বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ぐ8 - এই যোগসাধনার শোধন করেন। মূলের প্রতি দৃষ্টি করিলে বলা যায় বুদ্ধদেবের যোগসাধনা সেই উপনিষদ্ভুক্ত “শরবংতন্ময়ে ভবেৎ"রূপ বিশুদ্ধ যোগসাধনারই পুনরুদ্দীপনা মাত্র,—অতি বিশুদ্ধ এবং স্বাভাবিক। মুণ্ডকের “অক্ষরত্রক্ষে তন্ময়ত্ব" প্রাপ্তি আর বুদ্ধের "সমাধি" লাভ একই—জীবাত্মার কেবল-ভাবে অথবা স্বরূপে অবস্থান । বুদ্ধদেবের পরেও যে তাহার শিষ্যগণ কিছুকাল এই যোগসাধনার বিশুদ্ধতা রক্ষা করিয়া আসিয়াছিলেন তাহাতে সন্দেহ নাই। বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ প্রথমে প্রাতঃসন্ধ্য নির্জনে বসিয়া পাচপ্রকার ভাবনা সাধন করিতেন—(১) মৈত্রী বা শত্রুমিত্র সকলের কল্যাণ কামনা, (২) করুণা বা পরের দুঃখে সমবেদন এবং পরের দুঃখ মোচনের উপায় চিন্তা, (৩) মুদিত বা পরের মুখে স্বর্থী বোধ এবং পরের সুখ বুদ্ধির চিন্তা, (৪) অশুভ বা শরীরের অশুদ্ধত্ব এবং ক্ষণভঙ্গুরত্ব, এবং (৫) উপেক্ষ বা উচ্চনীচ সৰ্ব্বপ্রাণীতে এবং ভালমন্দ সৰ্ব্বব্যাপারে সমদৰ্শিতা। এইরূপ "ভাবন৷”-সাধন দ্বার প্রস্তুত হইলে পর ভিক্ষুগণ ধ্যান বা চিত্তের একাগ্রত এবং বিষয়াসক্তিশূন্যতা সাধন করিতেন। গভীরতা অনুসারে বৌদ্ধগণ ধ্যানেরই চারিটি সোপান নির্দেশ করেন। তাহার শেষ-সোপান ধ্যেয় বিষয়ের সহিত জীবের তন্ময়ত্ব প্রাপ্তি । বৌদ্ধ শাস্ত্রে ইহারই নাম সমাধি। বৌদ্ধমতে জীব সমাধির সোপানে আরোহণ করিলে 'কেবল ভাব লাভ করে। তখন তাহার “ভাব-জ্ঞানও থাকে না, অভাবজ্ঞানও থাকে না।” তখন চিত্ত সম্পূর্ণ দুঃখমুক্ত হইয়া শাস্তিসলিলে নিমগ্ন হয়। পাতঞ্চলের সংজ্ঞামত এই অবস্থাকেই একপ্রকার "অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি" বলা যায়। পাতঞ্জলোক্ত বিভূতি এবং অণিমাদি সিদ্ধির অঙ্কুর আমরা বৌদ্ধ শাস্ত্রেই দেখিতে পাই। যদিও বৌদ্ধ ভিক্ষুর পক্ষে দীক্ষাকালেই আপনার প্রতি দৈবশক্তির আরোপ করা নিষিদ্ধ হইত, কারণ বুদ্ধের অল্পকাল পরেই দেখা গিয়াছিল যে ভিক্ষুদিগের মধ্যে নানাপ্রকার ভণ্ডামিও স্থান পাইত,— তথাপি বৌদ্ধশাস্ত্রেও সমাধি দ্বারা ছয় প্রকার “অভিজ্ঞ।" বা দৈবশক্তি উপার্জনের উল্লেখ দৃষ্ট হয়—যথা, দিব্য দর্শন, দিব্য শ্রবণ, পরচিত্তজ্ঞান, জাতিস্মরত্ব, শত্রু-দমন ক্ষমতা, এবং ঋদ্ধি বা লোকাতীত শক্তি। এ-সকল পর্য্যালোচনা প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২২ ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘーヘヘヘー [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড --০৮:২৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:২৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:২৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) করিলে ইহা স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে পাতঞ্চলের যোগসাধনা বৌদ্ধ ভিক্ষুদিগের ধ্যানসাধনার এবং পাতঞ্জলোক্ত বিভূতি এবং আণিমাদি সিদ্ধি বৌদ্ধ ভিক্ষুদিগের “অভিজ্ঞা" বা দৈবশক্তিরই বৰ্দ্ধিত এবং অধিকতর বিকারপ্রাপ্ত ংস্করণ মাত্র। এতৎস্বারা পাঠক বুঝিবেন বৌদ্ধধৰ্ম্ম আজও আমাদিগের কতদূর নিকটে । শ্ৰীদ্বিজদাস দত্ত । অজন্ত গুহার চিত্রাবলী অজস্তায় কতকগুলি ঐতিহাসিক চিত্র দেখিতে পাওয়া যায়। প্রাচীনকালের ইতিহাসের সহিত জাতীয় ধৰ্ম্ম ও ঐতিহ্য অভিন্নরূপে সংযুক্ত। এইজন্য প্রাচীন ইতিহাসে অনেক স্থানে কাল্পনিক পৌরাণিক বাৰ্ত্তার অন্তনিবেশ দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু এইকারণে প্রাচীন ইতিহাসের যেঅংশে এইরূপ কাল্পনিক সঙ্কলনের সংযোগ আছে তাহাকে অমূলক বলিয়া ত্যাগ করা চলে না। পৌরাণিক সংহিতার অবিশ্বাসযোগ্য অসম্ভব অংশগুলি বাদ দিলে প্রকৃত ঐতিহাসিক সত্যের বিবরণ পাওয়া যায়। মহাবংশ পুরাণে বর্ণিত একটি ঐতিহাসিক বিবরণ অজস্তার একটি গুহায় অতি বিস্তৃতরূপে অঙ্কিত আছে। এ চিত্রাবলী অন্যান্য অনেক চিত্র অপেক্ষা ভাল অবস্থায় আছে । - - পুরাকালে কোন এক বঙ্গেশ্বরের সহিত কলিঙ্গরাজদুহিতার বিবাহ হয় ও র্তাহাদের স্বপ্রাদেবী নামে একটি কন্য। জন্মে। স্বপ্রাদেবী ভূমিষ্ঠ হইলেই দেশ দেশান্তর হইতে দৈবজ্ঞ জ্যোতিৰ্ব্বিদ পণ্ডিতগণ আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং নবজাত শিশুর করকোষ্ঠী গণনা করিয়া সকলেই একবাক্যে কহিলেন যে সুপ্রাদেবীকে পশুরাজ সিংহ পত্নীরূপে গ্রহণ করিবে । জ্যোতিষীদিগের এইকথা শুনিয়া বঙ্গেশ্বরের ক্ষোভের সীমা রছিল না। কিন্তু অদৃষ্ট লিপি খণ্ডাইবার উপায় কি ? সুপ্রাদেবী দিন দিন বাড়িতে লাগিলেন। যখন তাহারবিবাহ-যোগ্য বয়স তখন তাহার রূপের ষোলকল পূর্ণ। এই সময় তাহাকে একবার মগধ দেশের অভিমুখে যাত্রা --- ৪র্থ সংখ্যা ] অজন্তা গুহার চিত্রাবলী ごへヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ/ লঙ্কাদ্বীপে বিজয়সিংহের অবতরণ। চিহ্নিত ছত্রের তলে মুকুট মাথায় বিজয়সিংহ। করিতে হয়। পথে যাইতে যাইতে এক বিজন কাননে স্বপ্রাদেবীকে লইয়া গভীর অভেদ্য অরণ্যে চলিয়া গেল। তাহার সহিত এক সিংহের সাক্ষাৎ হয় । সিংহকে দেখিয়া কিছুকাল পরে স্বপ্রাদেবীর দুইটি সন্তান জন্মিল। একটি BBBBB BBBBBB BBBB BBS BBB BBB BB B BBB BBS BBBB BBB BB BBB