বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. - w . o -- ইয়ঁ যায় ; কিন্তু তখনে সরু ডাল ও বোটায় বেঁটায় ঐ সমস্ত পদার্থ বেশ পাওয়া যায়। তারপর আবার গ্রীষ্মকালে কাঠের কোষগুলি ঐসমস্ত পদার্থে পূর্ণ হইতে থাকে। গাছের ছালের নীচেই যে কাঠ থাকে তাহতে শতকর। ২• হইতে ২৬ ভাগ শ্বেতসার থাকে। শুকনে। গাছের কাঠ কিন্তু একেবারে নিঃসত্ত্ব। যে গাছে ধুনে রজন জাতীয় আঠ থাকে তাহতে থাষ্মের সহিত ট্যানিন প্রভৃতি অহিতকর পদার্থও থাকে। সুতরাং কাঠ নিৰ্ব্বাচনের সময় সতর্ক হওয়া আবখ্যক । শ্বেতসার শর্কর ও স্নেহপদার্থ গাছের কোষের মধ্যে আবদ্ধ থাকে, সেই সব কোষের আবরণ কঠিন কাষ্ঠ । সেই কাষ্ঠ মানুষের দেহের হজমী রসে শীঘ্র জীর্ণ হয় ন—অজীর্ণ কোষগুলি দেহের পুষ্টসাধন না করিয়া গোটাই বাহির হইয়া যায়। বরং যেসমস্ত প্রাণী চৰ্ব্বিতচর্বণ করে তাহারা উহ। সহজে কতকটা জীর্ণ করিতে পারে। কোষগুলির কঠিন আবরণ ভাণ্ডিয় তাহার মধ্যকার পুষ্টকর সামগ্ৰী আত্মসাং করিতে হইলে কাঠ খুব মিহি করিয়৷ গুড় করা দরকার সাধারণ করাতগুড়ায় এই কাজ কতকটা হয় ; ভালো করিয়া গুড়া করিতে হইলে আরো জোরালে৷ উপায় আবিষ্কার করা দরকার। যদি কোনে। গতিকে প্রচুর কাঠের অtট প্রস্তুত করার উপায় করা যায়, তবে গম যবের আটার সঙ্গে মিশাইয়া কাঠের আট বেশ স্বচ্ছন্দে খাওয়া চলিতে পারে। গাছের ডালের ডগা শুকাইয় গুড়া করিলে তাহাতে পুষ্টকর পদার্থ আরো বেশী পাওয়া যায়। কিন্তু কাঠের আটায় অকেজে অংশ এত বেশী যে শুধুই উহা খাওয়া চলে না, অন্ত খাদ্যের সঙ্গে মিশাইয়৷ থাইতে হয়। আমাদের এই চির-দুর্ভিক্ষের দেশে আমাদিগকে শীঘ্রই ইহা পরীক্ষা করিতে হইবে হয়ত । o - - +: : * - মহাসমরের সরঞ্জাম— আজকালকার-যুদ্ধ বিজ্ঞানের কারসাজি ও মস্তিষ্কের বাহাদুরীতে । আমাদের পৌরাণিক যুদ্ধে যেমন সপবাণের