পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अके८अत्र अचकथा অপেক্ষা কম হইলেই বিপদ-ৰাস্পপুঞ্জ আকাশে ক্রমে ক্রমে মিলাইভে থাকে ; কিন্তু অধিক হইলে ক্ষতি নাই— বরঞ্চ ইহাতে বাস্পপুঞ্জের আয়তন ক্রমে বাড়িতে পারে, কারণ মাধ্যাকর্ষণ প্রবল বলিয়া বাহিরের বাষ্পকণাগুলি এই বৃহৎ বাষ্পপুঞ্জের দিকে ক্রমে ক্রমে আকৃষ্ট হইতে থাকিবে । বাপকণার বেগ ও মাধ্যাকর্ষণের সামঞ্জস্তনীহারিকাস্থষ্টির ইহাই মূল কথা । সেইজন্যই আকাশে বঙ্গষোজনব্যাপী বাপরাশির স্থায়িভাবে ভাসিয়া থাকা সম্ভব। জীনস্থ মনে করেন, স্বষ্টির আদিতে সমগ্র বিশ্বের সমস্ত জড়পদার্থ সমানভাবে আকাশে বিস্তৃত ছিল । কোনও সামান্ত কারণে হয়ত একদিন এই অখণ্ড বাষ্পমণ্ডলে অসমতার স্তষ্টি হয় এবং স্থানে স্থানে বাস্প ছাড়া-ছাড়া হইয়া যায়। গাঢ়ত্ব অতি সামান্ত হইলেও এই ভিন্ন ভিন্ন অংশগুলি অত্যন্ত বিস্তুত ও ব্যাপক ছিল, সেজন্ত ইহাদের মাধ্যাকর্ষণও অত্যন্ত প্রবল ছিল। এই প্রবল মাধ্যাকর্ষণই বাপকণাগুলিকে নিরুদ্ধ করিয়া রাগিয়াছিল, প্রক্ষিপ্ত হইতে দেয় নাই । ইহারই ফলে নীহারিকার শুষ্টি । এই মত অনুসারে নীহারিকাগুলির নূনতম আয়তন ও ভারনিৰ্দ্ধারণ করা কঠিন নহে। মোটামুট হিসাব করিয়া দেখা গিয়াছে এই নূ্যনতম আয়তন আকাশের নীহারিকার প্রায় সমান-সমানই হুইবে । গাণিতিক সিদ্ধান্তের সহিত বাস্তবের এই সামঞ্জস্য দেখিয়া মনে হয় জীনসের মত সত্য। নীহারিকাগুলির বিপুলতার পরিমাণ এখানে উল্লেখ করা যাইতে পারে। ষাহাকে মহা-নীহারিকা ( Great Nebula) of য়্যানড্রোমিডী-মণ্ডলের সেই বিখ্যাত নীহারিকার ওজন স্বর্ধ্য অপেক্ষ ৩৫০ কোটি গুণ । কস্তারাশির ( virgo ) নীহারিকা স্বৰ্য্য অপেক্ষা ওজনে প্রায় দুই শত কোটিগুণ বড়। আকাশে ভিন্ন ভিয় নীহারিকার ভিন্ন ভিন্ন আকার । ইহার কারণ অতি স্বম্পষ্টভাবে নির্দেশ করা যাইতে পারে। স্বাক্টর জারভে এক অখণ্ড বাষ্পমণ্ডল হইতে যখন ঘনীভূত নীহারিকার স্বষ্টি হইল, ইহার স্থানে স্থানে তখন অল্পাধিক পরিমাণে শ্ৰোত থাকা স্বাভাবিক বলিয়া মনে হয়। احساس جb $8.5 নানাদিক হইতে কোন রূপ সঙ্গতি না রাখিয়াক এই শ্রোত নীহারিকারাশিতে প্রবাহিত হইয়াছিল । এই শ্রোতের ফলেই বাপরাশিতে আবর্তনের সৃষ্টি হইল। এই আবৰ্ত্তন প্রথমে অবশ্ন অতি সামাগুষ্ট ছিল ; পরে নীহারিকার বাষ্পরাশি শীতল হইয়া যতই সঙ্কচিত হইতে লাগিল, গতি-বিজ্ঞানের নিয়ম অল্পসারে ইহাদের আবৰ্ত্তন সেই পরিমাণে বাড়িতে লাগিল । আকাশের ভিন্ন ভিন্ন নীহারিক সেজন্ত ভিন্ন ভিন্ন বেগে পাক থাইতেছে । বর্ণচ্চত্র-যন্ত্রের ( Spectroscope ) সাহায্যে জানা যায় যে, য়্যানড্রোমিডী-মণ্ডলের নীহারিকাটির একবার অাবীৰ্ত্তত হইতে প্রার দুই কোটি বৎসর লাগিবীর কথা । নীহারিকার বিপুল আয়তনই যে এই দীর্ঘ আবৰ্ত্তনকালের কারণ, তাছাতে সনোঙ্গ নাই । কষ্টির ‘ আদি হইতে সকল নীহারিকারই আবৰ্ত্তন দ্রুত হইতে দ্রুততর হইতেছিল এবং এখনও হইতেছে । এই ক্রমবদ্ধিষ্ণু আবৰ্ত্তনের ফলেই আদিকাল হইতে যুগে যুগে নীহারিকাগুলির বিভিন্ন আকার সম্ভব হইয়াছে। এই বিবর্তনের ইতিহাস আকাশে আজ অতি স্নস্পষ্টভাবে অঙ্কিত । নীহারিকায় যদি একেবারেই আবৰ্ত্তন না থাকে, জাহা হইলে ইহার আকার বৃত্তাকার হইবে সন্দেহ নাই । আবৰ্ত্তন যদি সামান্ত হয় তবে পৃথিবী অথবা বৃহস্পতির স্থায় ইহার উত্তর-দক্ষিণ কিছু চাপ ও কাট-প্রদেশ কিছু স্ফীত হইবার সম্ভাবন । আবৰ্ত্তন আরও দ্রুত হইলে নীহারিকার আকার আরও প্রলম্বিত হইয়া উহার দুই প্রাপ্ত স্বন্ধ শাকার ধারণ করিবে । এইরূপ সকল আকারেরই নীহারিক আকাশের নানা স্থানে দেপ। গিয়াছে। আবৰ্ত্তন যদি ইহা অপেক্ষাও দ্রুত হয়, নীহারিকার মধ্য প্রদেশে কটবন্ধের স্কার একটি সুস্পষ্ট প্রাস্তরেখ। তখন দুষ্ট হইবে ও নীহারিকার দুই স্বল্প সীমান্ত হইতে বাষ্পরাশি উৎক্ষিপ্ত হইয়৷ এই প্রাস্তরেখার বরাবর ভাসিতে থাকিবে । এই আশ্চৰ্য্য আকারের নীহারিকার দুষ্টান্ত কস্তারাশির নীহারিকাটি। বাপকণার বেগ ও মাধ্যাকর্ষণ, এই দুইয়ের সামগুলোর ফলে অপগু বাষ্পমণ্ডল হইতে ধেরূপ পুজাকারে নীহারিকার স্থষ্টি সম্ভব হইয়াছিল, নীহারিকা হইতে উৎক্ষিপ্ত ৰাষ্পরাশিও সেইরূপ একই