পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯৪ - প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২ ``ജ്ഞും -ബ শ্লেব আবার অজিতকে লাইয়া দিল্লী লইবার করিয়া ফেলিবে, আমাকে দাও। আমি উঃ - 蠶 ""o তিনি o" করিলেন, রাগিব।” সেই পুথি তিনি আনিয়া বিকানিয়ারের কেরা ক তে ডাক লইয়া তাহাকে যোধপুরের পাট্র লিথিয় দিলেন। মনে করিলেন, ३श्एउ তত বড় পুথিখানা আর অজিত ও দুর্গাদাস—ইহাদের পরস্পরের মধ্যে অবিশ্বাস অনূপসিং দক্ষিণদেশ হইতে ৩৫ ক্রোর দেবতা লক্ট 蠶 কিন্তু দুর্গাদাসেরও প্রভূভক্তি টলিল না, অজিতেরও আসিয়াছিলেন। বিকানিয়ারের কেল্লায় .."蠶 .........."." হইল না পূজা হয়। তিনি অনেক দেশের পণ্ডিত সংগ্ৰহ করিয়া দিল্লীর মুনসবদারি দিলেন। ক্রমে এক খানি প্রকাও স্মৃতি-নিবন্ধ লেখাইয়াছিলেন। উহার নাম হইল। দুর্গাদাস भाज्या ཤྰ།འི་ ""র অনুপবিলাস’। উহা এখনও কোথাও কোথাও চলে। তিনি .. অণর:ে চলিয়া কাশীর প্রসিদ্ধ পণ্ডিত নাগোজ उप्लेक लझेब्रा ग्निश - ঞ্জেব তথাপি অজিতের কিছু করিতে একখানি পুথি লেখাইয়াছিলেন। অনূপসিংএর তত্বাবধানে পারিলেন না। রাঠোরেরা এখন খুব দল বাধিয়া শিবতাওব-তন্ত্রের টাকাও লেখা হয়। | ফেলিয়াছে জয়পুরে 3- - এইরূপে যাবজ্জীবন আরঞ্জেবের জালায় জালাতন †",.,.,., .. হওয়ার পর একদিন খবরওয়ালা আসিয়া খবর দিয়া *** **नक *बज *७ग्र याश्र। उंशबड़े कथाभड निवाबी আরঞ্জেব মরিয়াছে ! সেইদিন অজিতের বুক ফাটিয়া দিল্লী আসিয়াছিলেন। যাহার তত্ত্বাবধানে শিবাজী দিল্লীতে এক গাথা ি- থাকিতেন, তিনি জয়পুরের একজন জায়গীরদার আচআইয়ো খবর অচিন্তারী রোলের ঠাকুর। আচরোলের বাড়ীতে শিবাজীর ਬਾਂ . তনরী দাহ । কথা এখনও পাওয়া যায়। বুদীর হাড়াচৌহানরাজ আরন্ধে ইম ভাণী ও বের একজন সেনাপতি ছিলেন। বংশ-ভাস্কর নামে হাড়মরগাঁও আওরঙ্গ সাহ ।” চৌহানদের এক প্রকাও ইতিহাস আছে, উহাতেও যাহা আমি কখন চিন্তা করি নাই, এমন খবর আসিয়াছে। আমার তন্থর দাহ মিটিয়া গিয়াছে। খবরওয়ালার বলিয়া গেল, আওরঙ্গ সামরিয়াছে। লইয়া কত কাব্য, কত গীত, কত দোহ গণিয়া শেষ করা যায় না। যোধপুরে যেমন, তেমনি প্রত্যেক রাজপুতরাজ্যের আরঞ্জেবের রাজত্বের অনেক খবর পাওয়া যায়। কারণ, হাড়ার খুব বীর ছিলেন এবং আরথেবের হইয়া অনেক 5"রের লড়াই যুদ্ধ করিয়াছিলেন। শত্রুশল্যচরিত নামে এক মান সংস্কৃত १तः *श्-जोश दशॆ वांछ्, ५१ानि खात्रंa्वत्र + সেনাপতি হাড় রাজ শত্ৰুশল্যের জীবনচরিত। উদয়পুরের রাজাদের সহিত আরঞ্জের ইতিহাসে ও ভাট-চারণের পুথিতে আরঞ্জেবের রাজ্যের