প্রতিষেধক গরুড়বাণ, তাহার প্রতিষেধক বিষ্ণুচক্র আবার অগ্নিবাণের প্রতিষেধক বরুণবাণ, ও বরুণবাণের প্রতিষেধক পবনবাণ ইত্যাদি, তেমনি এই যুদ্ধে এক পক্ষ একটা যেই নুতন ফন্দি বাহির করিতেছে অপর পক্ষ অমনি তাহ নিবারণের উপায় সঙ্গে সঙ্গেই আনিয়া হাজির করিতেছে। ডুবে জাহাজ হইল, তাহ ধ্বংস করিবার জাহাজ পিছু লইল ; উড়ে জাহাজ উৎপাত জুড়িল উড়ন্ত টরপেডো তাড়া করিল ; উড়ো জাহাজ রাত্রে চোর গোপ্ত শেল মারিতে লাগিল, উৰ্দ্ধমুখ তীব্রভৃষ্টি তল্পানী-আলো মোটরগাড়ীতে চড়িয়া সহর পাহারা দিতেছে বলিয়া সম্প্রতি খবর পাওয়া গেল অন্ধকারে শত্রুর থান আক্রমণ করিয়া অতর্কিতে শত্রবধ ইতেছিল, অমনি উজ্জ্বল উদ্ধাবী কামান স্বষ্টি কয়িয়া অন্ধকার ঘুচাইয়৷ গুপ্ত আক্রমণ বার্থকরা হইতে লাগিল ; কাট-দেওয়া তারের বেড়ায় গিরি সেই তারের মধ্যে দিয়া তাড়িত-প্রবাহ চালাইয়৷ শত্রুর গতিরোধ করা হইতেছিল, কামান হইতে ঘুরঘুরে ছুরি ছুড়িয়া তার কাটার ব্যবস্থা হইয়াছে রাতারাতি ৷৭ ক্রেশ দূরে শত্র অগ্রসর হইয় পড়িয়াছে, গড়ে আসিয়া পড়িল বলিয়, কিন্তু রাত্রির অন্ধকারে দূরবীন অঙ্ক, শত্রুর সংস্থান স্থির করিতে না পরিলে ।গালন্দাজ সৈন্য কিছুই কৰিতে পারে না, অমনি উপায় হইল খুব উচু পাথার উপর তল্লাসী আলে চড়াইয়া শত্রুর সংস্থান আবিষ্কার করিয়া আগুনের পদ ঋষ্টাইয় তাহার আড়াল হইতে ছড়দাড় করিয়া গোল-বর্ষণ Tটৗলতে লাগিল, শত্রুর লুকাইয়া আক্রমণের সমস্ত আয়োজন নিমেষে পও। আজ-কাল বুদ্ধি যার জয় তার । কিন্তু বুদ্ধি ও বিজ্ঞানের সপ্তান-সন্ততি কলকৌশলের যুদ্ধ হইতে মানুষগুলা একেবারে বাদ o - - やQb" প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড থাকিলে মন্দ হইত ন—কলে কলে যুদ্ধ হইত, সেরা কল যার তার জয় ইহঁত, মানুষগুলা বাচিয়। বৰ্ত্তিয়া থাকিয় মজা দেপিত তবে না। o -

