বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন --ঘে যেরূপ কৰ্ম্মই করুক না কেন আমার জন্মকৰ্ম্ম তত্ত্ব অবগত হইলে তাহার তাহাতেই মুক্তি। ৪১১-১৫ “যে-ব্যক্তি ঘে-ভাবে আমার ভূজন করে, আমি সেইভাবে তাহার অভীষ্ট সিদ্ধি করি । হে পার্থ, মন্ত্যগণ যে কোন পথই অবলম্বন করুক না কেন আমার পথেই তাহার। চলে। মহম্যলোকে কৰ্ম্মের ফললাভ শীঘ্র হইবে এই আশায় কৰ্ম্মফলের অভিলাষী ব্যক্তি দেবতাদিগের পূজা করে—ইহারাও আমার পথেই চলে। আমিই গুণ কৰ্ম্ম বিভাগ অত্যায়ী চতুবৰ্ণসম্বলিত সামাজিক ব্যবস্থা করিয়াছি । তাহাদের আমি কৰ্ত্তাও বটে এবং অব্যয় অকৰ্ত্তাও বটে। আমার নিজের কৰ্ম্মফলের স্পৃহাও নাই ও আমি কৰ্ম্মে লিপও হই ন—এই যে জানে সে যে কোন কাজই করুক ন| তাহার কৰ্ম্মবন্ধন হয় ন! । ইহ অবগত হইয়া পূর্বের মূমুক্ষগণ কৰ্ম্ম করিয়াছিলেন, অতএব তুমিও সেইরূপ জানিয়া কৰ্ম্ম কর।” কঠোপনিষদে পঞ্চমী বল্লী ১১ শ্লোকে আছে— কেন শুৰ্যো যথা সৰ্ব্বলোকস্ত চক্ষুর্নলিপ্যতে চক্ষুষেবাহদোষৈঃ একস্তথা সৰ্ব্বভূতান্তরাত্মান লিপাতে লোকছুঃখেন বাহঃ - সৰ্ব্বলোক চক্ষু সুর্য হইয়াও স্থা চক্ষ গ্রাহ্য বাহদোষে নাহি লিপ্ত হন এক সেই সৰ্ব্বভূত অন্তরাত্মা তথা বাহ থাকি লোক দুঃথে নিরলিপ্ত রন । সকল প্রাণার অন্তরাত্মা যে একই এবং তিনি যে বাস্তবিক নিলিপ্ত এই শ্লোকেও তাহা বলা হইয়াছে । এই কয়টি শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণ জন্মকৰ্ম্মের দিব্য তত্ত্ব বলিলেন । ইহা হইতেও দেখা যাইবে যে কোন বিশেষ জীবে অবতারকল্পনা নিরর্থক । শ্লোকে দ্রষ্টব্য এই শকুষ্ণ চতুবর্ণের জন্মগত ভেদ না মানিয়া গুণ ও কৰ্ম্মগত ভেদ 8|> ご বাতরাগভয়ক্ৰোধ মন্ময় মামুপাশ্রিতাঃ । বছৰো জ্ঞানতপসা পূত মদ্ভাবমাগতাঃ ॥ ১০ মে যথা মাং প্ৰপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্। মম বক্স গনুবর্তন্তে মনুস্থাঃ পার্থ সৰ্ব্বশ: | ১১ কাঙ্কস্ত কৰ্ম্মণাং সিদ্ধিং যজন্তু ইহ দেবতা । ক্ষিপ্ৰং হি মানুষে লোকে সিদ্ধিৰ্ভবতি কৰ্ম্মজা ॥ ১২ চাতুৰ্ব্বৰ্ণাং ময়া স্বয়ং গুণকৰ্ম্মবিভাগশ: | তস্ত কৰ্ত্তারমপি মাং বিদ্ধ্যকৰ্ত্তারমব্যয়ম | ১৩ গীত। ꬃህሥዕ? প্রতিপাদিত করিলেন। তৃতীয় অধ্যায়ে ইহার সবিস্তার আলোচনা করা হইয়াছে। তাহা দ্রষ্টব্য । ৪১৬-১৮ পূর্বের শ্লোকে অৰ্জ্জুনকে শ্রীকৃষ্ণ কৰ্ম্ম করিতে উৎসাহিত করিলেন, এখন বলিতেছেন কিরূপ কৰ্ম্ম ভাল। পাপের প্রভাব ও কিরূপে তাহা নিবারিত হয় এই আলোচনায় এই অধ্যায়ের আরম্ভ । সামাজিক আদর্শ হিসাবে পাপ বা পুণ্য কৰ্ম্ম নিরূপিত হয়, কিন্তু এই আদর্শই পরিবর্তনশীল হওয়ায় কি কৰ্ম্ম, কি অকৰ্ম্ম, কি বিকৰ্ম্ম, এ সম্বন্ধে বিলক্ষণ মতভেদ দৃষ্ট হয় ; এই জন্যই উপদেশ আছে "ধৰ্ম্মস্য তত্ত্বম নিহিতং গুহায়াম মহাজনো যেন গত: স পন্থা ।" শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ এই যে, যাহা কিছু কর অসঙ্গচিত্তে করিলেই বন্ধন হইল না ; তুমি এই আদর্শ মতেই চল ব। ঐ আদর্শ মতে চল, বাস্তবিক তা হাতে বিশেয কিছু যায় আসে না । “কি কৰ্ম্ম আর কি অকৰ্ম্ম এ বিষয়ে বড় বড় বিদ্বানেরও ভ্রম হয়। তোমাকে আমি এমন কৰ্ম্মের কথা বলিব যাহা জানিলে তুমি সমস্ত অশুভ বা পাপ হইতে মুক্ত হইবে। কৰ্ম্মই বা কি, বিকৰ্ম্ম বা দুষ্কৰ্ম্মই বা কি, আর অকৰ্ম্মই বা কি, এই সমস্তই জানা উচিত ; কৰ্ম্মেব গতি গহন বা দুজ্ঞেয় । যিনি কৰ্ম্মেতে অকৰ্ম্ম ও অকৰ্ম্মে কৰ্ম্ম দেখেন তিনিই মনুষ্যগণের মধ্যে বিদ্বান এবং সমস্ত কৰ্ম্ম করিলেও তিনি যোগযুক্তই থাকেন।” এই শ্লোকগুলির অর্থ সম্বন্ধে অনেক মতভেদ আছে। শ্লোকগুলির সহিত পূৰ্ব্ব ও পরের শ্লোকের সঙ্গতি লক্ষ্য করিলে উপরের প্রদত্ত অর্থই যুক্তিযুক্ত বোধ হইবে। আত্মা বাস্তবিক পক্ষে নিলিপ্ত থাকেন বলিয়া সমস্ত কৰ্ম্মই আত্মার পক্ষে অকৰ্ম্ম । আবার বিন কৰ্ম্মে যখন শরীর ন মাং কৰ্ম্মাণি লিম্পত্তি ন মে কৰ্ম্মফলে পুঙ্গ । ইতি মা যোহভিজানাতি কৰ্ম্মভিন স বধ্যতে ॥ ১৪ এবং জ্ঞাত্ব কুতং কৰ্ম্ম পূৰ্ব্বৈরপি মুমুক্ষুভি: | কুর কৰ্ম্মৈব তস্মাৎ ত্বং পূৰ্ব্বৈ: পূৰ্ব্বতরং কৃতম | ১৫ কিং কৰ্ম্ম কিমকৰ্ম্মেতি কবয়োহপাত্র মোহিতা: | তত্তে কৰ্ম্মপ্রবক্ষ্যামি যজ জ্ঞাত্বা মোক্ষ্যদেহশুভাৎ ॥ ১৬ কৰ্ম্মণেtহাপি বোদ্ধব্যং বৌদ্ধবাঞ্চ বিকৰ্ম্মণ: | অকৰ্ম্মণশ্চ বোদ্ধব্যং গহন কৰ্ম্মণে গতিঃ । ১৭ কৰ্ম্মণাকৰ্ম্ম বঃ পষ্ঠ্যেদকৰ্ম্মণি চ কৰ্ম্ম য: | স বুদ্ধিমান মলুক্ষুে স যুক্তঃ কৃৎস্নকৰ্ম্মকৃৎ ॥ ১৮