ಳ್ದ: o. ... অনেক খবর পাওয়া যাইতে পারে। বিকানিয়ারের রাজ খবরও আছে। মহামহোপাধ্যায় খামল অনূপসিং আরঞ্জেবের একজন সেনাপতি ছিলেন। তিনি বীরবিনোদ নামে উদয়পুরের একটা প্রকাও ইতিহাস লেখ দক্ষিণ দেশে আরঞ্জেবের সহিত যুদ্ধ করিতে গিয়াছিলেন। হয় ও ছাপা হয়, কিন্তু উদপুরের মহারাণ প্রকাশ তাহারই বীরত্বে আদোনী সহর দখল হয়। আদোনীতে । * এই অংশ পঞ্জি তাহ প্রকাশ ইহার পূৰ্ব্বে কখনও মুসলমান যায় নাই, আদোনীর আছে। ੇ 'ಛಿ। SBBS BB BBBB BBB DDD DBB BBBB SBBBBBB BB BBBBuS - - এই দুর্গ দখল করেন, রণে নহে।-যদুনাথ সরকার দিতে গেল। অনূপসিং তাহদের বলিলেন, "কেন নষ্ট সাওরাঞ্জীবের নহে, দারার।—যদুনাথ ਾਂ [ ১৫শ ভাগ, o, ২য় সংখ্যা] -------- - হইতে দেন নাই, একটি কুঠুরীতে বদ্ধ করিয়া রাথিয়াছেন। কিন্তু এখনও কুঠুরীর বাহিরে কোথায়ও প্রফ-আকারে, কপি-আকারে, ফৰ্ম্ম-আকারে বীরবিনোদের টুকরা রাজপুতানাময় ছড়াইয়া আছে। তাহ হইতেও আরপ্লেবের রজেত্বের অনেক খবর পাওয়া যায়। প্রসিদ্ধ ইতিহাসলেখক গৌরীশঙ্কর ওঝা শিরোহির দেবড়া ও সোলপি রাজপুতদিগের ইতিহাস লিখিতেছিলেন, তাহা হইতেও আরঞ্জেবের রাজত্বের অনেক সংবাদ সংগ্ৰহ হইতে পারে। পুতলামের ইতিহাস আরঞ্জেব হইতেই আরম্ভ। রতনসিংহের বচনীক চারণদের মধ্যে খুব প্রসিদ্ধ। উহাতেও আরঞ্জেবের অনেক কীৰ্ত্তির কথা আছে । শিথদিগের উপর আরঞ্জেব কিরূপ আচরণ করিয়াছিলেন, তাহার ইতিহাস শিখদের সাহিত্য হইতে অনেক পাওয়া যায়। শিখের ইতিহাস লিখিতে খুব মজবুত ; ঐ সকল ইতিহাস পঞ্জাবী ভাষায় লেখা। মহারাষ্ট্রদেশের লোকেও অনেক ইতিহাস লিগিয়া গিয়াছেন । মারাঠাদের প্রথম অভু্যদয় আরঞ্জেবের সময়েই হইয়াছিল, সুতরাং সেই সময়ের মারাঠা-ইতিহাস ও আরঞ্জেবের ইতিহাস এক । ইহা ছাড়া রাজপুতানায় যেমন ভাট চারণ আছে, তেমনি মহারাষ্ট্রদেশে গন্ধালী নামে একটি জাতি আছে । তাহারা ছড়া কাটে ও গান করে। মারাঠারা যুদ্ধে গেলে ২১ জন গান্ধালী সঙ্গেই থাকিত। যুদ্ধে জয় হইলে, কৰ্ত্তারা সব একত্র হইয়৷ সেই যুদ্ধের ঘটনা গান করিতে বলিতেন, তাহারাও ক্ষত্তি করিয়া গাইত, উহারাও স্মৃত্তি করিয়া শুনিতেন। মারাঠাইতিহাসের প্রত্যেক ঘটনার এইরূপ পোবাড়া আছে। তাহা হইতেও ইতিহাসের অনেক উৎকৃষ্ট মসলা সরবরাহ হইতে পারে । নাগরী-প্রচারিণী-সভা হিন্দী পুস্তকের যে সকল বিবরণ প্রস্তুত করিতেছেন, তাঙ্গ হইতেও অনেক সময় যথেষ্ট ইতিহাস পাওয়া যায়। বগেলথও ও বুন্দেলখণ্ডের রাজার অনেকেই হিন্দী পুস্তক লিখিয়াছেন এবং রাজকবিদের দিয়া পুস্তক লিখাইয়াছেন। র্তাহীদের ভণিতায়, স্বচনায় ও