পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WSB যায়। রোন মেশিয়ার তার চেয়ে কয়েক হাজার ফিট নীচে, আবার পথটা ভারী স্বন্দর, আর একটু কাছে ব’লে ভাড়াও অপেক্ষাকৃত কম। আমার স্বামীর অস্থস্থতার জগুই আমরা বিলাতে গিয়েছিলাম ; তার উপর ঞ্জিমসেল হ্রদ ডাক্তারদের কড়া হুকুম ছিল যে, কোনো রকম ক্লাস্তিকর কাজ যেন তিনি কিছুতেই না করেন। প্রথমটা আমি ঠিক করেছিলাম যে, কোনো মেশিয়ারই দেখে কাজ নেই, কিন্তু অত কাছে গিয়েও মেশিয়ার না দেখতে পাবার আক্ষেপে দেখলাম তার পেটের ব্যথা আবার বেড়ে যাবার উপক্রম হ’ল। কাজেই শেষটা, যেটা অপেক্ষাকৃত কাছাকাছি সেই রোন গ্নেশিয়ারে যাওয়াই ঠিক করলাম। সকাল সাড়ে সাতটায় ট্রেন – তার আগে উঠে ল্যাণ্ডউইচ কেক ইত্যাদি একটু খাবার-দাবার ঠিক করে নিয়ে তৈরি হয়ে ষ্টেশনে এলাম। লুসাণ থেকে গ্নেশিয়ার অবধি ট্রেনও যায়, আর মোটরের রাস্তাও আছে । ট্রেনে গেলে ভাড়া অনেক কম লাগে, কিন্তু भूक्षिण ७ऐ, *८ष ५७ फैiटनण’ cय अककांtब्र चककां८ब्र बाeारे लांब्र श्, चशन cद एचब ब्राणांब पृथ् उ কেবল মাৰে মাঝে ট্রেন যখন টানেল থেকে বেরোয় 3: 21-stol & S99ళీb তখন শুধু ক্ষণিকের জন্য চোখে পড়ে, জাবার মুহূর্ত পরেই অন্ধকারে সব ঢেকে যায়। তারপর শেষ যেখানে ট্রেন থামে, সে জায়গাটি হ’ল ঠিক সেই বরফের পাহাড়ের পাদমূলে। চোখ তুলেই সামনে দেখা যায় জল জল করছে বরফের পাহাড়, কিন্তু উপরে ওঠা যায় না । বরফের পাহাড়ের উপর দিয়ে চলে বেড়াব এই আমাদের ইচ্ছা ছিল, তাই আমরা প্রথম খানিক পথ ট্রেনে এসে বাকি পথ মোটরে আসব ঠিক করেছিলাম। সাড়ে সাতটার সময় ট্রেনে ছাড়ল—ঘুরে ঘুরে ট্রেন ক্রমেই উপরে উঠতে লাগল। যে-রেল লাইন দিয়ে এখনই উঠছিলাম, একটু পরেই ঘুরে ঘুরে তার কয়েক পাক উপরে উঠে দেখি যে, ষে-জিনিষগুলিকে তখন মস্ত বড় ব’লে মনে হয়েছিল সেগুলি নিতান্ত ছোট হয়ে গেছে এরই মধ্যে। মনে আছে, একটি হ্রদ বড় স্বন্দর দেখা গিয়েছিল। প্রথমে তার পাশ দিয়েই আমরা চলে গেলাম, রোদ পড়ে জলটি ঝকৃ ঝকৃ করছে। তারপর একটু পরে একটা উচু পাহাড়ের অর্থপথ যখন উঠেছি, তখন নীচে সেই হ্রদটিকে গোলাকার একটি ছোট পুষ্করিণীর মত দেখাতে লাগল। তারপর সেই উচু পাহাড়টার মাথার উপর যখন উঠে গেলাম, তখন নীচে তাকিয়ে দেখি চারদিকে সবুজ পাহাড়ে ঘেরা ঠিক একটি রূপার থালা স্বৰ্য্যকিরণে জল জল করছে। আমার বারো বছরের মেয়েটি আমার সঙ্গে ছিল, সে ত যা দেখে তাইতেই বলে, “মা ছবি তুলে নিই।” কিন্তু চলন্ড ট্রেন, অনেক ছবি নষ্ট হয়ে গেল। যে কয়খানি ছবি দিলাম, সে আমার মেয়েরই তোলা । উপরে উঠছি আর ঠাণ্ডা বাড়ছে। মাঝে মাৰে পাহাড়ের স্তরের আড়াল থেকে এক-একবার দেখা যাচ্ছে দ্বীরার মুকুটের মত সাদা বরফের পাহাড়ের চূড়া। কিছু পথ অতিক্রম করবার পর থেকেই পাহাড়ের গায়ে খানিক খানিক জমা বরফ দেখা গিয়েছিল, ক্রমেই সেগুলো বেড়ে উঠছে। বেলা দশটায় আমরা Geohenen ষ্টেশনে নেমে পড়লাম। অনেক যাত্রী দেখলাম আগের ট্রেনে এলে অপেক্ষা করছে, অনেক যাত্রী আমাদের ট্রেন থেকে নামল। ষ্টেশনে তিন-চারখানা