পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BBB BBBB BBBBB SBBB S BBBCt SBBBBS BBB BBBS এই চিত্রের পশ্চাৎদৃশ্বের সহিত ভারতীর প্রাচীন চিত্রের পশ্চাৎদৃশ-অঙ্কনপদ্ধতির একটি খুব মিল দেখিতে পাওয়া যায়। নাই ; কারণ, অল্প বেতন । এবং তাহার মাতা ও কথন পুত্রবধূকে পুত্রের সহিত বাসায় পাঠাইবার চেষ্টা করেন নাই। সে কারণ রমেশ মাতার উপর অনেকদিন হইতে মনে মনে অভিমান পোষণ করিয়া আসিতেছে। রমেশের ংসারে এক বৃদ্ধামাতা, এবং এক মাতৃহারা ভাগিনেয় ভিন্ন অন্য কেহই ছিল না। রমেশ এতদিন স্ত্রীকে বাসায় আনিতে পারে নাই । কিন্তু এক্ষণে সে মনে মনে স্থির করিল যে,—ম একবার অনুরোধ করিলেই বিমলাকে সে বাসায় লইয়া আসিবে। ” ছুটি লইয়। রমেশ বাট আসিয়াছে। প্রবাসী পুত্র বাটী আসিয়াছে—মায়ের প্রাণ আনন্দে অধীর হইতেছে । কি করিলে পুত্র মুখী হয়, সেই চেষ্টাতেই বৃদ্ধামাত সৰ্পদ৷ ব্যস্ত। একদিন রমেশ আহারে বসিলে মাত পাশ্বে উপবেশন করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—“বাবা, মাছের ঝোলট কেমন হয়েছে ?” রমেশ মৃদু হাস্য করিয়া উত্তর করিল— প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২ SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড


-

আর কিছু জ্ঞান নাই, বাড়ী এসে যা থাই—বেশ লাগে।” রমেশের কথাগুলি মায়ের প্রাণে মুদু আঘাত করিল। কাতরস্বরে মাত বলিলেন— "মরে যাই বাবা, কি করব বাব, পোড়া পেট তো বোঝে না। তা না হলে আজ পেটের দায়ে তোকে বিদেশে পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে থাকি ” ক্ষণকাল নীরবে থাকিয়া পুনরায় বলিলেন—“ত এক কাজ কর্—আমার মাথা প’স্—বেীমাকে এবার বাসায়ু নিয়ে যা। কাটাবি বাবা "–মাতার শেষোক্ত বাক্য শ্রবণে কতক আনন্দে ও কতক লজ্জায় রমেশের মস্তক নত হইয়৷ পড়িল । কিন্তু পরক্ষণেই ভাবিল ম৷ কি সত্যসতাই সরল প্রাণে বলিতেছেন, না, আমার মন রাখিবার জন্য বলিতেছেন! কই এতদিন তো এমন কথা একবারও বলেন নাই –রমেশ মাতৃস্নেহে সন্দেহ করিল। পরে দুগ্ধের পাত্রটি কোলে টানিয়া লইয়া অভিমানের স্বরে বলিল—“ত কি হয়! তুমি একূল বাড়ীতে কি করে থাকবে "মাতা—“কেন পারব না বাবা! তুই বিদেশে কষ্টে দিন কাটাবি, আর আমি এখানে স্বথে থাকব—তার চেয়ে মরণ ভাল আমার। বাবা, তোরা স্বথে স্বচ্ছন্দে, ধনে পুত্রে লক্ষ্মীশ্বর হয়ে বেঁচে থাক—তাতেই আমার মুখ। আর আমি কিছুই চাই না।"–কথ। কয়েকটি বলিতে বলিতে বৃদ্ধার চক্ষু দুইটি অশ্রুসিক্ত হইবার উপক্রম হইল। রমেশ আহার শেষ করিয়া উঠিতে উঠিতে বলিল--"আচ্ছা তাই হবে ।" মাতা ও উঠিয়া দাড়াইয়া বলিলেন—“হ্যা, তাই ঠিক করে ফেল বাবা—আর অমত করিস না।" রমেশ নীরব সম্মতি প্রদান করিল। দ্বারপাশ্বে দাড়াইয়া মাতাপুত্রের কথোপকথন শ্রবণ করিয়া বিমলার প্রাণ আনন্দে উদ্বেলিত হইয়। উঠিল। কিন্তু "মা, মেসে থেয়ে থেয়ে স্বাদ আস্বাদ আর কত কাল কষ্ট করে o' 1 ভাল ; দেখাবে না –বিমলা চিন্ত৷ করিতে ::/ করিতে রমেশের পরিত্যক্ত আহার } পত্র লইয়া পাকশালে প্রবেশ করিল। ধমলাকে বাসায় লইয়া কিরুপসংসার গুছাইবে, এইরূপ তে করিতে প্রফুল্লচিত্তে পর রমেশ যখন তাসের প্রবেশ করিল, অমনি এক কাঠাসি হাসিয়া বলিল—“হ্য, ইরকম মতলব করছি তো!" বন্ধু-"কাজটা কি ভাল হবে! বুড়ো মা বাড়ীতে থাকবে, আর তুই বেী নিয়ে বাসায় যাবি—” রমেশ সম্বনদ্ধভাৱে উত্তর করিল-"তার আর কি কচ্ছি বল !" ক্ষণকাল নীরব থাকিয়া, শরীর অস্থস্থ বলিয়া রমেশ তৎক্ষণাৎ তথা হইতে বিদায় লইল। পথে চিন্তা করিতে -- চলিল-চারিদিকে বাধা। আমি আমার স্ত্রীকে utor লইয় যাই, তাহাতে অন্যের কি ? আর রয়া জানিল, যে, আমি বিমলাকে বাসায় - হয় মা বলিয়াছেন। বোধ হয় কেন, মাই বলিয়াছেন।--চিন্তা করিতে করিতে রমেশ বাটা আসিয়া পৌছিল। আহারান্তে গম্ভীর ভাবে-শয়নকক্ষে প্রবেশ I করিল। আজ তাহার মায়ের উপর অভিমানের মাত্রাট আরও অধিক বৃদ্ধিপাইল | - নির্দিষ্ট দিনে বিমলাকে লইয়া রমেশ কৰ্ম্মস্থানে চলিয়া কিন্তু সামান্ত একটা স্থা কাল অঞ্চ আঙ্ক o কটা অশাস্তি পোষণ করিয়া ייר w リーエ মাজিদিগের খ্ৰীষ্ট পূজা। লুক্কা সিঞোরেল্পী এই চিত্ৰখানিকে একটি গাধা বলিয় প্রশংসা করা হয়। : নতিতেও চিত্রে স্বপষ্ট হইয়াছে। ইহার রঙের বিচিত্রতার বলিল—“হ্যা দিদিম! মামীম যে চলে গেল, আমরা । সন্ধানও করিল না যে মায়ের প্রাণ - - - - - বিবাহের পর হইতেই বিমলা তাহার নিকট দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া বুদ্ধা মনে মনে বলিলেন “এখন নিৰ্ব্বিঘ্নে তারা বাসায় গিয়া পৌছাইলে বাছি।” । এমন সময়—রমেশের ভাগিনেয়–নির নিকটে আসিয়া - খাব কি ?”-নিরুর মস্তকে হস্ত রাখিয়া - - কেন । ভাত খাব ! নিরু—“কে রাধবে ?" -