শেষে অনেক ইতিহাসের কথা পাওয়া যায়। হিন্দী পুস্তক হইতে ইতিহাসের অনেক মালমসলা সংগ্ৰহ হইতে পারে। কবিগণের জীবনচরিত আছে, অনেক সময় তাহা হইতেও > & হিন্দুর মূবে আরঞ্জেবের কথা २*o¢ ইতিহাসের থেষ্ট উপকার হতে পারে। সেনানীর অতি নিরীহ লোক। তাহাদের মঠ হিন্দুস্থানের সর্বত্রই ছিল। আরঞ্জেব তাহাদের উপর বড়ই অত্যাচার – করেন। তাহারা নিরীহ লোক, কিন্তু এতই চটিয়া যায় যে, দুই বৎসর ধরিয়া তাহার সহিত যুদ্ধ করে। পরে হারিয়া গিয়া আবার শাস্তমূৰ্ত্তি ধারণ করে। তাহাদের মঠ খুড়িলে এই সকল যুদ্ধের বৃত্তান্ত পাওয়া যাইতে পারে। ] • গোকুলে বল্লভীসম্প্রদায়ের বারটি মঠ ছিল, বারটি কৃষ্ণমূৰ্ত্তি ছিল। আরঞ্জেব যখন বৃন্দাবনে গোবিন্দজীর মন্দির ভাঙ্গিবার ছকম দেন তখন বল্লভীরা মনে করিল—আমাদের মন্দিরও বোধ হয় ভাঙ্গিয়া দিবে। তাহারা ঠাকুর লইয়া পলাইল,—কেহ করৌলি গেল, কেহ জয়পুর গেল, কেহ কোটা গেল, কেহ বুদী গেল। বল্লভের নিজ বিগ্রহ, বল্লভীদিগের প্রধান বিগ্রহ-উদয়পুরে যাইতে যাইতে পথে আটকাইয়া গেলেন। যেখানে আটক ছিলেন, সে জায়গা উদয়পুর হইতে দশ পোনের মাইল।. ভক্তেরা বিশ্বাস করিলেন, ঠাকুর এই থানেই থাকিবেন । সেখানে এক প্রকাও নাথদুয়ার ( নাথদ্বার ) প্রস্বত হইল। উহার আয় এখন বার লক্ষ টাকা । একজন ইংরেজ লিপিয়াছেন, সমরকন্দ হইতে বঙ্কক পর্যাস্ত এই সমস্ত ভূভাগে যাহা কিছু পাওয়া যায়, সবই নাথজীর সেবায়ু অনিয়া দেওয়া হয়। এই যে বল্লভীদের পলায়ন, ইহা হইতেও আরঞ্জেবের সময়ের অনেক ইতিহাস সংগ্ৰহ হইতে পারে। কাশীর বিশ্বেশ্বরের মন্দির অরেঞ্জেবের একজন মুবাদার ভাঙ্গিয়া দেন, মন্দির ভাঙ্গার জন্য আরঞ্জেব সুবাদারকে খুব ধমক দিয়াছিলেন। র্তাহার সেই ধমকের পত্র t সম্প্রতি বাহির হইয়াছে ও ছাপা হইয়াছে। বিশ্বেশ্বরের মন্দির কয়েকবার ভাঙ্গা ও গড়া হইয়াছে। তাহারও * সাহিত্য-সম্মিলনে পাঠের সময় এই অংশ বর্জন করা হয়।— যদুনাথ সরকার । । এটি ঐতিহাসিক ভ্রম। আওরংজীবের সরকারী ইতিহাসে স্পষ্টই লেখা আছে যে স্তাহার আজ্ঞায় বিশ্বেশ্বর ওকেশব রায়ের মন্দির ভাঙ্গা হয়। "ধমকের পত্র" কাল্পনিক। যে ফৰ্ম্মান চাটগ্রামের রজনীকান্ত সেন J. A. S. B. তে ছাপাইয়াছেন, তাহ জাওরাঞ্জীৰ নিজভ্রাতা শূজাকে পশ্চাদ্ধাবন করিবার সময় কাশীর কোন ব্রাহ্মণকে দেন, এবং তাহাতে লেখা আছে "আমাদের ধর্শ্বে নুতন দেবমন্দির নিৰ্ম্মাণ নিষেধ, কিন্তু পুরাতন মন্দির ভাঙ্গার বিধি নাই, স্বতরাং এই ব্রাহ্মণের মন্দিরে পুজায় কোন বাদসাহী কৰ্ম্মচারী যেন বাধা না দেয়।" -যদুনাথ সরকার ।