lebe প্ত প্রবাসী সুঠ S99ళీD রাজশাসন তার হাতে নেই, অস্ত্র তার নিয়েচে কেড়ে, বেশে বাসে ব্যবহারে সম্মানের চিহ্ন হতে সে বর্জিত, পুথির বিষ্ঠায় তার অনধিকার । ত্রিলোকেশ্বর মন্দিরের স্বর্ণচুড়া পশ্চিম দিগন্তে দেখা যায়, তার মধ্যে চিনতে পারে নিজেদেরই মনের আকল্প, বহুদূরের থেকে প্রণাম করে । কাৰ্ত্তিক পূর্ণিমায় পুজার উৎসব। মঞ্চের উপর বাজ চে বাশি মৃদঙ্গ করতাল, মাঠ জুড়ে কানাতের পর কানাত, মাঝে মাঝে উড়চে ধ্বজ । পথের ছুইধারে ব্যাপারীদের পসরা,— তামার পাত্র, রূপোর অলঙ্কার, দেবমূৰ্ত্তির পট, রেশমের কাপড়, ছেলেদের খেলার জন্তে কাঠের ডমরু, মাটির পুতুল, পাতার বঁশি ; অর্ঘ্যের উপকরণ, ফলমাল ধূপ বাতি, ঘড়া ঘড়া তীর্থবারি। বাজিকর তারস্বরে প্রলাপ বাক্যে দেখাচ্চে বাজি, কথক পড়চে রামায়ণ কথা । উজ্জলবেশে সশস্ত্র প্রহরী ঘুরে বেড়ায় ঘোড়ায় চড়ে ; রাজ-অমাত্য হাতির উপর হাওদায় বসে, সম্মুখে বেজে চলেচে শি. কিংখাবে ঢাকা পালকীতে ধনী ঘরের গৃহিণী, আগে পিছে কিঙ্করের দল । সন্ন্যাসীর ভিড় লেগেচে পঞ্চবটের তলায়, নগ্ন, জটাধারী, ছাইমাখা, মেয়ের পায়ের কাছে ভোগ রেখে যায় ফল ছুখ মিষ্টান্ন, ঘি আতপ তণ্ডুল থেকে থেকে আকাশে উঠচে চীৎকারধ্বনি, জয় ত্রিলোকেশ্বরের জয় । কাল আসবে শুভলগ্নে রাজার প্রথম পূজা, স্বয়ং আসবেন মহারাজ রাজহস্তীতে চড়ে । র্তার আগমন-পথের ছুইখারে সারি সারি কলার গাছে ফুলের মালা, মঙ্গলঘটে আম্রপল্লব।