  • * o: মানুষ ও উদ্ভিদের লম্বা বা বেঁটে হওয়া বংশগত—

আমেরিকার কনেকটিকাট কৃষি-কলেজের অধ্যাপক রাকেসলী পরীক্ষা করিয়া প্রতিপন্ন করিয়াছেন যে মানুষ বা উদ্ভিদ লম্বা বা বেঁটে হয় তাহার বংশের গুণে বা দোষে । লম্ব বংশের লোক বা গাছ লম্ব হয়। ঘটনাচক্রে বা অবস্থার ফেরে পড়িয়া ঢাণ্ড পিতা-মাতার সপ্তান ঘেঁটে হইয়। যাইতে পারে, কিন্তু বেঁটে কনকজননীর সন্তান ঢাণ্ড श्ग्न न ।

  • # *

প্রতিভা ও আবহাওয়ার সম্পর্ক আমেরিকার অধ্যাপক জে ম্যাককান কাটেল পপুলার সায়ন্স মঙ্গুলী' নামক কাগজে প্রশ্ন করিয়াছেন মার্কিনের উত্তর-দেশী লোকের ছেলের বৈজ্ঞানিক হওয়ার শতকরা ৫০ রকম সস্তাবন। যদি থাকে ত দক্ষিণ-দেশীর থাকে এক । যে-সমস্ত উত্তর-দেশী লোক বৈজ্ঞানিক বলিয়া থাত হইয়াছেন, জন্মমাত্র স্তাহাদিগকে দক্ষিণ দেশে লইয়া গেলে বা দক্ষিণ-দেশে জন্মিলে তাহার। খুব সস্তব বৈজ্ঞানিক হইতেন না। কেন ? কতকটা বংগদোষে, কতকট অবস্থার ফেরে, কতকটা আশপাশের প্রভাবে, আর অনেকখানি আবহাওয়ার জন্য। মামুষের কৰ্ম্ম করিবার শক্তি ও নিপুণত তাহার বংশের ও জন্মলন্ধ বুদ্ধি ও পটুতার পুজি মূলধনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে। কিন্তু উহার কতটুকু বংশগত, কতটুকু আশপাশের অবস্থাগত, তাহা এখনো ঠিক করিতে পারা যায় নাই। মামুষে মানুষে শক্তি ও নিপুণতার তারতম্যের কারণ খানিকট৷ স্বাভাবিক প্রকৃতিগত, আর থানিকট সুযোগ ও সুবিধাগত । ১৮-৯ সালে ডারউইন যদি চীন দেশে জন্মিতেন, ডারউইন হইতেন না । আমেরিকার ঘরোয় যুদ্ধ না ঘটলে লিনকলন লিন্‌ক্লন হইতেন না। আবার ডারউইন আমেরিকায় ও লিনক্লন ইংলণ্ডে জন্সিলে বা জন্মমাত্র রপ্তানি হইলে কোনো জনই যাহা হইয়াছিলেন তাহ হইতে পারিতেন ন। ডারউইন স্বাভাবিক নিপুণ কুশল ধনী পরিবারের সন্তান, - বিশেষ সুযোগ ও সুবিধার মধ্যে জন্মিয়াছিলেন বলিয়। ডারউইন হইতে পাইয়াছিলেন। লিনকলনের পিতৃমাতৃবংশ নিপুণতা কুশলতা ধনশালিতার দাবী রাখেন না, অবস্থার ফেরে উহার নিজের সহজ গুণপন ফুটিয়া উঠিবার অবকাশ পাইয়াছিল। ঈগলের ডিমে মুরগীকে দিয়া তা দেওয়াইয়। বরং ঈগলের ছানা জন্মান সস্তত্ব, কিন্তু মুরগীর ডিমে ঈগলের তা লাগিলে মুরগীর ডিম পচিয়। যাইবে নিশ্চয়। কিন্তু মুরগীর বাসায় ষে ঈগল জন্মিবে সে নিরীহ পোলা রকমের ঈগল হইবে। কাফির ও যুরোপীয় লোকের বুদ্ধি ও নিপুণতার উত্তরাধিকারে যপেষ্ট প্রভেদ , কিন্তু আবহাওয়া ও অবস্থার ফেরে নিকৃষ্ট পুজির লোককে উৎকৃষ্ট ও উৎকৃষ্ট পুজির লোককে নিকৃষ্ট হইতে দেখা যায়। দক্ষিণ আফ্রিকায়, যুরোপীয়রা মাত্র দু-তিন পুরুষ বাস করিতেছে। ঠাও। দেশের যুরোপীয়রা দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয় গরম দেশে বাস করিতেছে বসিয়া এই অল্প দিনেই তাহার নিকৃষ্ট হইয় পড়িতেছে ; আর নিরক্ষবৃত্তের বিষুব রেখার নিকটবৰ্ত্তী দেশের জুলু ও বাহুতোজাতীয় লোকের অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস করিয়া বুদ্ধিতে নিপুণতায় উংকৃষ্ট হইয় উঠতেছে, এবং তাহাদের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার যুরোপীয় লোকের ক্রমশ হটিয়া যাইতেছে । o o ग्न। ब्राविद्याप्छ। अश्वप्न ॐ्रतःि নিরন্তর উদাম চেষ্টা করিতে থাকিবে। -

  • * -

הב או יו)" ו"ו 5 মক ল্যাবরেটারীর প্রধান অধ্যক্ষ ভূী: কায় লিপ্ত থাকিয়৷ এই সিদ্ধান্তে উপনীত ও খারাপ, অল্প সন্তান হওয়াও খারাপ। - - ও জাটের বেশী হওয়া উচিত নয়। অগ্রজন্ম যে জ্যেষ্ঠাধিকার প্রচলিত অাছে থম ও সপ্তম সন্তান বুদ্ধি ও পড়ে এমন দ্বিতীয় র বাড়িয়া সপ্তম ও প্রথম সন্তানই পিতৃপিতামহের - দেখা যাইতেছে তৃতীয় + শ্যে চদ এক দেহে এ পৃথিবী ঠিক এখনকার