বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रॉक्ट्रैश्च बृङ] বাংলার নিজস্ব মেয়েলী নৃত্যের এই স্বন্দর প্রথা দেখে আমাদের শিক্ষিত সমাজের অনেকেরই যে চোখ ফুটে গিয়েছে তা তারা স্বীকার করেছেন। সহজ সরল ভাবের, গুচিতার, ললিতগতিভঙ্গীর, অঙ্গ সঞ্চালনের লাবণ্যের এবং আধ্যাত্মিক ভাবগর্ততার একাধারে এমন স্বন্দর মনোমুগ্ধকর ও আনন্দদায়ক সমাবেশ আধুনিক নৃত্য প্রণালীগুলিতে খুব কমই দেখা যায়। আর তার সঙ্গে সঙ্গে শারীর বিজ্ঞানমূলক অজসঞ্চালনাবলীর কি চূড়ান্ত সংযোজনা । এই নৃত্যের বিবিধ ভঙ্গী দেখলে মনে হয় এগুলিতে বিখ্যাত ‘স্থইডিস ড্রিলের যাবতীয় বায়াম-প্রণালী সন্নিবিষ্ট রয়েছে। তা ছাড়া ইহার সঙ্গে আর একটা জিনিষ আছে যা স্বইডিস ড্রিলে নেই ; সেটা হচ্চে ঢাকঢোলের বাদ্য ও তালের শক্তি-উদ্দীপনাময় সঙ্গত। এ সকল উপাদানের সমাবেশে এই নৃত্যপ্রণালী একটি অতি আনন্দময় ও উচ্চাদের রসকল ব’লে পরিগণিত হবার ধোগ্য। বালিকারা আপন আপন মা, মালী, ঠাকুরমা ও দিদিমাদের কাছ থেকেই এই সকল নৃত্য শিক্ষণ ক’রে থাকে। মৈমনসিংহ, ত্রিপুর, শ্ৰীহট্ট ইত্যাদি জেলার পত্নীগ্রামে এখনও সূৰ্য্যব্রত ইত্যাদি উপলক্ষে ছোটবড় মেয়ের প্রকাগুভাবে অতি জরুচিপূর্ণ প্রণালীর ब्रडा क'रब्र षांकन । कब्रिजभूद्ब्रब्र नणिबा याप्यब्र बांचन কায়স্থ ইত্যাদি পরিবারের মেয়েদের মধ্যে এখনও ব্রত ও বিবাহ উপলক্ষে যে সকল নিৰ্ম্মল ও স্বন্দর নৃত্যপ্রণালীর প্রচলন আছে, তা দেখবার স্থযোগ সম্প্রতি আমার হয়েছে। অবিবাহিত মেয়ের স্বমধুর ছড়া জাবৃত্তি করে ব্ৰত নুত্য ক’রে থাকে। উচ্চশ্রেণীর বয়স্কা মেয়েরা এখনও বিবাহ উপলক্ষে নানা প্রকার নৃত্য করে থাকেন। এই সব নৃত্যের মধ্যে আধুনিক খেমটা বাইনাচ ইত্যাদির মত বিলাস-বিভ্রমের লেশমাত্র আভাষও নাই। এই সকল নৃত্যের প্রণালী বাংলার প্রতি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রবর্তিত করা একান্ত প্রয়োজন এবং তা করতে পারলে জাতির অশেষ উপকার সাধিত হবে। বিবাহ-উৎসবের আনুষঙ্গিক নানা অনুষ্ঠান উপলক্ষে নৃত্যের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ববঙ্গের মেয়েরা যে সকল গান গেয়ে থাকেন সেগুলি সহজ সরল কথা, ছন্দ ও স্বরের লালিত্যে चडि यूनाबांनcणारूगर्नेौष्ठ । ব্ৰত অথবা পূজা উপলক্ষে যে সকল লোকনৃত্যু হয়, তার সঙ্গে ঢাক বাজে, আর বিবাহ ইত্যাদি উংসবে যে সকল মেয়েলী নৃত্য হয় তার সঙ্গে ঢোল বাজে। পশ্চিম বাংলায় কোন কোন ব্ৰাহ্মণ কায়স্থ পরিবারের জৰিবাহিতা মেয়েদের মধ্যে ভাজমালে ইজপূজার সময় তাজো-নৃত্য এখনও প্রচলিত অাছে। শুনিতে পাওয়া