বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন ভারতীয় কলা সম্বন্ধে ‘অথরিটি হইয়াছেন। অর্থাং কিন, ভারতীয় ললিতকলা সম্বন্ধে র্যাহদৈর এখনই যথেষ্ট জ্ঞান আছে, তাহাদিগকে নিযুক্ত না করিয়া এমন কাহাকেও নিযুক্ত করা উচিত ভবিষ্যতে যাহার সেরূপ জ্ঞান হইলেও হইতে পারে । এই সম্ভাবনার আশায় কি বিশ্ববিদ্যালয়কে হাজার হাজার টাকা খরচ করিতে হইবে ? অন্যান্য বিষয়ের অধ্যাপক নিয়োগ এইরূপ সম্ভাবনার উপর নির্ভর করিয়া করিলে ছাত্রদের চমৎকার শিক্ষা হইবে ! রমাপ্রসাদ চন্দ মহাশয়ের নাম না করিয়া তাহার বিরুদ্ধে এই যুক্তি মি: প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়োগ করেন, যে, তিনি বয়সের উৰ্দ্ধসীমা ( “age limit" ) পৌছিয়াছেন । লিখিত সীমাট যাট বৎসর। কিন্তু এখনও তাহার যাট পূর্ণ হইতে দু-বংসরের উপর বাকী। তাহাকে অন্ততঃ দু-বংসরের জন্য নিযুক্ত করা চলিত—যেমন রবীন্দ্রনাথকে করা হইয়াছে। ঘাটের পরও বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটি বিশেষ নিয়ম অনুসারে চন মহাশয়কে ৬৫ পর্য্যন্ত অধ্যাপক রাখা চলিত। যাটের উপর বয়সে আচার্ষ্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ত একাধিকবার একটি অধ্যাপক-পদে নিযুক্ত হইয়াছেন। তাহ প্রথম নিয়োগ নহে, পুননিয়োগ—এরূপ জবাব কেবল কথাকাটাকাটি মাত্র। প্রকৃত বিচাৰ্য্য বিষয় এই, যে, র্যাহাকে নিযুক্ত বা পুনর্নিযুক্ত করিতে হইবে, কাজ করিবার শক্তি র্তাহার আছে কি না । ৭২ বৎসর ষয়সে প্রথম নিয়োগের পর আচাৰ্য্য রবীন্দ্রনাথের, ৬০।৭০ বৎসর বয়সে পুনঃ পুনঃ নিয়োগের পর আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্রের কাজ করিবার শক্তি যেমন আছে, ৫৭ বৎসর ৯ মাস বয়সে ঐযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দের কাজ করিবার শক্তি তাহ অপেক্ষা কম নাই। এবং তিনি নিযুক্ত হইলে বস্তুতঃ তাহা পুননিয়োগই হইত। কারণ, তিনি প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগে অন্যতম সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট হইবার আগে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ইতিহাস ও সংস্কৃতি ("Ancient Indian History and Culture") fosso ("stol অধ্যাপক” যে বিভাগের শিক্ষক ) বেতনভোগী শিক্ষক ছিলেন, এবং উক্ত সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট পদে নিযুক্ত হইবার পর গত বৎসর পধ্যস্ত বাহিরের পরীক্ষক কিংবা ঐ বিবিধ প্রসঙ্গ—বাগীশ্বরী অধ্যাপকের পদে অপনিয়োগ

  • -N○

বিভাগের অবৈতনিক শিক্ষকের কাজ করিয়া আসিয়াছেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব-বিভাগ সংগঠন কার্য্যে তিনি স্তর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের সহকারীও ছিলেন। অন্য পলিটিক্সের মত, বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্সেও কৃতজ্ঞতা বলিয়া কোন জিনিষ নাই জানি । তথাপি র্যাহার কেবল রমাপ্রসাদ বাবুর বেলাই বয়সের কথাট তুলেন, সব বিষয়ে সঙ্গতি রাখিয়া কথা বলার প্রয়োজনীয়তা তাহাদিগকে স্মরণ করাইয়া দেওয়া আবশ্যক মনে করি । র্যাহারা হুগলী কলেজে ও প্রেসিডেন্সি কলেজে, যোগ্যতর ব্যক্তিদিগকে উপেক্ষা করিয়া অযোগ্যতর ব্যক্তিদের নিয়োগে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় প্রশ্নবাণ বর্ষণ করিয়াছিলেন, র্তাহাদের অন্যতম মিঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাগীশ্বরী অধ্যাপক-পদে যোগ্যতমকে ও ধোগ্য ভরদিগকে উপেক্ষা করিয়া অযোগ্যতরের নিয়োগে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক উদ্যোগী হইয়াছেন । এই রহস্যের উদ্ভেদ জনশ্রুতি এক প্রকার করিয়াছে । তাহ! ঠিক কিনা জানি না । এই সম্পর্কে আচাৰ্য্য রবীন্দ্রনাথ আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্র প্রভৃতির উল্লেখ হইতে কেই যেন মনে না-করেন, যে, আমরা তাহদের সহিত রমাপ্রসাদ বাবুর তুলনা করিতেছি। আমাদের বক্তব্য কেবল এই, যে, সত্তরের অধিক বয়সে উচ্চাঙ্গের কাজ করিবার যে শক্তি র্তাহীদের আছে, সাতাশ্নর অধিক বয়সে বাগীশ্বরী অধ্যাপকের কাজ করিবার তদ্রুপ শক্তি রমাপ্রসাদ বাবুর আছে। মিঃ স্বহ রাবন্দীকে নিয়োগের সুপারিশ নিৰ্ব্বিবাদে বিশেষজ্ঞদের এবং নির্বাচক কমিটী প্রভৃতির বাস্তবিক সৰ্ব্ববাদিসম্মত হইয়াছিল কিনা, তাহার খবর সেনেট হাউসের বাহিরেও পৌছিয়াছে। কিন্তু তাহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ছাপা হইবে না, স্বতরাং আমরাও প্রকাশ করিব না। আমাদের মতে পদটিতে যখন অপনিয়োগ হইয়াছে, তখন আমাদের মতে উহার জন্য ব্যয়ও অপব্যয় । সুতরাং এ বিষয়ে অধিক বাক্যব্যয় করিতে চাই না। কেবল বলা আবশ্যক, গণিতজ্ঞ অধ্যাপক ডক্টর গণেশপ্রসাদ এরূপ ব্যয়হেতু পোষ্ট গ্রাজুয়েট বিভাগের অনেক শিক্ষকের প্রতি আর্থিক দ্যাষ্য ব্যবহারে বাধা