বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুষ্টর। নৃপতি শাপুর নিৰ্ম্মিতকারুন নদীর বাধ, বন্দ-ই-কইসর বৈকরেত (কাবুল ) অঞ্চলে ক্রমে ইহার পৌছান। এই সময়ের পরে আর্য্যজাতি দুই ভাগে বিভক্ত হয়। একদল পূৰ্ব্বাঞ্চলে আরাবৈতী, হয়েতুমস্ত এবং হগু হিন্দু (সপ্তসিন্ধু, ভারতবর্ষ ) দেশে ছিল, অন্যটি পশ্চিমে উৰ্ব্ব, বেহ রকন রাগ, বরেণ ইত্যাদি দেশে ছিল । পুরাণে প্রবাদে যাই বলুক এটা নিশ্চিত যে খৃঃ পূঃ বিশ থেকে চতুর্দশ শতকের মধ্যে কতকগুলি জাতি অজ্ঞাতদেশ থেকে ইতিহাসজ্ঞাত দেশে—যথা বাবিল সাম্রাজ্য, হিটাইট বা খাটদেশ, ভারতের পঞ্চনদ ইত্যাদি— প্রবেশ করে, যাদের দেবদেবতা ( এবং ভাষাও বোধ হয় ) একই প্রকারের ছিল এবং তারাই পরে আর্য্য জাতি বা আর্য্যাভাষাভাষী জাতিসমষ্টি রূপে পরিচিত হয়েছে। খৃঃ পূঃ বিংশ শতকে খামুরাব্বির বংশের রাজত্বকালে কাশ্বাইট নামের ঐরূপ একটি জাতি বাবিলন সাম্রাজ্য আক্রমণ করে এবং ১৭৬০ খৃঃ পূৰ্ব্বাবে গওtশ বা গদাশ নামে দলপতির অধীনে এরা বাবিলন জয় করে । এদের প্রধান দেবতা ছিলেন সূৰ্য্যশ ( বা স্বর্য্য )। খৃঃ পূঃ পঞ্চদশ শতকে অসুর দেশের সঙ্গে এই কাতাইটদের সন্ধি স্থাপনার কথাও আমরা সে-দেশের ইতিহাসে পাই। প্রাচীন হিটাইটদের রাজধানী প্টেরিয়াতে ( আধুনিক বোঘাজ কোই ) পাওয়া কীলকলিপি অনুশাসনসকলের মধ্যে হিটাইট ও মিত্তানি জাতির মধ্যে কয়েকটি সন্ধিস্থাপনের কথা পাওয়া যায় । এই মিত্তানি জাতি আৰ্য্যবংশের বলে মনে হয়, কেন-না একটি সন্ধিপত্রে এরা ইন্দ্র, বরুণ, নাসত্যযুগল (অশ্বিনীকুমারদ্বয় ) এই সব বৈদিক দেবতার নামে শপথ গ্রহণ করেছে। শেষোক্ত ঘটনা থেকে অকুমান করা চলে যে ঐ সময় পৰ্য্যস্ত (খৃ: পূ: ১৩৫• ) ইরাণ ও ভারতের আর্য্যদের ধৰ্ম্ম একই ছিল । পরে ঋষি জরৎউষ্ট্র (জোরোয়াষ্টর ) তুরানীয় ম্যাগিদের ধৰ্ম্মপদ্ধতির সঙ্গে সমন্বয় করে ইরাণের জরথুষ্ট (পারসী ) ধর্শের স্থাপনা করেন। . আরও পরের ইরাণের আধ্যরাজকুলের ও ।