পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ল্যাপল্যাণ্ড ও ল্যাপ জাতি শ্ৰীলক্ষ্মীশ্বর সিংহ

ল্যাপর। ভ্ৰাম্যমাণ অবস্থায়ু মুক্ত আকাশের নীচেই নিজেদের আহারনিদ্রার কাজ সারিয়া লয়। শিশুসপ্তানদের জন্য ছোট নৌকার মত এক প্রকার জিনিষ আছে ; উছার মধ্যে গরম কাপড়ে শিশুদিগকে ভাল কবিয়া জড়াইয় ‘স্লেজ’ গাড়ীর ন্যায় নৌকায় বড় পুরুষহরিণদের সাহাধ্যে চালাইয়ু লইয়া যায়। যখন কোনো স্থানে কিছু বেশীদিন থাকার দরকার হয় এবং বৎসরের ঘে-সময়ে হরিণ পালকে মুক্তভাবে ছাড়িয়| দিয়ু নিশ্চিন্ত হইয়া থাকিতে পারে, শুধু তখনই তাহার। নিজেদের র্তাবু তৈয়ারি করে । এই তাবুকে 'কোটর’ বলা হয়। সাধারণত: গাছের ডাল দিয় তাহার এই তাবুর কাঠাম তৈয়ারি করে এবং তাহার উপর বস্ত দিয়া খিরিয়া দেয়। শীতকালে ঐ সকল 'কোটবৃ’ একেবারে বরফের নীচে ঢাকা পড়িয়া যায় ; তখন তাবুর ভিতরটা বেশ গরম থাকে। তাহা সত্ত্বেও অবশ্য স্বতন্ত্রভাবেও চব্বিশ ঘণ্টাই তাবু ভিতর আগুন জালাইয়া রাখার দরকার হয়। পূর্বেই বলিয়াছি, ল্যাপরা অতিশয় অতিথিপরায়ণ । বিশ্বাসঘাতকতা না করিলে এদের ঘরে একেবারে নিরাপদভাবে থাকা যায়। নিজেদের সাধ্যানুসারে তাহারা অতিথিদের আদর-আপ্যায়ন করে । নিজের প্রায় প্রতি ঘণ্টায়ই কফি তৈরি করিয়া খায় এবং কফির কেটলী উননের উপর সকল সময়েই চড়ানে। থাকে। আমি যখন সৰ্ব্বপ্রথম ‘আবিস্কো শহরের নিকটবৰ্ত্তী ল্যাপ-র্তাবুতে যাই তখন তাবুর কত্রী আমাকে & وجسسسدراهج ও সঙ্গী বন্ধুকে কফি দিয়া আপ্যায়িত করিয়াছিলেন । এখানে একথা বলিয়া রাখ। ভাল যে, উত্তর দেশের সকল স্থানের লোকেরাই কফি খুব বেশী ব্যবহার করে। হরিণের দুগ্ধ হইতে তৈরি করা পনীর এবং সেই সঙ্গে অল্প দুধমিশ্রিত কফি বেশ সুখাদ্য । অতিথিদিগকে অন্য প্রকার খাবারও তাহার। থাইতে দেয়। শুনিয়াছি ইহাদের প্রায়ু সকল প্রকার খাদ্যই হরিণের মাংস হইতে তৈরি । এই সকল খাদ্য মুখরোচক ও ল্যাপ বিদ্যালয়ের নূতন ধরণের বাড়ী পুষ্টিকর । যাহার ঘরবাড়ি করিয়া আছে তাহাদের চাইতে ভ্ৰাম্যমাণ ল্যাপদের শরীর ও স্বাস্থ্য অনেক বেশী ভাল । হরিণী যে দুধ দেয় তাহ কোনো সময়ই এক পেয়ালার বেশী হয় না। কিন্তু সেই দুধে মাখনের মাত্র খুব বেশী বলিয় তাহা বেশ পুষ্টিকর। এই দুধে যে পনীর তৈরি হয়, তাহা বাজারেও স্বখাদ্য হিসাবে কিনিতে পাওয়া যায়। বৎসরের সকল সময়ই হরিণীর ছু দে, না।