকট জায়গা জুড়ে রয়েছে। চারিদিকে তার ইট ও মাটির ভাঙা প্রাচীর। গত যুগের স্মৃতিটুকু বুকে নিয়ে কোন রকর্ণে দাড়িয়ে তারই জরাজীর্ণ প্রভুদের রক্ষা করবার জন্য কত না চেষ্টা করছে, কিন্তু কিছুতেই যেন পেরে উঠছে লা । (६